মাদক চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে সরকারের তীব্র অভিযান চলবেই : মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা
অমল
গুপ্ত, গুয়াহাটি : অসমে
মাদক চক্রের বিরুদ্ধে এত বড় অভিযান আগে কোনোও দিন হয়নি। মাদক চক্রের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন থেকে
শুরু করে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমারের দিকেও আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আজ
বিধানসভায় অগপর প্রদীপ হাজরিকার প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মাদক
চক্রের বিরুদ্ধে সরকারের বিরাট অভিযানের বিস্তারিত জানান। বলেন, মাদক
ব্যবসার সঙ্গে অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের যােগাযােগ থাকলেও আলফা তাতে জড়িত বলে
প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অসমের সন্তানেরা এই কারবারে জড়িয়ে নিজেদেরকে এতােটা নীচে
নামাবে বলে মনে হয় না বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এই
অভিযান চালাতে গিয়ে প্রতিবেশী রাজ্য মণিপুর থেকে আরম্ভ করে সকলের সহযােগিতা পাওয়া যাচ্ছে। মণিপুর সরকার গণ্ডার
হত্যার চোরাশিকারীকে ধরিয়ে দিতে সহায়তা করেছে। মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে অসম
পুলিশের অভিযানকে খুব সফল বলে মন্তব্য করে বলেন, পুলিশের
কাছ থেকে সার্ভিস পিস্তল কেড়ে নিয়ে পালটা পুলিশকেই গুলি করার হুমকি দিলে পুলিশ
বাধ্য হয় গুলি চালাতে। এই অবস্থায় ১৭/১৮ জন আহত হয়েছে এবং একজন নিহত হয়েছে।
বলেন, পুলিশ এই অভিযান চালাতে গিয়ে যথেষ্ট ধৈৰ্য্য ও
সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত পুলিশ প্রায় ৪০০ কোটি টাকার
মাদক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে। তার মধ্যে ২৭ কেজি হেরােইন, ৩ কেজি
মরফিন বাজেয়াপ্ত করেছে। তিনি মনে করেন, এর
সঙ্গে বিশ্বের অন্ধকার জগতের যােগাযােগ থাকতে পারে। এ পর্যন্ত ২০ শতাংশের মতাে মদক
বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এখনও বহু বাকি। তিনি শুরুতে কয়েকটি নেশা যুক্ত ট্যাবলেটের
নাম করেন। সেই একটা ট্যাবলেট খেলে তিনদিন মানুষ বেহুশ হয়ে থাকবে। যা মারাত্মক
নেশা। কংগ্রেসের শেরমান আলী অভিযােগ করেন, অনেক
নিরীহ মানুষও মারা পড়ছে। ঠিকমতাে অপরাধীকে করায়ত্ত করা হচ্ছে না। কংগ্রেসের
রকিবুল হুসেইন বলেন, তাদের এই অভিযানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে। তিনি
পরামর্শ দেন, মাদককারবারীদের সংশােধন করতে রিহাবিলিটেশন
সেন্টার গড়া হােক। তাতে তিনি সহযােগিতা করবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের
ডিজিপি, আইজিপি থেকে শুরু করে সবাই এই অভিযানে সফল হচ্ছে।
কার্বি আংলঙের এক হােমগার্ড হাজার প্রলােভনেও না ভুলে বিরাট মাদক চক্রকে ধরিয়ে
দিয়েছে। রাজ্য সরকার তাকে কনস্টেবল পদে পদোন্নতি দিয়েছে। তিনি ডিজিপি, আইজিপিদের
কাছে অনুরােধ করেন, যারা ঝুঁকি নিয়ে এই কাজ করছে প্রলােভনের ফাঁদে
পা দেয়নি, তাদেরকেও কনস্টেবল এএসআই পদে পদোন্নতি দিয়ে
সম্মানিত করা হােক। তবে তাদের উৎসাহ বাড়বে। তিনি বলেন, বেআইনি
কাজ বেআইনিভাবে মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িয়েছে বলে হাতে নাতে প্রমাণ রেখে এক
হাজারেরও বেশিজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের তুলনায় এনকাউন্টার কমই হয়েছে।
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে জানান, কোনাে ভাবেই মাদক পাচারকারীদের ছাড়া হবে না।
অভিযান চলবেই।
কোন মন্তব্য নেই