পেপার মিলের রক্তক্ষরণ,আর কত মৃত্যু হবে, মিলটি খোলার দাবি বিধানসভায়
নয়া ঠাহর
প্রতিবেদন, গুয়াহাটি : আর কত মৃত্যু হবে? আর
কত মৃত্যু দেখবো, মৃত্যু
তো জীবনের স্বাভাবিক পরিণতি দুঃখ করার কিছু নেই। এ যে যন্ত্রণার মৃত্যু, রোগগ্রস্ত, উপসি মানুষের মৃত্যু যার
পেটে ভাত নেই। আছে খুঁদ কুড়ো, অভাবই যার পাঁচ বছরের সঙ্গী। কল্যাণকামী সরকার পাশে নেই। বেতন ভাতা ছাড়াই অসুস্থ
হয়ে ৮২ জন মারা গেছেন ৪ জন আত্মহত্যা করেন। গতকাল মিলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী যোগন্ময় চক্রবর্তী মারা যান।তার পুত্র জয়দেব এই মিলের কর্মী, পাঁচ বছর বেতন না পেয়ে বাবার চিকিৎসা করতে পারেন নি বলে অভিযোগ করেন শ্রমিক সন্থার নেতা এ আর মজুমদার।আজ
বাকি ৮০০ কর্মী মৃত্যু মিছিলে
সামিল হওয়ার জন্যে পা
বাড়িয়ে রেখেছেন। পাঁচ বছর সরকার দেখলো না। নতুন বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত
বিশ্ব শর্মার উপর হতভাগ্য কর্মীদের বিশাল আশা, তিনি
পূরণ করবেন। জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনাল বা টি সি এল টি ইতিমধ্যে পেপার মিল দুটির মৃত্যু ঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছে। তৃতীয় পক্ষ কে বিক্রি করে দেওয়া বা মিল টিকে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।এই প্রেক্ষাপটে শ্রমিকদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। অনাহারে মৃত্যু ছাড়া গত্যন্তর নেই। পাঁচগ্রাম পেপার মিলের মধ্যে এখনো 500 মেট্রিক টন কাগজ পড়ে আছে,1200 টন কয়লা মজুত আছে।50হাজার টন কয়লা মজুত ছিল সবটা নষ্ট হয়ে গেছে। এই সামগ্রী বাজারে বিক্রির ব্যাবস্থা করলে অনাহারে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিন গোনা শ্রমিক রা অন্তত দুদিন দুধে ভাতে খেতে পারবেন। আজ বিধানসভাতে বরাকের বিধায়ক করিমুদ্দিন বরভুইযা পাঁচগ্রাম পেপার মিল টি অবিলম্বে খোলার দাবি জানান।









কোন মন্তব্য নেই