পুলিশের তল্লাশিতে নেশার সিরাপ জব্দ বদরপুরে
সুব্রত দাস, বদরপুর : করোনা আবহের জেরে বদরপুর জাতীয় সড়কে দু নম্বরী ব্যবসার ছয়লাপ হয়ে পড়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে এমনকি ত্রিপুরা রাজ্য পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে নেশা জাতীয় সিরাপ ফেন্সিডিলের ব্যবসা জোরদার হয়ে উঠেছে। নানা কারণে বরাক উপত্যকা সিন্ডিকেটের করিডর হিসেবে ব্যবহার করে অবৈধ ব্যবসায়ীরা। কারন,বরাক উপত্যকা ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ও বাংলাদেশ সব দেশের অন্যান্য রাজ্যে সহজেই পৌঁছে যেতে পারছে এই মারন জাতক নেশা সামগ্রী। জানা গেছে,প্রায় পনের লক্ষ টাকার ফেন্সিডিল সহ ট্রাক জব্দ করেছে বদরপুর পুলিশ। এক গোপন খবরের ভিত্তিতে বুধবার পুলিশ অস্থায়ী ঘেটে তল্লাশি চালিয়ে করিমগঞ্জ পুলিশ সুপার নির্দেশে বদরপুর থানার ওসি বিপিন বরা,এসআই এস ফুকন সহ ব্যাটেলিয়নের জওয়ানদের নিয়ে এক অভিযানে নেমে এই সাফল্য লাভ করে। সেই সঙ্গে এএস ১৯ এসি ২৫০৮ নাম্বারের এক মিনিট্রাকে সব্জি ভর্তি বস্তা নিয়ে ফেন্সিডিল সহ আটক করা হয়। আটক হওয়া চালকের নাম হল তাজ উদ্দিন,রশিদ আলি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,গোপন খবরের ভিত্তিতে বদরপুর পুলিশ ওঁৎ পেতে বসে থাকেন বদরপুর ঘাটে। মিনিট্রাক বদরপুর অভিমুখে আসার পথে বদরপুর পুলিশ আটক করে তল্লাশি চালান। আর এতেই ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে আসে। পুলিশের তল্লাশিতে আটক মিনিট্রাক থেকে ২৬ টা সাদা বস্তা পাওয়া যায়। এরমধ্যে একটি বস্তাতে ৩০০ টি ফেন্সিডিল বোতল পাওয়া গিয়েছে। একই সঙ্গে মিনিট্রাকের চালক সহ চালকে আটক করতে সক্ষম হন। উদ্ধারকৃত ফেন্সিডিলের মুল্য ১৫ লক্ষ টাকা। মিনিট্রাক ভর্তি বিপুল পরিমাণে অবৈধ নেশা জাতীয় সিরাফ বাজেয়াপ্ত করে বদরপুর পুলিশ থানায় নিয়ে আসেন। তবে এই ঘটনায় বদরপুর চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে,পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকলেও দুষ্কৃতিরাও নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করে যুক্ত হচ্ছে অপরাধের সঙ্গে। মাদক থেকে শুরু করে মহিলা সংক্রান্ত নানা অপরাধ দিনকে দিন বেড়েই চলছে বদরপুরে।
কোন মন্তব্য নেই