Header Ads

অসমিয়া ভাষাকে বাধ্যতামূলক করার সার্কুলার বাতিল করে বাংলাভাষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি

সংবাদদাতা শিলচর :  অ.গ.প সরকারের শিক্ষাক্ষেত্রে অসমিয়া ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে, ১৯৮৬ সালের ২১ শে জুলাই তৎকালীন অসমের মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লকুমার মহন্তকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়ে শহীদ হোন বীর বাঙালি জগন্ময় দেব ও দিব্যেন্দু দাস। 

এবছর ২১ শে জুলাই "আমরা বাঙালি" অসম রাজ্য কমিটির সচিব সাধন পুরকায়স্থের সভাপতিত্বে   শহীদ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিলচরে অনুষ্ঠিত সভায় বিভিন্ন বক্তা সেদিন কোন পরিস্থিতিতে জগন্ময় দেব ও দিব্যেন্দু দাস পুলিশের গুলিতে প্রাণ দেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। শহীদ জগন্ময় দেব ও দিব্যেন্দু দাসের প্রতিকৃতি মাল্যদান করেন 'আমরা বাঙালী' অসম প্রদেশ সচিব সাধন পুরকায়স্থ। সাধন বাবু ১৯৮৬ সালের ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণ করে বলেন- অনঅসমিয়া শিক্ষার্থীদের উপর তৃতীয় ভাষা হিসেবে অসমিয়া ভাষাকে বাধ্যতামূলক করার যে সার্কুলার জারি হয়েছিল তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছিল বিভিন্ন গণসংগঠন। এই অবস্থায় ১৯৮৬ র ২১ শে জুলাই মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লকুমার মহন্ত করিমগঞ্জে এলে তাঁকে কালো পতাকা তথা শান্তিপূর্ণ  বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছিল পুলিশ সেই বিক্ষোভে গুলি চালায় প্রাণ যায় জগন্ময় দেব ও দিব্যেন্দু দাস। এছাড়াও বহু আন্দোলনকারীকে বিনা প্ররোচনায় গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলায় আটক করে। বর্তমানেও ঠিক একই অবস্থা চলছে। অ গ প সরকার  সার্কুলারটি স্থগিত রেখেছে , পরবর্তী সরকারগুলিও সেই সার্কুলার বাতিল না করে স্থগিত রেখেছে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে যে দাবী গুলো তুলে ধরা হয়, তার মধ্যে অন্যতম-- অবিলম্বে অ গ প সরকার অসমিয়া ভাষা বাধ্যতামূলক করার সার্কুলারকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং অসমে একটিও বাংলা মাধ্যম স্কুলকে বন্ধ করা চলবে না। পাশাপাশি বাংলা ভাষী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নতুন করে বাংলা মাধ্যম স্কুল তৈরী করতে হবে এবং চাকরির ক্ষেত্রে বাংলা ভাষায় লিখিত পরীক্ষার ব্যাপার সুনিশ্চিত করতে হবে, সমস্ত সরকারী বিজ্ঞাপন সরকারী আইন অনুযায়ী অর্থাৎ Linguistic minority commission কর্তৃক নির্দ্ধারন করা বিধি অনুযায়ী প্রচার করা ইত্যাদি। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন- দেবাশীষ রায় চোধুরী, পার্থপ্রতিম দেব,অমল দাস, রাজেশ ভট্টাচার্য, আজমল হৌসেন চৌধুরি, আব্দুল কালাম বাহার প্রমূখ।

 


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.