বাংলাভাষী সহ অসমের ৩৩টি জনগোষ্ঠীর গ্রামের এবং জনসংখ্যার তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ সরকারের
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : অসমে জন বিন্যাসের জটিলতা, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশেষ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ এক কোটিরও বেশি
মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষের মনোভাব রাজ্যে অবিশ্বাসের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। এন আর সি তালিকা থেকে বাদ পড়ল
১৯ লাখ, অধিকাংশই ভারতীয় নাগরিক। তাদের ভাগ্য ঝুলে থাকল। তাদের ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। এন আর সি রূপায়ণ করার নামে সরকারের ১৬০০ কোটি জলে গেল। এবার নির্বাচন কেন্দ্রগুলোর সীমা নির্ধারণ করার প্রয়াস চলছে। মুসলিম ভোটারদের নির্বাচন কেন্দ্রগুলোর একাধিপত্য খর্ব করে অমুসলিম ভোটারদের অর্ন্তভুক্ত করার লক্ষ্যে ডিলিমিটেশন করতে চাইছে সরকার। রাজ্যের সংখ্যালঘু
সংগঠনগুলোর এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। এবার সরকার রাজ্যের অন্যতম জনগোষ্ঠী বাঙালি হিন্দুদের জনসংখ্যা নিরুপন করার জন্যে
তাদের গ্রামগুলোকে চিহ্নিত করতে চাইছে
সরকার। শুধু বাঙালি হিন্দু নয়, হিন্দিভাষী, নেপালি, বরাকের পার্বত্য
উপজাতি গোষ্ঠী, মাইমাল, মণিপুরী, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী, নাথযোগী, কোচ রাজবংশী, তাইআহোম, কলিতা, বর্মন, ডিমাসা, কাছারি প্রভৃতি ৩৩টি
জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যা ও তাদের গ্রামের হিসাব চেয়েছে সরকার। গত ৯ জুন
ডাবলু পি টি এবং বি সি বিভাগের যুগ্ম সচিব সুসমা হাজরিকা টিএ ডি/বিসি/৬৩৩/২০২১/3 নম্বর চিঠিতে জেলার ডেপুটি
কমিশনারদের জরুরিভিত্তিতে এই তালিকা পেশের নির্দেশ দিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই