কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির নেতা অখিল গগৈ আজ শপথগ্রহণ করেন
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : আজ বিধানসভায় কৃষক মুক্তি সংগ্রাম কমিটির কারা বন্দী নেতা অখিল গগৈ শিব সাগরের বিধায়ক হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। জাতীয় নিরাপত্তা আইনে তাকে ২০১৯ সাল থেকে জেলে রাখা হয়েছে। জেল থেকেই রাইজর দলের প্রার্থী হিসাবে সিবসাগর থেকে লড়ে জয় লাভ করেন। এন আই এ-র অনুমোদন নিয়ে অখিল আজ বিধাসভাতে প্রবেশ করেই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, এক ভাঙা চোরা বাসে করে তাকে বিধান সভাতে আনা হয়। কোভিড বিধি মানা হয়নি। ম্যাজিস্ট্রেট তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। তিনি বিধানসভাতে শপথ গ্রহণের পর মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান। মুখ্যমন্ত্রী তথ্য ও জনসংযোগ মন্ত্রী পীযুষ হাজারিকাকে তদন্তের নির্দেশ দেন । নবনির্বাচিত অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারীর প্রশংসা করে বলেন, তিনি অসমের গর্ব। তিনি
অধ্যক্ষকে অনুরোধ জানান বিধানসভায় তিন দিন
যাতে তিনি উপস্থিত থাকতে পারে তার ব্যাবস্থা করতে। অধ্যক্ষ আশ্বাস দেন আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া
হবে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত
বিশ্ব শর্মা প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী
সর্বানন্দ সনোয়াল,
বিরোধী দলপতি দেবব্রত শইকিয়া
প্রমুখ স্বাগত ভাষণ দেন। মুখ্যমন্ত্রী
শর্মা অধ্যক্ষের প্রশংসা করে বলেন, বাকসার
সুরেন্দ্র দৈমারী একজন কৃষক
ও হস্তী বিশারদ, হাতিধরা পেশা ছিল, তারই পুত্র বিশ্বজিৎ বাবার
অভাবের সংসারে ন চায়ের দোকানে
কাজ করে বাবাকে সহায়তা করতেন। বড়ো
আন্দোলনে সমিল হন বড়ো চুক্তি রূপায়ণে
বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণ করে ছিলেন। তিনি কাম রাজ
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতিতে এম এ করেন। তিন বার রাজ্যে
সভায় সদস্য নির্বাচিত হন। একবার
বিধায়ক নির্বাচিত হন। পুনরায়
পানেরি থেকে বিধায়ক পদে জিতে আসেন।
আজ
বিধান সভায় অসমীয়া ছাড়াও
বাংলা, নেপালি, ইংরেজি ভাষাতে
শপথ বাক্য পাঠ করেন। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত
বিশ্ব শর্মার পর
পাশেই আসন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল কপালে
লাল চন্দন পরে শপথ
গ্রহণ করেন। আজ মুখ্যমন্ত্রীর পত্নী রিনিকি ভুঁইয়া পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে বিধানসভার
অফিসার গ্যালারিতে বসে
শপথ গ্রহণ
অনুষ্ঠান দেখেন। বরাকের মন্ত্রী পরিমল
শুক্ল্যবৈদ্য কমালক্ষ্য
দে পুরকায়স্থ সিদ্দেক
আহমেদ বিজয় মালাকার প্রমুখ বাংলা ভাষাতে
শপথ নেন।











কোন মন্তব্য নেই