বরাকের জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন বিধায়ক করিমের
বি.এম.শুক্লবৈদ্য, বিহাড়াঃ সোনাইর বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভূঁইয়া বিধান সভায় তার সর্বশেষ তিন মিনিটের ভাষণে সোনাই সহ বরাকের বিভিন্ন জ্বলন্ত সমস্যা তুলে ধরলেন। সোমবার বিধানসভায় বিধায়ক করিম উদ্দিন সোনাই সহ বরাকের জনগণের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি উপস্থাপন করেন। বিধায়ক বড়ভূঁইয়া বিধানসভায় জনগণের কণ্ঠস্বর উত্থাপন করে শিলচর বাইপাস সহ বদ্রী ব্রিজ, মেডিকেল কলেজের পূর্ব গেট এবং পাঁচগ্রাম পেপার মিল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিধায়ক সাবলীল অসমিয়া ভাষায় বক্তব্য রাখেন।
অধিবেশনে রাজ্যপালের অভিভাষণের পরে বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভূঁইয়া তার তিন মিনিটের বিবৃতিতে বলেন যে, যথাযথ পরিকল্পনা ছাড়া দেশের প্রথম পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে আসামকে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয়। পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে অসমকে সমান স্থান পাওয়ার জন্য, প্রথমে রাজস্ব ব্যবস্থার যথাযথ পরিকল্পনা বা রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন বরাকের বেশিরভাগ রাজস্ব আয়ের উৎস বন সম্পদ এবং এপিডিসিএল। তবে বনজ সম্পদ থেকে কীভাবে আয় বাড়ানো যায় সে সম্পর্কে কোনও পরিকল্পনা নেই। তিনি আরও বলেন, সরকার যদি কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করে তবে তার ষাট শতাংশ কাজও তিন-চার বছরে শেষ হবে না। তিনি উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করে বলেন যে পূর্ব প্ররিকল্পনার জাতীয় প্রকল্পের ৩১ শতাংশ কাজ ১৫ বছরেও শেষ হয়নি। বড়ভুঁইয়া উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শিলচর বাইপাসটি ১৫ বছরে এবং বদ্রী সেতু আট বছরেও শেষ হয়নি।
বিধায়ক বিধানসভায় আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেন। তিনি পাঁচগ্রাম কাগজ কলের বিশদ বিবরণ দিয়ে বলেন যে, তিনি মনে করেন সরকার যদি এক হাজার কোটি টাকার উদ্যোগ নেয় তবে রাজ্যটিতে দুটি পেপার মিল পুনরায় চালু করতে সক্ষম হবে। চিকিৎসা সেবার উল্লেখ করে তিনি শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি গেট গত আট মাস ধরে কোনও কারণ ছাড়াই বন্ধ থাকায় এ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। বরাকের এসব জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে বিধানসভায় মুখ খোলায় অনেকের কাছে বিধায়কের প্রশংসার শুনা যায়।
কোন মন্তব্য নেই