Header Ads

বরাক- ব্রহ্মপুত্রের মাঝে সম্প্রীতির সেতু "বাংলা সাহিত্য সভা 'অসম"

 নয়া ঠাহর প্রতিবেদন গুয়াহাটি: অসমের আর্থ সামাজিক সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দুই উপত্যাকার বাঙালিদের বিশেষ অবদান আছে। বরাকের বিশিষ্ট সাংবাদিক অতীন দাস, ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বিশিষ্ট অধ্যাপক ড০ প্রশান্ত চক্রবর্তী এবং বাংলা নিউজ পোর্টাল নয়া ঠাহর, বাঙালিদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোক পাত করে থাকে, বরাকের  দাবিদাওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন প্রাক্তন ছাত্র নেতা প্রদীপ দত্ত রায়। কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রশান্ত চক্রবর্তী সমানভাবে অসমিয়া বাংলা ভাষাতে মূল্যবান সব লেখা উপহার দিয়েছেন। অসমিয়া বৌদ্ধিক মহলে  প্রশান্ত চক্রবর্তীকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে। সেই প্রশান্ত চক্রবর্তী যখন দুই উপত্যাকার মানুষকে সাহিত্য সংস্কৃতির সম্প্রীতির এক সূত্রে বেঁধে এক প্লাট ফর্ম গড়তে চান তা সাধারণ হবে না নিশ্চয়। তিনি সম্মিলিত এক কণ্ঠের জন্ম দিলেন। যার দরকার ছিল। নয়া ঠাহর গোষ্ঠী এই সমাজের পাশে থাকবে। বরাক উপত্যকা থেকে একা লড়ে যাচ্ছেন অতীন দাস। তাঁর শক্তিশালী  কলম কলকাতাতে সমান জনপ্ৰিয়। দুই উপত্যকার  সেতু বন্ধনে তিনিই অন্যতম কারিগর। বাঙালি প্রেমী  অজয় দত্ত বঙ্গে বাঙালি বিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ে সর্বদা সোচ্চার, তাঁর মতো ব্যক্তিত্ব সাহিত্য সভাকে সমৃদ্ধ করবে। সার্বিকভাবে দুই উপত্যকা উপকৃত হবে।
বরাক ও ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার বাঙালিদের সমন্বয়ে সাহিত্য-সংস্কৃতিমূলক নতুন একটি রাজ্য স্তরের সাহিত্যমঞ্চ শুরু হল। নাম দেওয়া হয়েছে~"বাংলা সাহিত্য সভা, অসম"। দুই উপত্যকার বিশিষ্ট লেখক-শিল্পী-সাহিত্যিক ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা এই সভায় যোগ দিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, এই প্রথম অসমের দুই উপত্যকা মিলে যৌথভাবে এইরকম একটি বৃহৎ সম্মিলিত ভাবে সাহিত্য সভা তৈরি করা হল।
    এই সংস্থার উপদেষ্টা রূপে রয়েছেন হোজাইর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানীয় উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পণ্ডিত ড০ অমলেন্দু চক্রবর্তী এবং কটন কলেজের(বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়) ভূতপূর্ব অধ্যক্ষা বিশিষ্ট লেখিকা ড০ মুক্তিদেব চৌধুরী, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর নিরঞ্জয় রায়। এ-ছাড়া বিশেষ আমন্ত্রিত উপদেষ্টা রূপে আছেন পদ্মশ্রী অজয় দত্ত।
    'বাংলা সাহিত্য সভা, অসম'-এর সভাপতি উত্তরপূর্বের স্বনামধন্য মননশীল সাহিত্যিক অতীন দাস। কার্যকরী সভাপতি বিশিষ্ট লেখক চিন্তাবিদ খগেনচন্দ্র দাস। অবৈতনিক সাধারণ সম্পাদক রূপে দায়িত্বগ্রহণ করেছেন কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান তথা লেখক ড০ প্রশান্ত চক্রবর্তী। দুই উপত্যকা থেকে দুজন যুগ্ম সম্পাদক যথাক্রমে বরাক থেকে চিত্রী সন্দীপন দত্ত পুরকায়স্থ ও ব্রহ্মপুত্র থেকে বাচিক শিল্পী রূপম চক্রবর্তী। উপ-সভাপতিমণ্ডলীতে আছেন নামকরা সব মানুষ ড০ পান্নালাল গোস্বামী, ড০ দেবাশিস রায়, ড০ নন্দিতা ভট্টাচার্য গোস্বামী, ড০ মুক্তা বিশ্বাস, ড০ সুদেষ্ণা ভট্টাচার্য,  ‘নয়া ঠাহর’ এর মুখ্য সম্পাদক অমল গুপ্ত, সহকারী সম্পাদক রিংকি মজুমদার, সুব্রত দাস, ত্রিদেব চৌধুরী, সমরবিজয় চক্রবর্তী, চন্দন ভাদুড়ি প্রমুখ। কোষাধ্যক্ষ বিশিষ্ট লেখক শিশির সেনগুপ্ত। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন 'মজলিস সংলাপ' পত্রিকার কৃতী সম্পাদক ও লেখক তুষারকান্তি সাহা, প্রাগজ্যোতিষ মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগীয় প্রধান ড০ জ্যোতির্ময় সেনগুপ্ত, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগীয় অধ্যাপক ড০ বরুণজ্যোতি চৌধুরী, আর্য বিদ্যাপীঠ মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ড০ মম্পি গুপ্ত, রাধামাধব কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক সুদর্শন গুপ্ত, মাইবাং কলেজের অধ্যাপক ড০ মিথিলেশ চক্রবর্তী, লামডিং থেকে নন্দিনীর কর্ণধার জয়শ্রী আচার্য্য , সাংবাদিক-লেখক পীযূষকান্তি সাহা, বিশিষ্ট তবলিয়া-শিল্পী দেবাশিস ভট্টাচার্য, শিল্পী বিক্রমজিৎ কর বাউলিয়া, সাংবাদিক অরূপ চক্রবর্তী, উজান অসমের বাংলার দুই অধ্যাপিকা ড০ স্বপ্না নাথ ও শেলি দত্ত, মধ্য অসমের অধ্যাপক নিপন দাস ও ড০ মৌসুমি নাথ, রাখাল দাস, অধ্যাপক প্রাণকৃষ্ণ কর, কবি রতীশ দাস, মনোজকান্তি ধর, নিম্ন অসমের ড০ রাজীব সাহা, নৃত্যশিল্পী স্বাগতা মিত্র, কবি-অধ্যাপক শিবাশিস চট্টোপাধ্যায়, চিন্তাশীল লেখক শুভ্রাংশুপ্রকাশ দেব, ছাত্রনেতা কুণালজিৎ দেব প্রমুখ।    ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার ৮ জন ও বরাকের ৭ জন সদস্যকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে শক্তিশালী রাজ্যিক কার্যনির্বাহক পরিষদ। এ-ছাড়া আলাদা করে দুই উপত্যকায় বরাক ও ব্রহ্মপুত্র শাখা করা হয়েছে। অসমের বিভিন্ন জনপদে একটি করে নগর-সমিতি তৈরির জন্য আহ্বায়ক সমিতি করা হয়েছে।
    'বাংলা সাহিত্য সভা, অসম'-এর পক্ষে বলা হয়েছে এই সভার মূল পরিচয় হল "সত্তা ও সমন্বয়ের মঞ্চ"। অসমের বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি অসমিয়া ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীয় সাহিত্যধারার সঙ্গে এই সভা সমন্বয়, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে কাজ করবে। থাকবে অনুবাদ কর্মশালা, যৌথ সাহিত্যমঞ্চ, সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানমূলক কর্মসূচি ইত্যাদি। বলা হয়েছে এই সভায় কোনো ব্যক্তি নয়, সামূহিক সামাজিক স্বার্থই প্রাধান্য পাবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.