২১ জুন আর্ন্তজাতিক যোগ দিবস থেকে বিনা মূল্যে ভ্যাকসিন, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : আগামী ২১ জুন
সোমবার আর্ন্তজাতিক যোগ দিবস। সেই দিন থেকে
দেশের ১৮ বছরের উর্দ্ধে মানুষকে বিনা মূল্যে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।
ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলো থেকে কিনে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলোকে বিনা
পয়সায় বন্টন করবে। ১৮ বছরের উর্দ্ধে
প্রত্যেককে ধনী দারিদ্র নির্বিশেষে এই ভ্যাকসিন দেওয়া
হবে বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন। ২৫ শতাংশ ভ্যাকসিন বেসরকারি
হাসপাতালগুলিকে প্রদান করা হবে। মাত্র ১৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে হাসপাতালগুলো। সেই
সঙ্গে আগামী মে-জুন দীপাবলি পর্যন্ত দেশের ৮০ কোটি মানুষকে প্রধানমন্ত্রী
গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা
চালু থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর
অঙ্গীকার দেশের একজন মানুষ ও খালি পেটে থাকবে না।
দেশের বিজ্ঞানীদের প্রসংশা করে বলেন, আগে বিদেশ থেকে ১০০ শতাংশ ভ্যাকসিন পেতে
গেলে ৪০ বছর অপেক্ষা করতে হত। অথচ ভারত সরকার তাদের ইন্দ্রধনুষ প্রকল্পে বিজ্ঞানীরা এক বছরে ভ্যাকসিন
উৎপাদন করে সেই বছরেই প্রদান করা হচ্ছে। সারা বিশ্বের মধ্যে ভারতে ভ্যাকসিন
উৎপাদনের মাত্রা অনেক বেশি। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তুনু সেন বলেন, বিনামূল্যে টিকা ভালো কথা, কিন্তু সময় মত টিকা কেন্দ্র
সরবরাহ করতে পারবে কিনা। বিরোধী দল নেতা সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঠিক যথা সময়ে সিদ্ধান্ত
নিতে পারেন না। বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত এত দিন বাদে কেন। প্রধানমন্ত্রী
আজ দেশবাসীকে সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, এখনও দেশ করোনা মুক্ত হয়নি। প্রতিজন মানুষ
যেন মাস্ক পড়েন এবং দু-গজ দূরে থেকে শারীরিক দূরুত্ব বজায় রাখে।
কেন্দ্রীয় সরকার আগে জানিয়ে ছিলেন, ১৮ থেকে ৪৪ বছর পর্যন্ত লোকদের ভ্যাকসিনের দায়িত্ব কেন্দ্র নেবে না। ৪৫ বছরের উর্দ্ধে এই ভ্যাকসিন বিনা মূল্যে দেবে।
এই প্রস্তাবে দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী
আজ দেশের ১৩৬ কোটি মানুষকেই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন
এবং ৮০ কোটি মানুষকে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার অধীন
বিনামূল্যে খাদ্য সর্ষ বন্টন করা হবে। আগামী মে-জুন মাসে দীপাবলী উৎসব
পর্যন্ত দেওয়া হবে।









কোন মন্তব্য নেই