Header Ads

বন বিভাগের সব দুর্নীতি ধরে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, পরিমলের মুখ ঢাকতে মাস্কও কাজ করবে না

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : রাজ্যের এক ভালো ভদ্রলোক, বন ও পরিবেশমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, যাকে তার নিজের অফিসাররা মানেন না। একাংশ দুর্নীতিপরায়ণ অফিসারের নির্দেশ মত মন্ত্রী বলেদিলেন, ১৮টি  হাতি  বিদ্যুতপৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। নগাঁও  কার্বি আংলং সীমান্ত পাহাড়ে হাতিদের করিডোর, বিজেপি নেতাদের  পাথর কোয়ারি ও  রিসোর্ট আছে তারপর  বিদ্যুত কোম্পানিকে   ইজারা দেওয়া হয়েছে। সেখানে রাতে হাতির উপদ্রব হলে  ব্যবসা মার খাবে। বরাকের  ভদ্রলোক মন্ত্রী  পরিমল তা একবার ভেবেও দেখলেন না।  হাতিগুলোকে বিষ প্রয়োগ করে মারা হয়েছে, একই এলাকার কাছে ভিতে  প্রায় ২০টা গরুকে বিষ প্রয়োগ করে মারা হয়েছে  বলে গ্রামবাসীরা  বার বার  সন্দেহ  প্রকাশ করেছে। সেখানেও একই প্রশ্ন, হাতি-গরুর উপদ্রব হলে ব্যবসা মার খাবে। অতএব সরিয়ে দাও।  নুমলিগরে হাতিদের করিডোরে হাতিদের যেভাবে মারা হচ্ছে। নেচার বেকন থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশে  হাতি হত্যার খবর কিভাবে বিজেপি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট  করেছে  তা কি জানেন মাননীয় বনমন্ত্রী? মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার  পরিশেষে উপলব্ধি হয়েছে বলেই মন্ত্রীর মুখের ওপর বলে দেন,  হাতি নিয়ে নতুন করে তিন মাসের মধ্যে তদন্ত করুন  নতুবা তিনি করবেন। রাজ্যে প্রায় ৫ হাজার হাতি আছে। তাদের খাদ্য সংকটে ভুগতে হচ্ছে। জনপদে হানা দেওয়ার ফলে প্রতিদিন হাতি মানুষের  সংঘাত  বাড়ছে। সে ব্যাপারে বন বিভাগ কোনও গবেষণার  ব্যবস্থা করেছে কি। রাজ্যে ঘটা করে বন উৎসব পালন করা হয়। কংগ্রেস আমলে  লাখ লাখ গাছ রোপণ করেছে বলে খাতায় কলমে দেখিয়ে সব টাকা লুট করার অভিযোগ বিজেপি আমলেও হচ্ছে। রোপণ করা লক্ষ গাছের মধ্যে কয়টি গাছ শেষ পর্যন্ত বাঁচল সে খবর বন বিভাগ রাখে কি? মুখ্যমন্ত্রী  হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সেই মৌলিক প্রশ্ন বনমন্ত্ৰীর দিকেই ছুড়ে দিয়েছেন। কোনো জবাব নেই। এপর্যন্ত কলাখ গাছ রোপণ করা হয়েছে? কত গাছ শুধু জলের অভাবে মারা পড়লো? তার হিসাব কে দেবেকংগ্রেস আমলে ১৫ বছর নদীর বালি-পাথর, পাহাড়ের মাটি, জঙ্গলের গাছ সব লুট হয়েছে। বিজেপি গত ৫ বছরেও ব্যতিক্রম ছিল না। রাজ্যের এমন কোনো নদী নেই , পাহাড় নেই যেখান থেকে বালি, পাথর, মাটি লুট হয়নি। দায়িত্ব গ্রহণ করে   মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা  সে ব্যাপারে বনমন্ত্রী পরিমলকে বিঁধলেন। তার হাত থেকে দফতর কেড়ে নিয়ে  খনিজ বিভাগের হাতে দেওয়ার কথা বললেন।  মুখ্যমন্ত্রী সম্ভবত  পরিমলের হাত থেকে বন বিভাগ কেড়ে নিয়ে বরাকের  নতুন কোন বিজেপি  বিধায়ককে দিতে পারেন। সেই কথাও শোনা গেল বরাক থেকে।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.