Header Ads

অমানবিক উচ্ছেদ অভিযান অবিলম্বে বন্ধের দাবি নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমিতির

নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটিঃ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই উগ্র-প্রাদেশিকতাবাদি ও উগ্র-সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলোর স্বার্থে ধারাবাহিকভাবে একের পর এক অগণতান্ত্রিক ও বিদ্বেষমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলে নাগরিক অধিকার   সুরক্ষা সমিতি  আজ    অভিযোগ করেছে। তাদের অভিযোগ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি জমি দখলমুক্ত করার অজুহাতে ৫০/৬০ বছর ধরে বসবাস করা মুলত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগণকে তাদের বাসস্থান থেকে বেআইনি ভাবে উচ্ছেদ করছে এবং সম্প্ৰতি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে মুলত জনসংখ্যা বৃদ্ধির দায়ভার সংখ্যালঘুদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। উক্ত প্রতিটি ঘটনার পেছনে রাজ্যের ক্ষমতাসীন সরকারের মনোভাব পরিষ্কার ভাবে প্রকাশিত হয়েছে যা একটি গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের চরিত্রের সাথে বেমানান। দেশে যখন কোভিড মহামারির ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনহানি ঘটেছে, এমনকি শ্মশানে, কবরস্থানে শবদেহ সৎকারের স্থান সংকুলান পর্যন্ত হয়নি, হাজার হাজার শিশু তাদের পিতা, মাতা হারিয়ে অনাথ হয়ে গিয়েছে এবং কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পর্যাপ্ত সরকারি সাহায্যের অভাবে অর্ধাহারে,অনাহারে  দিনযাপন করছে ঠিক তখনই আসাম সরকারের চরম সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি পরিলক্ষিত হচ্ছে যা সুস্পষ্টভাবে মানবতাবিরোধী।

বিশেষকরে কোভিড মহামারি রোধে সরকারের পক্ষ থেকে একদিকে যখন জনসাধারণকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে ঠিক তখনই নির্দয়ভাবে করিমগঞ্জ, হোজাই, শোনিতপুর,চিরাং ইত্যাদি জেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগণকে অবৈধ দখলদার ও বিদেশি তকমা লাগিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করা বসতবাটি থেকে উচ্ছেদ করে খোলা আকাশের নিচে সন্তান, সন্ততি ও বৃদ্ধ পিতা, মাতাকে নিয়ে থাকতে বাধ্য করেছে যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও দানবিক। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত আসাম সরকার রাজ্যের ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক অধিকার, নাগরিকত্ব ও বাস্তুভিটা কেড়ে নিতে অতি তৎপর হয়ে উঠেছে। উচ্ছেদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও অগ্রিম কোনো লিখিত নোটিশ জারি না করে উচ্ছেদ করার পেছনে সরকার যে যুক্তিই দেখাক না কেন তাদের আসল উদ্দেশ্য অসহায় মানুষের শেষ আশ্রয়টুকু কেড়ে নেওয়া।

রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে কর্মহীন, শ্রমজীবী পরিবারের মুখে দুবেলা দুমুঠো খাদ্যের ব্যবস্থা করা, সরকারি বিধিনিষেধের ফলে কর্মহীন হওয়া জনগণকে উপার্জনের সুযোগ করে দেওয়া, আকাশচুম্বী মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা, কাছাড় ও নগাঁও কাগজ কল সহ রাজ্যের সমস্ত বন্ধ কলকারখানা অবিলম্বে চালু করা এবং কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলায় যথোপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা রাজ্য সরকারের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হওয়া উচিত, তার পরিবর্তে ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিরোধী সরকারের বর্তমান অবস্থান আমাদের ব্যথিত ও বিক্ষুব্ধ করেছে। তাই আমরা নবনির্বাচিত সরকারের কাছে আহ্বান  অমানবিক ও বেআইনি উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে, কাছাড় ও নগাঁও কাগজ কল পুনরায় সরকারি খন্ডে চালু করতে হবে ও এই সরকারের সংখ্যালঘু বিরোধী অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে। 

কোনো আধুনিক সভ্য দেশে ভাষা-গণতন্ত্র আক্রান্ত হলে মানবিকতা ও নৈতিকতার মূল স্তম্ভই যেহেতু বিপর্যস্ত হয়,এহেন স্বৈরাচারী অত্যাচার থেকে আসাম সরকারকে আমরা বিরত থাকতে অনুরোধ সি  আর পি সি-র  রাজ্য কমিটির পক্ষে  এই আবেদন জানানতপোধীর ভট্টাচার্য সভাপতি, সি আর পি সি সি, আসামনৃপেন্দ্র চন্দ্র সাহা, সভাপতি, সি আর পি সি। বিজিত কুমার ভট্টাচার্য, কবি, সাহিত্যিক ও  সম্পাদক সাহিত্য পত্রিকা, হাইলাকান্দি। মাওলানা সারিমুল হক লস্কর, মুখ্য উপদেষ্টা, আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত উত্তর-পূর্ব ভারত। এডভোকেট হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরী মুখ্য উপদেষ্টা, নাগরিক অধিকার রক্ষা সমিতি ও নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় সমিতি। সাধন পুরকায়স্হ কো-চেয়ারম্যান সি আর পি সি সি, আসাম। সুনীত রঞ্জন দত্ত, কো-চেয়ারম্যান,সি আর পি সি সি, কেন্দ্রীয় কমিটি। অরুণাংশু ভট্টাচার্য সাধারণ সম্পাদক সি আর পি সি সি, আসাম। অধ্যাপক দিলীপ কুমার দে, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, শিলচর সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়, সাধারণ সম্পাদক সক্রিয়পন্থী প্রবীণ নাগরিক মঞ্চ, শিলচর। কিরণ শংকর মোহান্ত, করিমগঞ্জ, উপদেষ্টা, সি আর পি সি সি, কেন্দ্রীয় কমিটি। বলরাম দাস, উপদেষ্টা, সি আর পি সি সি, করিমগঞ্জ জেলা কমিটি। মন্দিরা নন্দী, প্রাক্তন অধ্যক্ষা, রবীন্দ্র সদন মহিলা কলেজ, করিমগঞ্জ। পরিতোষ চন্দ্র দত্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষ, এস এস কলেজ হাইলাকান্দি। সঞ্জীব দেব লস্করপ্রাবন্ধিক। দীপঙ্কর চন্দ প্রাক্তন অধ্যক্ষ, গভর্নমেন্ট হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, শিলচর। আশিস চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী মুজিবুর রহমান বড়ভূইয়া, সিআরপিসিসিহাইলাকান্দি। কাঞ্চনবরণ সিংহসম্পাদক, ফিরাল সাহিত্য পত্রিকা, দুল্লভছড়া জয়দীপ ভট্টাচার্য, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু সেবা সংস্থা, শিলচর। এডভোকেট আব্দুল হাই লস্কর, শিলচর। ইমাদ উদ্দিন বুলবুল, আইনজীবী। কমল চক্রবর্তী, সমাজকর্মী। নির্মল কুমার দাস, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সিআরপিসিসি, আসাম। ড. প্রসেনজিৎ বিশ্বাস বরাক হিউম্যান রাইটস প্রোটেকশন কমিটি, শিলচর। আতিকুল বারি চৌধুরী, সভাপতি, জেলা বার সংস্থা, করিমগঞ্জ। বিধায়ক দাস পুরকায়স্হ, সাধারণ সম্পাদক, সি আর পি সি, বঙ্গাইগাঁও। শেখর দে, গুয়াহাটি, সি আর পি সি। চন্দন মজুমদার, সি আর পি সি, ডিব্রগড়। কমল দত্ত, সি আর পি সিহোজাই। এডভোকেট নজরুল ইসলাম, গোয়ালপাড়া। মোস্তফা খাদ্দাম হুসেইন, লিগেল এডভাইজার, 'আমসু'। রেজাউল করিম সরকার, সভাপতি, 'আমসু'। নজরুল ইসলাম মাঝারভূঁইয়া, আইনজীবি, গুয়াহাটি হাইকোর্ট। মাওলানা এম এম হানিফ লস্কর, কেন্দ্রীয় সভাপতি অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্ট (এ আই এস এফ)। দিলীপকান্তি লস্কর, সম্পাদক লালনমঞ্চ, করিমগঞ্জ। সুব্রত চন্দ্র নাথ, প্রাক্তন শিক্ষক, সভাপতি এ আই ইউ টি ইউ সি। শিহাবুদ্দিন আহমদ, সভাপতি, হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন। শ্যামদেও কুর্মী, প্রাক্তন শিক্ষক, সভাপতি এ আই কে কে এম এস। ভবতোষ চক্রবর্তী, সমন্বয়ক কমিটি সি আর পি সি সি, আসাম। শিবানী বিশ্বাস, প্রধান শিক্ষিকা, শৈলজা বিশ্বাস মনিমুক্তা বিদ্যামন্দির, করিমগঞ্জ। মৌলানা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, প্রাক্তন অধ্যক্ষ, দেওরাইল টাইটেল মাদ্রাসা, বদরপুর।  তমোজিৎ সাহা সম্পাদক, উজ্জ্বল পান্ডুলিপি। অজয় রায়, আহ্বায়ক, শিলচর-লামডিং ব্রডগজ রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটি। ডা.এম শান্তি কুমার সিংহ, সম্পাদক, সিআরপিসিসি। প্রদীপ কুমার দেব, কোষাধ্যক্ষ, সি আর পি সি সি, আসাম। শিখা দাশগুপ্ত, সম্পাদিকা, করিমগঞ্জ জেলা মহিলা মঞ্চ। পীযুষ মজুমদার, বদরপুর, প্রাক্তন সহ সভাপতি, রেলওয়ে এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন, মালিগাঁও। আশু পাল, বরাক ভ্যালি ব্লাড ডনেশন ফোরাম। খলিল আহমেদ মজুমদার সম্পাদক, মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন,হাইলাকান্দি জেলা কমিটি৷ মানস দাস, অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন (NTUI অনুমোদিত)। আনছারুল্লাহ তালুকদার ছাত্র, গণজ্ঞাপন বিভাগ, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়। সুশীল পাল, সি আর পি সি সি, হাইলাকান্দি। হিল্লোল ভট্টাচার্য, সম্পাদক সি আর পি সি সি। আলতাফ হুসেন লস্কর, সিআরপিসিসি, চিপরসাঙ্গন, হাইলাকান্দি। সুশান্ত কর, প্রাবন্ধিক, তিনসুকিয়া। সুব্রত রায়, সি আর ইউ, শিলচর। রাহুল রায়, প্রাবন্ধিক, শিলচর। মধুসূদন কর, সি আর পি সি সি। পারিজাত নন্দ ঘোষ, সমাজকর্মী, তিনসুকিয়া। আবুল কালাম তপাদার সভাপতি, মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন, করিমগঞ্জ জেলা কমিটি। নেহারুল আহমেদ মজুমদার, বরাক হিউম্যান রাইটস প্রটেকশন কমিটি। নাসির উদ্দিন সিদ্দিকী, ন্যাশনাল হিউম্যান ওয়েলফেয়ার অর্গেনাইজেশন, করিমগঞ্জ। মানবেন্দ্র চক্রবর্তী, সভাপতি, JACRU কাছাড় ও নগাঁও কাগজ কল। কল্পার্ণব গুপ্ত, মুখ্য আহবায়ক, বরাক ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ ফ্রন্ট। জহুর উদ্দিন বড়ভূইয়া , সম্পাদক,মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন (M .S. U), কাটলিছড়া ব্লক কমিটি৷ আতাউলল্লাহ বড়ভূইয়া, সভাপতি, (M.S.U), কাটলিছড়া ব্লক কমিটি। কুতুব উদ্দিন বড়ভূইয়া,সম্পাদক (M.S.U), হরিশনগর G.P. কমিটি৷ অবিনাশ রায়, সভাপতি (M.S.U.), হরিশনগর G.P.কমিটি৷ শংকু রায়, উপদেষ্টা (M.S.U.) কাটলিছড়া ব্লক কমিটি৷ সালিম উদ্দিন, উপদেষ্টা(M.S.U), কাটলিছড়া ব্লক কমিটি৷ নাসির উদ্দিন বড়ভূইয়া, সহ-সভাপতি (M.S.U), হাইলাকান্দি জেলা কমিটি৷ অর্পিতা চৌধুরী, গবেষক, শিলচর। নবদ্বীপ দাস, সি আর পি সি সি, আসাম, শিলচর। বিজিত কুমার সিংহ, সম্পাদক এ আই ডি ওয়াই ও, কাছাড় জেলা কমিটি। অরুণ চ্যাটার্জি, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক, কদমতলা হাইস্কুল, রামকৃষ্ণনগর। আব্দুর রশিদ, আইনজীবি, করিমগঞ্জ। মনিদীপা দেব, আইনজীবি, করিমগঞ্জ। ফারুক চৌধুরী, আইনজীবি, করিমগঞ্জ। অনির্বাণ ভট্টাচার্য, সাংস্কৃতিক কর্মী সংগঠক, করিমগঞ্জ। বাসুদেব সেন, কার্যকরী সদস্য, সি আর পি সি সি, আসাম। রঞ্জিত চন্দ, কার্যকরী সদস্য, সি আর পি সি সি, আসাম। গৌতম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক, মাতৃভাষা সুরক্ষা সমিতি, কেন্দ্রীয় কমিটি। স্বপন বণিক, কার্যকরী সদস্য, সি আর পি সি সি, আসাম। পিকলু দাস, আইনজীবি, করিমগঞ্জ। অনিন্দ্য ভট্টাচার্য, বদরপুর,সাংবাদিক।  কেদার ভট্টাচার্য, শিক্ষক রামকৃষ্ণনগর। পরিমল চক্রবর্তী , কার্যকরী সদস্য, সি আর পি সি সি, আসাম। তুষার দাস, কার্যকরী সদস্য, সি আর পি সি সি, আসাম। বদরুল হক চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য, সি আর পি সি সি, আসাম। বিনয় হালাম, বাজারিছড়াকার্যকরী সদস্য, সি আর পি সি সি, আসাম। বিষ্ণু দত্ত পুরকায়স্থ, করিমগঞ্জ, কার্যকরী সদস্য, সি আর পি সি সি, আসাম। অজয় চৌধুরী,করিমগঞ্জ  সমাজকর্মী।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.