Header Ads

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও মাদক বিরোধী অভিযান হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকারকে স্টারমার্ক দেবে

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এক মাসের সরকারের নানা সফলতা তুলে ধরে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাংবাদিক সম্মেলনে নানা উজ্জ্বল ছবি তুলে ধরলেন। কিন্তু এই সরকারের সবচেয়ে বড় বিফলতা রাজ্যের এক কোটি ১০ লাখ মুসলিম জনগোষ্ঠীর মানুষকে আস্থার মধ্যে নিতে পারেননি। সরকারি জমি বেদখল হলে সরকার উচ্ছেদ করবেই। কিন্তু এই জনগোষ্ঠীর ভোটাররা বিজেপি দলকে ভোট দেয়নি বলে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর কমিটিগুলোকে ভেঙে দেওয়ার এবং পদগুলো বাতিল করার নজির দেশে নেই। পাশের প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের ৩৪  শতাংশ ভোটার তৃণমূল কংগ্রেস দলকে দুহাত ভরে ভোট দিয়ে মমতা সরকারকে ক্ষমতায় নিয়ে এল। অসমের ও প্রায় ৩৪ শতাংশ মুসলিম জনগোষ্ঠীর মানুষ বিজেপি সরকারকে উপেক্ষা করে বাইরে থেকে গেল। অসমে তৃণমূল কংগ্রেস দলের শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলার লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের "সেকেন্ড ইন কমান্ড", তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অসমে সংগঠন গড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে কলকাতার এক সূত্র  জানান। তৃণমূলের একমাত্র টার্গেট হবে সেই ৩৪ শতাংশ। আগামী নির্বাচনে মুখ্য ভূমিকা নেবে সেই ৩৪ শতাংশ। ধর্মনিরপেক্ষ নীতিকে উপেক্ষা করা এ আই ইউ ডিএফ-তো ৩৪ শতাংশের পাশে থাকবেই। তাই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ২৪ ঘন্টা সেবা করার অঙ্গীকার করলেও ১১০ কোটির আস্থা অর্জন করা তাদের মন জয় করতে হবে। আজ সাংবাদিক সন্মলেনে বলেছেন   রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম সংগঠনগুলোর সঙ্গে এক সঙ্গে বসে তাদের আস্থার মধ্যে নিয়ে জমি বেদখল সহ অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধান করবো। মুসলিম সমাজের ব্যাধি অধিক সন্তানের জন্মদান। তা আটকাতে সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন এনেছে। তিনি বলেন, অস্বাভাবিক হারে সন্তানের জন্ম হলে সরকারি জমি বেদখল হবেই, মন্দিদের সব জমিও দখল হয়ে যাবে। তা তো হতে দেওয়া যাবে না। হিন্দু-মুসলিম ধর্ম ভাষা জাতি নির্বিশেষে সব দরিদ্র মানুষের অভিভাবক হিসাবে তিনি কাজ করবেন সবার সহযোগিতা নিয়ে সরকার চালাবেন এই মহৎ উদ্দেশ্যের কথাও জানাতে ভুললেন না। এক মাসের শিশু সরকার কোভিড ১৯ নিয়ন্ত্রণে, মাদকের হাত থেকে যুবপ্রজন্মকে রক্ষা মুখ্যমন্ত্রীর শিশু সেবা  নিয়মিতভাবে পেনশন প্রদান, বেদখল মুক্ত, আলফার হাত থেকে রিতুল শইকিয়াকে মুক্তি এক লাখ নিযুক্তির প্রক্রিয়া শুরু, এনআরএলে ২৬ শতাংশ শেয়ার ক্রয়, গরু পাচার, মাদক চোরাই, সিন্ডিকেট রাজ খতম করতে জিরো টোলারেন্স কঠোর নীতি গ্রহণ, বন্যা সমস্যা স্থায়ী সমাধানের পথ খোঁজা, চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা হল কিন্তু বরাকের শ্রমিক একই কাজ করেও কম মজুরি পাবে। প্রতি সপ্তাহে ক্যাবিনেট বসবে, কৃতি মানুষদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা, বিজ্ঞান প্রযুক্তিবিদ্যা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগ, বিটিসির রাইমনা ও উজানে দিহিং পাটকাইকে রাষ্ট্রীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষণা। পুলিশ বিভাগের সংস্কার সাধন বিশেষ করে জনতা ভবনে ২৪ ঘন্টা কাজ করার কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী   জনতার বাহবা কুরোলেও সরকারি অফিসগুলোতে কর্ম সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনা হবে বড় চ্যালেঞ্জ। গত তিন চার দশক থেকে অসমের যুব প্রজন্মকে মাদক পঙ্গু করে দিয়েছে। গুয়াহাটি মহানগরে অধিকাংশ কলেজের একাংশ ছাত্রের সঙ্গে একাংশ ছাত্রীও নিয়মিত মাদক গ্রহণ করে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ আছে। পুলিশ রাজ্যে অভিযান চালিয়ে ৭৮৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। ২৫ কোটি টাকার। হেরোইন, গাঁজা, ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর বড় সফলতা। অভিভাবকদের বুঝিয়ে সন্তানদের নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে অভিযান করে লাভ নেই। আর মদের কথা কেন বলা হচ্ছে না। মদ ও তো যুবপ্রজন্মের ধ্বংসের আরও এক কারণ। পশ্চিমবঙ্গের সরকার ঝুঁকি নিল না, মাধ্যমিক, উচ্চ  মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসার পরীক্ষা বাতিল করে দিল। এবছর হবে না। মুখ্যমন্ত্রী আজ বলেন, করোনা সংক্রমণের হার তিন শতাংশের নীচে নেমে এলে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ব্যবস্থা হবে। ১৫ আগস্টের মধ্যে পরীক্ষার ব্যবস্থা হবে। কোভিড আক্রান্ত পরিবারের অনাথ  শিশুদের মাসে ৩৫০০ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এই সরকারের শুভ প্রয়াস। ২৪ বছর পর্যন্ত এই সুবিধা দেওয়া হবে। বিবাহযোগ্য তরুণীদের  অরুন্ধতী যোজনা অনুযায়ী স্বর্ণালংকার নতুবা ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। শিশুদের সব দায়িত্ব সরকার নেবে। আজ ১১ জন শিশুকে গ্রহণ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী আজ সরুসাজাই স্টেডিয়ামে ৩০০ বেডের এক কোভিড হাসপাতালের উদ্বোধন করেছেন। আজকের  সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী রঞ্জিত দাস, চন্দ্র মোহন পাটোয়ারী অতুল বরা প্ৰমুখ উপস্থিত ছিলেন।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.