অপরাধীদের ধরতে চরম পন্থা, পুলিশের গুলি, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জাতীয় খবরের শিরোনামে
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা যা পারেন, দেশের
মুখ্যমন্ত্রীরা তা পারেন না। সেই সৎ সাহসও নেই। দেশ জুড়ে অপরাধীদের কারবার। প্রথম
প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন, দেশের দুর্নীতিবাজদের লাইট পোস্টে ঝুলিয়ে
হত্যা করা হবে। আজ ৭০ বছরের ভারত বর্ষে
লাখ কোটি দুর্নীতি বাজকে ফাঁসি কাঠে ঝোলানো
হয়েছে কি? দেশে থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে অসৎ পথে বিদেশের
ব্যাংকে জমা দিচ্ছে। বিদেশে পালিয়ে ফাইভস্টার লাইফ ভোগ করছে। কোথায় কল্যাণকামী সরকার? এই নীতিহীন মূল্যবোধ হীন, দুর্নীতি বাজ সমাজে এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব
শর্মা। তিনি অপরাধীদের শায়েস্তা করতে চরম পন্থা গ্রহণ করছেন।
অপরাধীদের করায়ত্ত করতে সোজা গুলি। কোন ক্ষমা নেই। এপর্যন্ত ১৫, ২০জনকে গুলিবিদ্ধ করা হয়, ৪/৫ জন মারা যায়। গতকাল ধুবুড়িতে
ব্রহ্মপুত্র নদে হলিউড কায়দায় ৩ জন গরু পাচার কারীকে গুলি করা হয়। ২২ টি গরু উদ্ধার করা
হয়। আজ ডিব্রুগড়ে গরু পাচারকারীকে গুলি করা হয়। নিম্ন অসমে আব্দুল খালেক নামে
একজন দুর্ধর্ষ ডাকাতকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গত ৫০ দিনে মাদক প্যাডলারদের ধরে প্রায় ১৫০ কোটির মাদক ধরেছে
কয়েকশোকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছে।
এই অপরাধের সঙ্গে
অধিকাংশ মুসলিম সমাজের মানুষ জড়িত ঘটনায় সেই প্রমাণ
পাওয়া যাচ্ছে। তাই এখন থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মুখ্যমন্ত্রী এক
জনগোষ্ঠীর মানুষকে টার্গেট করছেন। মানবতাবাদী
সংগঠন এখন ও চুপ করে আছে। গুলি করে হত্যার চেষ্টা
বা গুলিবিদ্ধর ঘটনা নিয়ে বিজেপি সরকারকে বিব্রত করতে পারে। সাড়া দেশ যা পারছে না
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কি করে অপরাধীদের দমনে এমন কড়া শাস্তি দিতে পারছেন।
যা নিয়ে দেশ জুড়ে সি চর্চা চলছে, সংবাদপত্রে শিরোনামে স্থান পাচ্ছে। হাজার শত্রুও
মেনে নেবে, হিমন্ত বিশ্ব শর্মার অসীম সাহাসকে স্যালুট জানাবে। মেনে নিতেই হবে
অসমের অপরাধ জগৎ থমকে গেছে। মাদক, গরু পাচার, নারী নির্যাতনের ঘটনা কমে গেছে। অপরাধীদের
বিরুদ্ধে এই কড়া অভিযান আর কতদিন চলবে। পাশের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জেলা বারুদের স্তূপের উপর
বসে আছে। মালদহ জেলাতে আর্ন্তজাতিক ভারত বিরোধী চক্র ধরা পড়েছে। এক চীনা
নাগরিককে ধরে বিস্ফোরক সব তথ্য পাওয়া গেছে। বর্ধমান জেলাতে বাংলাদেশের
মৌলবাদী জঙ্গিদের ঘাঁটির সন্ধান পাওয়া
গেছে। সীমান্ত জেলায় অপরাধজনিত ঘটনা বহু বেশি। তৃনমূল সরকার
ক্ষমতার বসার দিন বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠনগুলি বোমা ফাটিয়ে বিজয়
উল্লাস করে। পাশের রাজ্যে এক অশুভ শক্তি মাথা চাড়া দিচ্ছে আর অসমে অপরাধ জগতকে গুলি করে স্তব্ধ করে
দিতে পারবেন কি অসম সাহসী
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা?
কোন মন্তব্য নেই