রাইমনা রাষ্ট্রীয় উদ্যানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন বনমন্ত্রী শুক্লবৈদ্যের
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটি : নতুন করে ঘোষিত রাইমনা রাষ্ট্রীয় উদ্যানটি বৃহস্পতিবার বন ও
পরিবেশমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য কোকরাঝাড় জেলার কাচুগ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে
উদ্বোধন করে। মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য উদ্যানটি উদ্বোধন করে মন্তব্য করেন, অভিলেখ
সময়ের ভিতরে আরম্ভ হওয়া রাইমনা রাষ্ট্রীয় উদ্যানটি রাজ্যের সঙ্গে বিশষ করে
বড়োল্যাণ্ড টেরিটিরয়েল অঞ্চলের উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক বিশেষ গতি প্রদান করবে। তিনি
বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গান্ধী মণ্ডপে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে
আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কার্যসূচি ঘোষণা করার এক সপ্তাহের ভিতর রাজ্য দুটি রাষ্ট্রীয়
উদ্যান লাভ করল। উদ্যানের সংরক্ষণ প্রচেষ্টাকে অধিক সবল করে তুলতে ও পর্যটন
ক্ষেত্রকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করবে।
জনগণকে প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী
শুক্লবৈদ্য বলেন, প্রকৃতিকে সরক্ষণ করতেই হবে, উদ্ভিদ ও প্রাণীকূলকে রক্ষা করতেই
লাগবে, এটা আমাদের অস্তিত্বের ওপর নির্ভরশীল। অন্যথা মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে
দাঁড়াবে। রাইমনা রাষ্ট্রীয় উদ্যান প্রকৃতির আশীর্বাদ প্রাপ্ত এবং এই উদ্যানটিকে
দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদ্যান হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সর্বাত্মক প্রচেষ্টী করতে
লাগবে।
তিনি বলেন, ৪২২ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চলের এই উদ্যানটি বিভিন্ন
প্রাণী ও উদ্ভিদের সমৃদ্ধি এবং এর সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য মানস রাষ্ট্রীয় উদ্যানের
মতো এটাকেও বিভিন্ন জন্তু স্থানান্তর করার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সঙ্গে মন্ত্রী শুক্লবৈদ্য বিটিআর প্রশানকে উদ্যানের উন্নয়নের
জন্য এক বিস্তৃত পরিকল্পনা এই সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করারও নির্দেশ দেন। তিনি
উদ্যানের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিটিআর প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহায়ের আশ্বাস দেন। তিনি
বিটিআর অঞ্চলের কার্বন পদাংক নির্ণয়ের জন্য কার্বন মূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়ে
বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভূটান যে প্রদূষণমুক্ত ও কার্বন নিগেটিভ, বিটিআর অঞ্চল যা
ভুটানের সঙ্গে সংলগ্ন, অতি সহজে এক কার্বন নিগেটিভ অঞ্চলে পরিগণিত করতে পারা যায়।
এর আগে মন্ত্রী শুক্লবৈদ্য বিটিসি মুখ্য প্রমোদ বড়োকে
রাইমনা রাষ্ট্রীয় উদ্যান ঘোষণার গেজেট সূচনা হস্তান্তর করেন। বিটিসি চিফ প্রমোদ
বড়ো মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও মন্ত্রী শুক্লবৈদ্যকে রাইমনা রাষ্ট্রীয়
উদ্যান রূপান্তরিত করার জন্য প্রশংসাপত্র প্রদান করেন। এ উপলক্ষ্যে বিটিসি চিফ
প্রমোদ বড়ো বলেন, রাইমনা রাষ্ট্রীয় উদ্যানের ঘোষণা বিটিআর অঞ্চলের জন্য এক
উল্লেখনীয় দিন। তিনি বলেন, বিটিআর প্রশাসন পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের থেকে সিএইচআর
হিসাবে লাভ করা ৭.৯ কোটি টাকা এই উদ্যানের উন্নয়নের ক্ষেত্রে খরচ করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও বন-পরিবেশ মন্ত্রী পরিমল
শুক্লবৈদ্যকে রাইমনাকে কম সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রীয় উদ্যান ঘোষণা করার জন্য ধন্যবাদ
জানিয়েছেন প্রমোদ বড়ো।
অনুষ্ঠানে প্রধান সচিব, পরিবেশ ও বন বিভাগ, অবিনাশ যোশী,
পিসিসিএফ ও হ’ফ, এ এম
সিং, পিসিসিএফ
(বন্যপ্ৰাণী), অমিত সাহা, পিসিসিএফ(জলভূমি), রঞ্জনা গুপ্তা নিজের বক্তব্য রাখেন।
ডেপুটি সিইএম,
গোবিন্দ চন্দ্ৰ বসুমতারী, বিধায়করা, এমসিএলএ,
প্ৰধান সচিব, বিটিসি, উপায়ুক্ত, এস পি, এস ডি ও,
গোসাঁইগাঁও প্রমুখ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন।
কোন মন্তব্য নেই