Header Ads

'নজিরবিহীন' নারদ মামলা, প্রশ্নের মুখে সিবিআই

 

কলকাতা : নারদ মামলায় রবিবার মধ্যরাতে চমক দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআইআর সেই সূত্রেই সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বৃহত্তর বেঞ্চে নারদ মামলার শুনানি শুরু হতেই মামলার শুনানি এক দিন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান সিবিআইয়ের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, এই কোর্ট নারদ কাণ্ডে ৩টি রায় দিয়েছে। মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির কথা বলা হয়েছে। সিবিআই বিশেষ আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। এরপরই বিচারপতি হরিশ টন্ডন পাল্টা তুষার মেহেতাকে প্রশ্ন করেন, ডিভিশন বেঞ্চ চার অভিযুক্তকে গৃহবন্দি করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তার বিরোধিতা করেছিল সিবিআই। সে জন্যই কি ফের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে তারা? বস্তুত, হাইকোর্টের শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার যে আবেদন সিবিআই করেছিল, তাও খারিজ করে দিয়েছে বৃহত্তর বেঞ্চ।

এরপরই অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মাঝরাতে সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ আবেদন করেছে। আর আমাদের তা জানানো হয়েছে সকালে। জামিনের মামলা তো শোনাই হয়নি। আমরা আগের দিন দুপুর ২টায় মামলা শোনার আর্জি করেছিলাম। কিন্তু তখন বৃহত্তর বেঞ্চে মামলাটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আমি জানি না একে কি পিটিশন বলব? নাকি রিট না অন্য কিছু?' অভিযুক্ত পক্ষের অপর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি কল্যাণের সুরেই প্রশ্ন তোলেন। বলেন, 'হাইকোর্ট নেতা-মন্ত্রীদের গৃহবন্দি করার নির্দেশ দিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এর রায়দান প্রয়োজন, কিন্তু তা জানানোর পরেও কীভাবে মামলার শুনানি পিছোনোর আবেদন করা হতে পারে?'

অপরদিকে, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় সিবিআইয়ের উদ্দেশে বলেন, 'তাঁদের হাতে ৪টি বিকল্প রয়েছে। তাঁরা সেটা বলতে পারেন। সিবিআই কি সেই বিকল্পগুলি শুনতে রাজি আছে? নাকি তারা অন্য কিছু করতে চায়?' সেই বিকল্পের মধ্যে নেতা-মন্ত্রীদের গৃহবন্দি থাকার মেয়াদ বাড়ানোর কথা যেমন বলেন বিচারপতি মুখোপাধ্যায়, একইভাবে মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি আজই শেষ করার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তাত্‍পর্যপূর্ণভাবে, এদিনের শুনানিতে উঠে এসেছে ঘূর্ণিঝড় যশ প্রসঙ্গও। হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ এদিন সিবিআই-এর উদ্দেশে বলে, 'শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে তার মধ্যে আদালত হয়ত নারদ কাণ্ডের শুনানি করতে পারবে না। সেটাও মাথায় রাখা জরুরি।'

আগের শুনানির মতোই এদিন হাইকোর্টে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা অভিযোগ করেন, 'আইন মেনে যে নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হয়নি, তা স্পষ্ট। সিবিআই নিজেরাও সেই বিষয়টি জানে বলেই তা এড়িয়ে যাচ্ছে।' পাল্টা অবশ্য সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী নিজে সিবিআই অফিসে গিয়ে বলছেন, আমাকে গ্রেফতার করুন! এটাও কি আইন অনুযায়ী হয়েছিল?' ফলে সব মিলিয়ে হাইকোর্টে চলছে নারদ কাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ শুনানি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.