জীবন ত্রিপুরা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই দশকের লাঞ্চনার অবসান
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, ধর্মনগর: জীবন ত্রিপুরা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় উত্তর ত্রিপুরা জেলার এক স্বনামধন্য উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে এই বিদ্যালয় বিভিন্ন পারিকাঠানোগত সমস্যায় জর্জরিত রয়েছে। প্রায় ৫০০ ছাত্র-ছাত্রী বিশিষ্ঠ এই বিদ্যালয়ে জাতি জনজাতি সকল শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রীড়া জগতেও রাজ্যস্তরের খ্যাতি অর্জন করেছে।
২০০১ সালে এই বিদ্যালয় দ্বিতল বিশিষ্ঠ একটি দালান ঘর নির্মিত হয় কিন্তু তৎকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির প্রবল উদাসীনতা তথা বিগত সরকারের দ্বায়ীত্বে থাকা অধিকারীরা ও স্থানীয় দলীয় নেতৃত্বের রাজনৈতিক নিষ্ক্রিয়তায় আজ দুই দশক ধরে এই সুন্দর দালান ঘরটি পরিত্যক্তা অবস্থায় রয়েছে।
সূত্রের খবর অনুসারে প্রায় ৩ দফায় ১৫ লক্ষ্যের ও বেশি অর্থ ব্যায় করে উক্ত দালান ঘরের মেরামতের কাজ সম্পন্ন করা হয়। বিশেষ উল্লেখ্য যে আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি প্রত্যক্ষ করেন যে উক্ত দালান ঘরের অনেকগুলো জানালা ভাঙাচোরা অবস্থায় আছে। আভ্যন্তরীন দৃশ্য পরিদর্শন করে অনুমান করা যায় যে এটা কোনো বিদ্যালয় পরিসর নয় বরং নির্জন পরিত্যক্ত জায়গা যেখানে নিয়মিত অসামাজিক ও নেশা দ্রব্য গ্রহণের পক্ষে নিরাপদ স্থান।
বিগত দুই দশকের শত শত ছাত্র ছাত্রীরা এই নুতুন দালান ঘরে পড়াশোনা করার অপূর্ণ আশা নিয়ে এই বিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হয়েছে। এই দীর্ঘ দুই দশকের মধ্যে সর্বস্তরের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলের নেতৃত্ববর্গ এই বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন ও প্রেত্যেকবারই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের নিরাশার স্বীকার হাতে হয়।
২০১৮ সালে ত্রিপুরার বর্তমান মুর্খ্যমন্ত্রী, ত্রিপুরার সাংসদদ্বয়, জেলা শাসক, জেলা সভাধিপতি তথা শিক্ষা দপ্তরের আশিকারিক বার্গের গোচরে এই এটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আসা হয় কিন্তু কোনো সুরাহা হয় নি। বিদ্যালয়ের বর্তমান পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান সমাজসেবী কান্তি গোপাল দেবনাথ এর বিশেষ উদ্যুগে কমিটির সকল সদস্য - সদস্যাদের সহমতে তথা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান: মতি অঞ্জনা নাথ, উপপ্রধান: রাকেশ নাথ, ব্লক সমিতির সদস্য: বিপ্লব নাথ ও জেলা পরিষদের সদস্যা সুনীতি নাথ এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ছাত্রছাত্রী প্রত্যেকের উপস্থিতিতে দুই দশক থেকে শুভ উদ্ঘাটনের অপেক্ষারত দালান ঘরের প্রবেশ করা হয়।
দুই দশকের হাজারো লাঞ্চনা-বঞ্চনা সব কিছুর আবাসন ঘটিয়ে গত ৭ জুলাই ২০২১ ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে নতুন ঘরে প্রবেশ করা হয়। বিদ্যালয় তথা বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সার্বিক বিকাশ ও সুষ্ঠ পরিচালনার লক্ষ্যে কমিটির এই বিকাশমুখী প্রদক্ষেপ কে স্থানীয় সাধারণ জনগণ, ছাত্রছাত্রী তথা সকল অভিভাবকবৃন্দ এই সিদ্ধান্তে প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
কোন মন্তব্য নেই