নতুন করে ভালোবাসার গল্প শোনাবে শটফিল্ম বাক্সবন্দী
নয়া
ঠাহর প্রতিবেদন, আগরতলা :
ত্রিপুরার নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের তৈরি স্বল্প
দৈর্ঘ্যের ছবি "বাক্সবন্দী"র শুভমুক্তি ঘটতে চলছে অল্প কিছুদিনের
মধ্যেই। বাড়িঘরে টিভির সামনে বসে
সিনেমা দেখে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে অভ্যস্ত রাজ্যের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে এইটা
বড় সুখবর। অতীত
দিনে ত্রিপুরায় চলচ্চিত্র শিল্পে বানিজ্যিকভাবে সফলতা তেমনটা না এলেও
রুপান্তর, নোঙর ও মঙ্গলশাঁখ ' র মত
বাংলা সিনেমা এবং লাংমানি হাদুক, মাথিয়া ' র মত
বেশ কয়েকটি ককবরক সিনেমা সাড়া জাগিয়েছিল দর্শকদের মনে।রাজ্যে মূলত
সিনেমা হলগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার দরুনেই বানিজ্যিকভাবে সফলতা আসেনি চলচ্চিত্র
শিল্পে। এই সময়ে আগরতলার দুইটি হল ছাড়া রাজ্যে আর কোথাও নেই সিনেমা হল। দর্শক না
পাওয়ার দরুনেই বন্ধ হয়ে গেছে হলগুলি। করোনার দৌলতে প্রায় দেড় বছর বন্ধ আগরতলার হল
দুইটিও। এই কঠিন অবস্হার মধ্যেও পিন্কি বনিকের প্রযোজনায় তৈরি হচ্ছে এই শটফিল্ম।
দোতলার সিঁড়ি পেড়িয়ে চিলেকোঠা। সেখানে ঘুলঘুলি দিয়ে রোদ্রের সোনালী
আলো ছড়িয়ে পরেছে ঘরময়। বন্দী হয়ে রয়েছে বেশ কিছু স্বপ্ন ও ভালোবাসার কথা। যে
স্বপ্ন বুকে জাগায় আশা, যে ভালোবাসা এগিয়ে নিয়ে যায় বহুদূর। কিন্তু
কোনদিন তার গল্প বলা হয়নি, শোনা হয়নি সেই ভালোবাসার কথা। কেমন
ছিল প্রেমের রঙ? কেমন
করে ভালোবাসারা স্বপ্ন সাজায় বন্দী হয়ে? "বাক্সবন্দী"
বলবে এমন কিছু ভালোবাসার কথা, এমন কিছু সোনালী প্রেমের গল্প। বেড়াজাল পেড়িয়ে
আমরা নিয়ে যাব সেই চিলেকোঠায়, বাক্সবন্দীর গল্প গুলো এক এক করে ছড়িয়ে যাবে এই
সমাজের বুকে। "বাক্সবন্দী" র প্রেক্ষাপট এইভাবেই তুলে ধরলেন কুশীলবরা।
তাদের কথায়, ২০২০ সালে "উড়োচিঠির"
পর ২০২১ সালের কাগজঘরের প্রথম কাজ
"বাক্সবন্দী"। বাক্সবন্দী মূলত ভালবাসার কথা বলছে, প্রেমের
গল্প বলছে। রয়েছে নানা সামাজিক এবং মানসিক টানাপড়েনের কথাও। জুন মাস ছিল প্রাইড
মান্থ। এই মাসে আমরা ভালবাসার নানা রূপ, নানা রঙ,
নানা দিক নিয়ে কথা বলি। তেমন-ই একটি রূপকে, রূপদানের
চেষ্টা করেছে বাক্সবন্দী। প্রায় ২৫ মিনিটের এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবির , অভিনেতা
অভিনেত্রী জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য্য, সূর্য
পাল, অনিন্দিতা সাহা, সঞ্চিতা
রাহা, শিশুশিল্পী রুবিনা সিনহা সকলেই নতুন। অভিনয়
করেছেন ঋতুপর্ণা ভট্টাচার্য্য এবং মধুমিতা তালুকদারও।
পরিচালক সিদ্ধার্থ সাহা, সহ
পরিচালক মধুমিতা তালুকদার এবং শিল্পায়নে মানীষ সিনহার প্রথম পরিশ্রমের
ফসল "বাক্সবন্দী"। ত্রিপুরার
শিল্প জগতের দুই গুনী তারকা প্রসেনজিৎ দেবনাথ চিত্রগ্রহনে এবং
নবজ্যোতি ভারতী করছেন সম্পাদনা ।
প্রত্যেকের ভালোবাসা এবং মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি হতে চলেছে
বাক্সবন্দী, যা একবিংশ শতকে দাঁড়িয়ে নতুন করে আবার কিছু
ভালবাসার গল্প শোনাবে, যা আমরা অনেকেই এমন করে ভাবতে পারিনি এখনো। সেই
না ভাবার কারনে হাজার হাজার ভালবাসা আজ বাক্সবন্দী হয়ে পরে রয়েছে এই শহরের বুকে।
ভালবাসার জন্যে কোন জাত পাত ধর্ম বর্ণ লিঙ্গের প্রয়োজন হয় না, দরকার
হয় দুটি মনের। লাখোয়ারী বাজেটের তৈরি এই ছবির অধিকাংশ শুটিং
হয়েছে ত্রিপুরার নানা জায়গায় । ইতিমধ্যেই ছবিটির টিজার মুক্তি পেয়েছে, যা
দেখলেই বোঝা যায় বেশ টান টান উত্তেজনা রয়েছে গোটা ছবিটিতে।
কোন মন্তব্য নেই