ঐতিহাসিক দুর্গ অসামাজিক কার্যকলাপে পরিণত অভিযোগ স্থানীয়দের
সুব্রত দাস, বদরপুর : বদরপুর ঘাট ঐতিহাসিক দুর্গ মোঘল না
পর্তুগিজ আমলে তৈরি করিমগঞ্জ জেলার বদরপুর ঘাটের দুর্গ,সেই বিতর্ক দীর্ঘ দিনের। আবার অনেকে বলে তা ব্রিটিশদের আমলে তৈরী
হয়েছে। তা নিয়ে অনেকের অনেক ধরণের অভিমত। এটি একটি পর্যটকদের কেন্দ্রস্থলও। কেননা
দূর দূরান্তে থেকে অনেক লোকেরা পরিবার নিয়ে আসেন সেই দুর্গ দেখার জন্য। দুর্গের
পিছনে বরাক নদী। নদীর ওপারে কাঠিগড়া সব মিলিয়ে সুন্দর এক দৃশ্য। কিন্তু সেই স্থানে
পর্যটক ও ভদ্রলোক আসার কোন স্থান আর থাকছে না। সেই দিনরাত মদ,ড্রাগস আরও অন্যান্য নেশা জাতীয় নেশাখোরদের আশ্রয়খানা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাতে কোন সন্দেহ নেই। মাস কয়েক আগে 'আসাম দর্শন'
প্রকল্পের অধীনে সরকারী অর্থে রাস্তা ও ড্রেনের
কাজ হয়। তারপরেও কোন রক্ষনা-বেক্ষন না থাকায় জঙ্গল ও নেশাখোরদের আড্ডাখানা এবং অসামাজিক
কার্যকলাপে পরিনত হয়ে উঠেছে। সেই অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য ভদ্রলোকেরা সেই
স্থানে যেতে সংকোচ ও নিজেকে নিরাপদ বলে মনে করেন না বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা বলেন,এই ঐতিহাসিক দুর্গকে রক্ষনা-বেক্ষন করলে রাজ্যে সরকারের একটি রাজস্ব
আয়ের উৎস হয়ে উঠতে পারত। কিন্তু রক্ষনা-বেক্ষনের অভাবে তা হচ্ছে না। স্থানীয়রা
সাংবাদিকের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে অতি সত্বর বদরপুর
ঘাটের ঐতিহাসিক দুর্গকে অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে মুক্ত করতে এবং রক্ষনা-বেক্ষনের
জন্য একটি বিহিত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রাখেন।









কোন মন্তব্য নেই