লামডিং-এ সপ্তাহ ব্যাপী বনমহোৎসব উদযাপন
আশীষ কুমার দে, লামডিং : কোভিড নিয়মাবলীকে সামনে রেখে সপ্তাহব্যপী বন মহোৎসবের
সমাপ্তি অনুষ্ঠান শেষ হলো আজ। গত এক সপ্তাহ ধরে জনসংযোগ, গাছের চারা বিতরন ও সামাজিক
বন সৃজনের মাধ্যমে হোজাই জেলার বন বিভাগ সাফল্য অর্জন করেন। গাছ ও নদীর
প্রয়োজনীয়তাকে গুরত্ব দিয়ে তৈরী করা ৮০টি পোষ্টার জমা করেন ক্লাস V-XII-এর ছাত্র-ছাত্রী। এই
ছবিগুলির মধ্যে থেকে দুটি গ্রুপে তিনজন করে প্রতিযোগীকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় নির্বাচিত
করেন কোলকাতার বিশিষ্ট শিল্পী সুমিতা বিশ্বাস ও তার তিনজন সহ শিল্পী, দুটি গ্রুপেই একটি করে
সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়াও বন আধিকারিক দুটি বিশেষ পুরস্কার দেন।
প্রতিটি অংশগ্রহনকারীকে তুলে দেওয়া হয় সংশাপত্র। উপস্থিত সকলকে বনবিভাগের পক্ষ
থেকে তুলে দেওয়া হয় একটি শিশু বৃক্ষ। গাছের চারা লাগান শইদুল আলম, ফরেষ্ট রেন্জ অফিসার, সুনীল বিশ্বাস, সুধন্য রাউথ, অমরেশ দাস, মিলন সেন, মন্জুশ্রী নন্দ, মধুমিতাও চিত্রাবলী। বন মহোৎসবের উপর
বক্তব্য রাখেন সইদুল আলম, নলিনি কলিতা, রনয় দাস, সুনীল বিশ্বাস, দিলিপ দে, মন্দুশ্রী নন্দ প্রমুখ।
এরপর উদযাপিত হয় ঘরোয়ার ৩১তম প্রতিষ্ঠা দিবস। সকালে সংস্থার পতাকা উত্তোলন করেন সুনীল বিশ্বাস,উপ সভাপতি ঘরোয়া। বেলা ১২টায় প্রদীপ প্রজ্বলন করেন সুনীল বিশ্বাস, কামনা রায়, মন্জুশ্রী নন্দ, নীলু পাল, ঘরোয়ার থীম সঙ্গীতে ‘আগুনের পরশমনি’র’ মাধ্যমে। পরিবেশন করেন অরুনা দে দাস, স্বপ্না গোপ,দিপ্তী দাশগুপ্ত,ইনা ভট্টাচার্য, রুমা চৌধুরী, সন্জু মালাকার, অন্নপুর্ণা মালাকার, অনিমা মালাকার ও চিত্রাবলী আচার্য বরুয়া তবলায় সঙ্গত করেন বিশ্বজিত মিত্র। সভায় বক্তব্য রাখেন নীলু পাল, মন্জুশ্রী নন্দ, সুনীল বিশ্বাস, জুম মিটিং-এর মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন ঘরোয়ার সভাপতি কমলেন্দু ভট্টাচার্য, তিনি প্রতিষ্ঠা দিবসের উপরে স্ব: দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত কবিতা পাঠ করেন, বাসুদেব মৈত্র’র লেখা ‘জন্মদিন’ কবিতা পাঠ করেন আশিষ কুমার দে, কবি সুবোধ ঘোষের লেখা ‘ঘুষ’ পাঠ কর শোনান মনসিজ ঘোষাল। ঘরোয়ার ৩১ বছরের যাত্রার বক্তব্য রাখেন রাজু রায়, অংশুমান বোস, কৃষ্ণা দত্ত। বাংলাদেশের বিশেষ শিল্পী কামারুজ্জমান ঘরোয়ার কর্মকান্ডের উপর চারটি ছবি এঁকে পাঠান। আজ এই অবসরে পথ শিশু ও ভারত সেবাশ্রমের আবাসিকদের তুলে দেওয়া হয় কিছু শুকনা খাবার।
কোন মন্তব্য নেই