Header Ads

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিককে নিয়ে অসমের বাঙালিরা গর্বিত, রিপুন বরার কুৎসা জাতি বিদ্বেষ প্রসূত : বি ডি এফ

নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, শিলচর : পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত সাংসদ নিশীথ প্রামানিক সম্প্রতি স্বরাস্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় ঠাই পেয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে আগত বলে আসাম কংগ্রেসের রাজ্যিক সভাপতি যে অভিযোগ তুলেছেন ও তদন্তের কথা বলেছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানাল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

এক প্রেস বার্তায় ফ্রন্টের মূখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে অনেকদিন পর একজন বাঙালি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন- এ আসাম সহ সারা ভারতের বাঙালিদের গর্বের ব্যাপার।পশ্চিমবঙ্গের একজন সাংসদকে নিয়ে রিপুন বরার মন্তব্য অনধিকরার চর্চার সামিল এবং সম্পূর্ণ জাতিবিদ্বেষ প্রসূত।তিনি বলেন যে নিশীথ প্রামানিকের পূর্বনিবাস বাংলাদেশ যদি হয়েও থাকে সেটা কোন অর্থেই দোষনীয় নয় ,যদিনা তিনি অবৈধ নাগরিক হয়ে থাকেন। কারণ দেশের প্রাক্তন রাস্ট্রপতি প্রনব মুখোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুরও পূর্ব নিবাস অবিভক্ত বাংলার পূর্ববঙ্গেই ছিল। পশ্চিমবঙ্গের ৪০ শতাংশ মানুষও কখনো না কখনো পূর্ববঙ্গ থেকে বিভিন্ন কারণে এপারে এসে কয়েক প্রজন্ম ধরে বৈধভাবে এদেশে বসবাস করছেন। এতে কখনো কেউ তাদের দিকে আঙুল ওঠায়নি।

বিডিএফ এর মূখ্য আহ্বায়ক বলেন যে রিপুনের এই ব্যাপারে মন্তব্য উগ্র অসমীয়া জাতিয়তাবাদ দ্বারা প্রভাবিত। তিনি বলেন শুধু রিপুন নন এই রাজ্যের কংগ্রেস দলের অনেকেই সমভাবাপন্ন ও বাঙালিদের প্রতি বিদ্বেষ পোষন করেন। তিনি বলেন অন্য রাজ্যের সাংসদকে নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে রিপুনের বরং এই রাজ্যের যে ১৯ লক্ষ বাঙালি এবং অন্যান্য গোষ্ঠির লোক এনার্সি তালিকায় ঠাই পাননি এবং দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তা ও দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তাদের নিয়ে মাথা ঘামানো উচিত,যদিও এই ব্যাপারে তাদের সরব ভূমিকা কখনই চোখে পড়েনি। তিনি বলেন যে পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের আমলে অসংখ্য বাঙালিকে ডিটেনশন ক্যাম্পে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে ,এমনকি মৃত্যুবরণ পর্যন্ত করতে হয়েছে। অসংখ্য বাঙালিকে ডি নোটিশ পাঠিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে কংগ্রেসেরই শাসনকালে । প্রদীপবাবু বলেন যে এই রাজ্যের অনেক বাঙালিরা হয়তো বিকল্পহীন হয়ে কংগ্রেসকে এখনো ভোট দিচ্ছেন কিন্তু আসামের বাঙালিদের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের এইসব কৃতকর্মের কথা কখনই ভুলবে না এই রাজ্যের বাঙালিরা। এমনকি গত নির্বাচনে রাজ্যের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার এই গোষ্ঠী থেকে কতজনকে প্রার্থী করা হয়েছিল তার পরিসংখ্যান দেখলেই বাঙালিদের প্রতি রাজ্য কংগ্রেসের মনোভাব স্পষ্ট বোঝা যায়।

বিডিএফ মূখ্য আহ্বায়ক বলেন যে জননেতা হতে চাইলে রিপুন প্রথমে নিজের রাজ্যের বাঙালিদের প্রতি কৃত বৈষম্য ও অত্যাচারের প্রতিবাদ করুন , অন্য রাজ্যের কোন বাঙালি সাংসদকে নিয়ে মাতামাতি তার শোভা পায়না। একইসাথে স্বরাস্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্তি পাবার জন্য নিশীথ প্রামানিককে বিডিএফ এর পক্ষ থেকে পুনরায় অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।

বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে ও জয়দীপ ভট্টাচার্য।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.