পশ্চিমবঙ্গবাসী সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিবাদকে প্রত্যাখ্যান করেছে : সি পি আই(এম এল)
কিন্তু দল মনে করে, ভোটের শতাংসে বিজেপি যে ভোট লাভ করেছে এবং বিগত দিনের তৃণমূল দলের সরকার পরিচালনায় যে গণতন্ত্রের ঘাটতি রয়েছে সেই বিষয়গুলিতে নজর দিতে হবে। বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের রাজনীতিকে সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে গণ-সচেতনতা গড়ে তোলার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। গণতন্ত্রকে প্রসারিত করার ও গণ-অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
কভিড সংকট ভারতবর্ষের ভঙুর স্বাস্থ্য পরিসেবা, কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের অতি-মুনাফা ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের জনবিরোধী স্বরূপকে উন্মোচিত করে দিয়েছে। কভিড বিপর্যয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা ও বিনামূল্যে সরকারি স্বাস্থ্য পরিসেবার দাবিতে জনমত গড়ে তুলতে হবে, গড়ে তুলতে হবে শ্রমিক-কৃষক ও নাগরিকদের অধিকারের আন্দোলন। শোষণের যাঁতাকল তীব্র হচ্ছে “আদিম সঞ্চয়নের” রূপে প্রকৃতি, নারী, অবদমিত জনগোষ্ঠী ইত্যাদি সবধরনের ক্যাটাগরির অবমূল্যায়নের মাধ্যমে। বাজার ও পণ্যে এই মূল্য সংযুক্ত হচ্ছে দেশি বিদেশি কর্পোরেট পুঁজিপতিদের মুনাফা ও পাহাড় প্রমাণ সম্পদ গড়ে উঠতে। সাধারণ মানুষের বেকারত্ব, অপুষ্টি, অসাম্য ও অনাহার বাড়ছে দ্রুত গতিতে। এ এক মানবিক সংকটের মুহূর্ত, তার থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় প্রতিস্পর্ধী বিকল্প গণ-রাজনীতি। মমতার নেতৃত্বে তৃণমূলের বিজয় সেই বিকল্প রাজনীতি গড়ে তোলার অবকাশ তৈরি করে দিয়েছে।
বিজয়ী হয়েই মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, সমগ্র ভারতীয়দের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য তিনি আন্দোলনে নামবেন, পিসিসি সিপিআই(এম-এল) এই ঘোষণাকে স্বাগত জানাচ্ছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসমূহের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন ও চিকিৎসার দাবিতে এখনই আন্দোলনে নামা উচিত বলে পিসিসি সিপিআই(এম-এল) মনে করে। পিসিসি সিপিআই(এম-এল) মনে করে, গণতন্ত্রকে প্রসারিত করা ও পঞ্চায়েত স্তরে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এখনই সোচ্চার হওয়া জরুরি।
কোন মন্তব্য নেই