Header Ads

ভ্যাক্সিনের কালোবাজারি রুখতে বাবস্থা নিক সরকার : বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট

শিলচর : শিলচর তথা বরাক উপত্যকায় ভ্যাক্সিন দেবার ব্যাপারে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা চলছে। বরাকের কোভিড জনিত সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আবার সরব হল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

এক রেকর্ডেড প্রেস বার্তায় ফ্রন্টের মূখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন শিলচর সিভিল হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজে ভ্যাক্সিনের যে কালোবাজারি চলছে সেই খবর ইতিমধ্যে জাতীয় সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি আরবান হেলথ সেন্টারেও একই ব্যাপার ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।  কিছু সরকারি কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট দের যোগসাজশে 

দশটি ডোজের এক একটি ভায়েল অবৈধভাবে যোগাড় করে প্রতি ডোজ ৫০০ টাকার বিনিময়ে  অবৈধভাবে দেওয়া হচ্ছে বলে ইতিমধ্যে প্রমান পাওয়া গেছে। একই অভিযোগ আরবান হেলথ সেন্টারের ক্ষেত্রেও পাওয়া যাচ্ছে। প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করলেও তদন্ত কতটা এগিয়েছে সেই খবর সংবাদ মাধ্যমে জানানো হচ্ছে না। প্রদীপ বাবু বলেন বর্তমান ভ্যাক্সিন আকালের সাথে এর যোগাযোগ থাকতে পারে বলে তার সন্দেহ। তাই শাসক ও বিরোধী উভয়পক্ষের স্থানীয় সাংসদ , বিধায়কদের অবিলম্বে এই ব্যাপারে স্পষ্টীকরণ দাবি করার আহ্বান জানান তিনি। 

বিডিএফ মূখ্য আহ্বায়ক আরো বলেন যে ভ্যাক্সিন পেতে শিলচরের আরবান হেলথ সেন্টার সহ মফস্বলের সমস্ত হাসপাতালে সকাল চারটা থেকে নাগরিকদের লাইন দিতে হচ্ছে। এবং এরপরও ভ্যাক্সিন পাওয়া যাবে কিনা কোন নিশ্চয়তা নেই। ফলে যদিও বলা হচ্ছে ১০০ ডোজ দেওয়া হবে তারজন্য ভিড় জমাচ্ছেন ২০০/৩০০ লোক। এসব থেকে সংক্রমণ‌ আরো ছড়াবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে এও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে যে আরবান হেলথ সেন্টার ভ্যাক্সিন প্রদান কেন্দ্র,যার দায়িত্বে রয়েছে একটি বিশেষ এন জিও তাদের উদ্যোগে সাধারণ লোকদের বঞ্চিত করে বাঁকা পথে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোককে টীকা দেওয়া হচ্ছে। এইসবেরও তদন্ত দরকার।তার বক্তব্য -  যারা এসবের দায়িত্বে আছেন তারা যদি প্রতি সকালে সেদিনের চূড়ান্ত ‌তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সবাইকে টেলিফোন সহযোগে জানিয়ে দেবার উদ্যোগ নেন তাহলে জনগনকে এতো দুর্ভোগ পোহাতে হয়না।

এছাড়া প্রদীপ বাবু এদিন শিলচরের সরকারি  হাসপাতালগুলোতে  করোনা রুগীদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের জন্যও উষ্মা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে গত ২০ দিন ধরে বিডিএফ এই ব্যাপারে সোচ্চার রয়েছে । কিন্তু তার পরেও সরকারি তরফে কোন হিলদোল নেই ! তিনি বলেন সিভিল হাসপাতালের ভর্তি কোভিড রোগীদের খাবার নিয়ে একটি ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে যে সেই ডাল ,ভাত,  আলুভাজাই এখনো দেওয়া চলছে , যেখানে প্রতি প্লেট বাবদ সরকারি বরাদ্দ ৩০০ টাকা হওয়ার কথা। যেহেতু এই রোগীদের প্রোটিন যুক্ত খাবার জরুরী তাই ইতিমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে এদের ডিম , দুধ , সয়াবিন ইত্যাদি দেবার জন্য অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। ভিডিওটি দেখে শিলচর লায়ন্স ক্লাবের পক্ষ থেকে ডঃ আল্পনা চৌধুরী এদের জন্য  প্রতিদিন তৈরী খাবার পরিবেশন করবেন বলে ইতিমধ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।  সরকার একদিকে বলছেন করোনা পরিস্থিতির  মোকাবিলাই তাদের প্রাথমিকতা অথচ এইসব অত্যন্ত জরুরি ব্যাপারগুলোতেই নজর দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন !

বিডিএফ মূখ্য আহ্বায়ক এদিন বলেন যে সরকার যদি বাড়ি বাড়ি গিয়ে বয়স্কদের ভোট সংগ্রহ করতে পারে তবে বাড়িতে গিয়ে বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের ভ্যাক্সিন দিতে অপারগ কেনো ? তিনি অবিলম্বে এই পদক্ষেপ নেবার দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে উপত্যাকার বিভিন্ন কর্মদক্ষ  এন জি ও র মাধ্যমে সবাইকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাক্সিন দেবার ব্যাবস্থা করার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে ও জয়দীপ ভট্টাচার্য।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.