সরকারের প্রতিটা বিভাগে ২০ শতাংশ খরচ কমানোর কেন্দ্রীয় নির্দেশ
নয়া
ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটি : করোনা
উদ্ভুত জটিল পরিস্থিতিতে দেশের আর্থিক বিকাশ প্রায়
শূন্যে নেমে গেছে। গত ৪৫ বছরের নীচে নেমে গেছে বেকারের সমস্যা। কোভিড অতিমারিতেও করোনা
প্রতিষেধক এও জি এস টির শুল্ক বসানো
হয়েছে এমনই অবস্থা দেশের। এই অবস্থা থেকে
বাঁচতে কেন্দ্রীয় সরকারের নর্থ
ব্লক গত ১০ জুন এক
জরুরি নির্দেশনা পাঠিয়ে সরকারের প্রতি বিভাগে ২০ শতাংশ খরচ
কমানোর কড়া নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের যুগ্ম সচিব ঠেংলেমলিয়ন
১০ জুন
এই পত্র পাঠিয়েছেন। তাতে ৫০টি
ক্ষেত্রে খরচ কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সরকারের
কর্মীদের ওভারটাইম, কোনো পুরস্কার ঘোষণা, ঘোরোযা
সফর বিদেশ সফর, বিজ্ঞাপন, প্রচার,
রেশন, দান-ধ্যান, রয়ালিটি,
অফিসের খরচ, সামগ্রী সরবরাহ ক্ষেত্রে এই খরচ
কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস আমলে সুপ্রিমকোর্ট সব
সরকারের মন্ত্রিসভার বহর ১৫ শতাংশের
মধ্যে বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্ত চতুর রাজনীতিবিদরা
মন্ত্রীসভাকে পাশ কাটিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে কয়েকজনকে
সংসদীয় সচিব নাম দিয়ে মন্ত্রীদের সমান সুযোগ সুবিধা দিয়ে নিয়োগ
করছিলেন। প্রাক্তন
মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ প্রথম এই পিছনের দরজার পথ দেখিযে
ছিলেন। তারপর
সারা দেশের সরকার এই পথ গ্রহণ করে মন্ত্রী পদে না বসেও
সব সুবিধা আদায় করেন। বিলাস বৈভবের ক্ষেত্রে জনগণের
টাকাতে আনন্দ-ফূর্তি করার
ক্ষেত্রে কংগ্রেস-বিজেপি সরকার কেউ কম নয়।
ঐতিহ্যমণ্ডিত সংসদ ভবন আছে, উপরাষ্ট্রপতি
ভবন আছে, প্রধানমন্ত্রীর
ভবন আছে, সচিবালয়
আছে। ২০ হাজার
কোটি টাকা খরচ করে সেন্ট্রাল ভিস্তা নামে এই
বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ করে আগের
সংসদ ভবন সহ অন্যান্য ভবন বাতিল করা হবে। এই কোটি
কোটি টাকা খরচ কি
হ্রাস করা যেত না? ১০ জুনের
নির্দেশিত পত্রে রেশনের টাকাও
২০ শতাংশ
কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শ্রমজীবী গরিব
মানুষের আগে রেশন না সেন্ট্রাল ভিস্তা?
কোন মন্তব্য নেই