প্রাক্তন মন্ত্ৰী ডা: অর্ধেন্দু দে পত্মী মায়া দে প্রয়াত
বিজয় চক্রবর্তী, হোজাই : মায়া
দে, আসামের প্রাক্তন মন্ত্রী, খ্যাতনামা
চিকিৎসক, কবি ডাঃ অর্ধেন্দু কুমার দে মহাশয়ের সহধর্মিনী, আমার আন্তরিক শ্রদ্ধারবৌদি। আজ উষা বিদায় নেবার
পূর্বে এই গ্রহের সমস্ত মায়া কাটিয়ে চিরশান্তির স্বর্গালোকের কৃষ্ণধামে তিনি আশ্রয়
নিয়েছেন, ৭৬ বৎসর
বয়েসে। দীর্ঘ ৫৫ বৎসরের
দাম্পত্য জীবনের এক মাত্র উপহার নোনা (অনিরুদ্ধ)কে রেখেগেছেন। শাঁখা সিঁদুর নিয়ে বিদায় নিলেও রেখে গেছেন স্বামী,
পুত্র বধূ, নাতি-নাতনি সহ আত্মীয় স্বজন ও অনেক গুণমুগ্ধ শুভাকাঙ্খী। সংসার ধর্ম গ্রহণের পূর্বে তিনি আসাম সরকারের স্বাস্থ্য সেবিকা পদে কর্মরত ছিলেন। ধর্মপরায়না এই মহীয়সী রামকৃষ্ণ সরদার অনুরাগী
ছিলেন। তিনি
গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতে দীক্ষিত হয়ে ইস্কন আদর্শে নিজেকে উৎসর্গ করে জীবনের শেষ দিন
পর্যন্ত সেই আদর্শকেই পাথেয় করে স্বর্গালোকের কৃষ্ণধামে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি সকল ধরনের ধর্মীয় সঙ্কীর্ণতার উর্ধে ছিলেন। গীতা ভাগবতের আধারে তিনি প্রতিটি প্রচলিত ধর্মের
খুব সুন্দর অথচ সাবলিল ব্যখ্যা করতেন। তাঁর মত
ও পথ অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে। তিনি
১০০০ গীতা দান করেছেন। হোজাইর
ইস্কন মন্দিরের তিনি প্রতিষ্ঠাতা। হোজাই
সরদা সঙ্ঘ, নিখিল
ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন, হোজাই
শাখার তিনি আজীবন সদস্যা ছিলেন। ধর্মীয়
সংখ্যা লঘু কচিকাঁচাদের শিক্ষা প্রদানের জন্য হোজাইর রাইকাটা গ্রামে তিনি একটি
প্রাথমিক বিদ্যালয় বানিয়ে দিয়েছেন, নাম-মায়া দে প্রাথমিক বিদ্যালয়। তিনি একজন প্রচার বিমুখ সুকবি। তাঁর মৃত্যুতে আমি আমার এক শুভাকাঙ্খী, স্নেহপরায়না অভিবাবক তুল্য বৌদিকে হারালাম। তাঁর আত্মার সদগতি কামনা করছি। শোক সন্তপ্ত পরিবার পরিজন, আত্মীয়স্বজন,
বন্ধু বান্ধব গুণমুগদ্ধদের
সঙ্গে আমিও সম ব্যাথি।
কোন মন্তব্য নেই