১৫ আগস্টের মধ্যে রাজ্যে সংক্রমণ কমে যাবে, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটি : অসমে ১৫ আগস্টের মধ্যে করোনা সংক্রমণ কমে যাবে। তৃতীয়
ওয়েভ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। শিশুদের আক্রমণ করবে বলা হচ্ছে। কিন্তু শিশুদের
যেকোনো রোগে প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। আজ মুখ্যমন্ত্রী একথা বলেন। তিনি জানান,
প্রতিদিন ৩ লাখকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কাল
থেকে রাজ্যে নতুন এস ও পি চালু করা হবে। গুয়াহাটিতে বেলা ২ টা থেকে কারফিউ জারি করা
হবে। আগের এস ও পি লাগু থাকবে। নগাঁও, কাছাড়, তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড় ইত্যাদি জেলার
অবস্থা ভালো নয়। লকডাউন শিথিল তো হবেই না। ফুল লকডাউন জারি হতে পারে।
আর্ন্তজেলা পরিবহন চালু হচ্ছে না। নগাঁও থেকে সুনীল রায় জানান, জেলাতে ১০৪টি অঞ্চলে
কন্টেইনমেন্ট জন ঘোষণা করা হয়। জেলাতে পূর্বের তুলনায় কভিড-১৯র সংক্রমণ সামান্য
পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। বিশেষ করে জেলার গ্ৰামাঞ্চলে সামগ্ৰিকভাবে স্বাভাবিক
অবস্থা এই প্রর্যন্ত ঘুরে না আসার পরিপ্রেক্ষিতে নগাঁও জেলা প্রশাসন যথেষ্ট
পরিমাণে উদ্বিগ্ন। প্রায় সপ্তাহ ধরে নগাঁও জেলা পুলিশ প্রশাসনকে কিছু কিছু
ক্ষেত্রে কঠোর হতে দেখা গিয়েছে। দিনের ১টার পর কোনো ব্যক্তি রাজপথে ঘুরা-ফেরা না করার
আহ্বান জানিয়েছেন। নগাঁও জেলাতে কোভিড সংক্রমণ অব্যাহত থাকার পরিপ্রেক্ষিতে আজ জারি
করা এছ অ পিতে কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি গ্ৰহণ করে রাজ্য সরকার থেকে নির্দেশনা
লাভ করে পুলিশ প্রশাসন। আগামীকাল থেকে অধিক কঠোর হওয়ার সম্ভবনা আছে। আজ নগাঁও
জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের মতে জেলাতে আজ পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার ১০৫ জন ব্যক্তি কোভিড
আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ১০ হাজার ৩১২ জন লোকের কোভিড
পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে ১০ হাজার ১৮৯ জন আর এ টি পরীক্ষা করার সাথে ১২৩ জন
লোকের আর টি পি সি আর পরীক্ষা করার পর মোট ১৪৪ জন ব্যক্তির শরীরে আজ কভিডের লক্ষণ
ধরা পরেছে। আক্রান্ত সকলের ভিতরে আজ ১৩০ জন রোগীকে জেলার বিভিন্ন কোভিড পরিচর্যা
কেন্দ্রে চিকিৎসার প্রদান করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকী ১৪ জন কোভিড আক্রান্তদেরকে
নিজের নিজের বাড়ীতে চিকিৎসা সেবা গ্ৰহণের পরামর্শ প্রদান করেছে। জেলার স্বাস্থ্য
বিভাগের মতে নগাঁও জেলাতে বর্তমান সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ২৩৯ জন এবং
১২ হাজার ৭৮৬ জন ব্যক্তি কোভিড থেকে মুক্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, আজ জেলার কোনো
ব্যক্তির কোভিডে মৃত্যু হয়নি। তাছাড়া, নগাঁও জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, বিগত
সময়ে কোভিডের দ্বিতীয় ওয়েভে জেলার মোট ৮০ জন লোকের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে,
জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জেলাশাসক কবিতা পদ্মনাভন মোট ১০৪টি স্থানে কন্টেইনমেন্ট জোন
ঘোষণা করেছিল। আজও একটি অঞ্চলে কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষনা করতে বাধ্য হয়েছে জেলাশাসক।
কোন মন্তব্য নেই