অসমীয়া-বাঙালির সেতুবন্ধু সাহিত্যিক জ্যোতিষ কুমার দেব প্রয়াত
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটি : করোনার গ্রাসে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই যেন মৃত্যু সংবাদগুলো আসে, আসে মনকে শোকাচ্ছন্ন, ভারাক্রান্ত করে তোলে। বড় অসহায় বোধ করি। বাঁকুলবন হউসিং কলোনির সরকারি অফিসার ভুগিধর বড়ুয়া, শিক্ষিকা রশিদা ইসলাম, বরাকের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পার্থ সারথি চন্দের মৃত্যু সংবাদের পর বরাকের জন্ম শোণিতপুরের খারুপেটিয়াতে জীবন শুরু শিল্পী কবি সাহিত্যিক জ্যোতিষ কুমার দেব হটাৎ চলে যাবেন, তা ভাবাও যায়নি। কোভিড আক্রান্ত জ্যোতিষ বেডে শুয়েও শেষ দিন পর্যন্ত ফেসবুকে আপডেট দিয়ে গেছেন। ব্যাংকের অফিসার, একাধারে কবি গীতিকার, গায়ক, নাট্যকার, নৃত্য শিল্পী অভিনেতা সব কিছুতেই সমান পারদর্শী। তিনি অসমিয়া ভাষাতেও লেখা লিখি করতেন। অনেকগুলি ভাষার উপর দখল ছিল। তিনি বিভিন্ন ভাষাতে ন২৫.৩০টি বই লিখেছেন। প্রায় ১০টি গানের এলবাম প্রকাশ পেয়েছে। শংকরদেবের কীর্তনঘষার মতো বিখ্যাত অসমিয়া গ্রন্থ বাংলা ভাষাতে অনুবাদ করে সবার নজর কেড়ে ছেন। এস বি আই-এর বড় অফিসার পদে থেকেও তিনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব ভাষা ভাষী উপজাতি গোষ্ঠীর" এম্বাসেডর" হিসাবে সেবা করে গেছেন। তিনি বিয়ে করেছেন শিলঙে, তাঁর দুই কন্যা সন্তান। সেখানে কর্মসূত্রে থাকা কালে খাসি ভাষাও রপ্ত করেছিলেন। তিনি বিহু গীত ও বরগীত শিখেছিলেন বিখ্যাত শিল্পীখগেন মহন্ত ও অর্চনা মহন্ত এর কাছে। রবীন্দ্র সংগীত থেকে লোকগীতি সব ক্ষেত্রে সমান পারদর্শী, তাকে কেউ হারাতে পারেনি শেষ দিনেও সবকে হারিয়ে গেলেন। আমরা হেরে গেলাম একজন ভালো মানুষের কাছে। করোনা তাকে গ্রাস করে নিল। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে, পরিবারের প্রতি সমবেদনা কামনা করে বাংলা নিউজ পোর্টাল "নয়া ঠাহর" গোষ্ঠী।
কোন মন্তব্য নেই