২০১৬ সাল থেকে রাজ্যে বর্তমান ১০৭১৪৯টি পদ খালি আছে, অথচ সরকার চাকরির ব্যবস্থা করছে না : দেবব্রত শইকিয়া
অমল
গুপ্ত, গুয়াহাটি : আজ
বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরােধী দলপতি দেবব্রত শইকিয়ার এক প্রশ্নের জবাবে
সাধারণ প্রশাসন বিভাগে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী রঞ্জিত কুমার দাস। জানান,
রাজ্যের বর্তমানে ১০৭১৪৯ টি পদ খালি আছে। ২০১৬ সাল থেকে এই পদগুলি
খালি পরে আছে। স্বাস্থ্য বিভাগে ৯৩৫৩ পদ খালি আছে, শিক্ষা
বিভাগে ৫০৪৬৫ পদ, গৃহ ও রাজনৈতিক বিভাগে ২০২৪৮টি পদ খালি আছে। সেচ
বিভাগে ২২৫৩ টি পদ, গুয়াহাটি উন্নয়ন বিভাগে ১০৯২টি, রাজস্ব
বিভাগে ১১৩৯টি, পি ডব্লিউডি ১৩০৮টি, পশুপালন
বিভাগে ২১৫২টি, পরিবহন বিভাগে ১০০১টি, বন ও
পরিবেশ বিভাগে ২৯১৮টি পদগুলি ২০১৬ সাল থেকে খালি পরে আছে। কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা
দেবব্রত শইকিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিগত
পাঁচটা বছরেও এই পদগুলি পূরণ করা হল না। দিগন্ত বর্মনের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্য ও
সরবরাহ মন্ত্রী রঞ্জিত কুমার দাস জানান, রাষ্ট্রীয়
খাদ্য সুরক্ষা আইন ২০১৩র জুলাইর তথ্য মতে রাজ্যে ৫৮,৯৪,৪৭৮টি।
রেশন কার্ড আছে। অসমে বর্তমানে বলবৎ হয়ে থাকা খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী বিপিএল
হিসাবে কোনাে কার্ড ইস্যু করা হয়নি। বরঞ্চ রাষ্ট্রীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে
এ এ ওয়াই এবং পি এইচ এইচ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুই ধরনের কার্ড প্রদান করা হয়। এই
কার্ড প্রাপকদের পরিবারের আয় বছরে এক লক্ষ টাকা হওয়া বাঞ্ছনীয়। তিনি জানান,
হিতাধিকারীদের তালিকা পুনরীক্ষণ করে অযােগ্য ব্যক্তিদের কার্ড বাতিল
করে যােগ্য ও গরিব লােককে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, আর্থিকভাবে
স্বচ্ছল ব্যক্তিদের স্বেচ্ছায় কার্ড ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরােধ জানানাে হয়েছে। গাে হত্যা নিষিদ্ধ করণে মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত
বিশ্ব শর্মা গতকাল বিধানসভায় বিল পেশ করেছেন। এই অসম ক্যাটল পিজারভেশন বিল ২০২১
সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এআইইউডিএফের ধিঙের বিধায়ক আমিনুল ইসলাম,
তারা কোনাে পর্যায়ে এই বিলটিকে সমর্থন করেন না। বলেন, বিলটি
লাগু হলে অসম সরকারের প্রায় দু’হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হবে। তিনি জানান,
সারা দেশে বিজেপি সমর্থকরাই কোটি কোটি টাকা গরুর মাংস বিদেশে রপ্তানি
করে। বেশ কয়েকটি কোম্পানি আছে। বলেন, উত্তর প্রদেশে বয়স্ক গরুগুলােকে গােশালা
বানিয়ে সংরক্ষণের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে। বিধায়ক জানান, বিলটি
পাশ করার সময় এআইইউডিএফ সংশােধনী প্রস্তাব তুলবে। কিন্তু তারা চেষ্টা করলেও
আটকাতে পারবে না। ধ্বনি ভােটে বিলটি পাশ হয়ে যাবে।
কোন মন্তব্য নেই