পশ্চিমবঙ্গে, অসমকে বাদ দিয়ে ৫টি রাজ্যের ১৩টি জেলার সংখ্যালঘু অমুসলিমদের নাগরিকত্ব, বিজ্ঞপ্তি জারি কেন্দ্রের
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : দেশের ৫টি রাজ্যের ১৩টি জেলার অমুসলিম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্র ভারতীয় নাগরিকত্ব দেবে। পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমে কয়েক কোটি সংখ্যালঘু হিন্দু তিন দশকের বেশি সময় থেকে ওই দুই রাজ্যে বসবাস করছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা কা লাগু হল না, হলে উপকৃত হত। কেন্দ্র আজও রুল তৈরি করতে পারেনি। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের আগে থেকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসে বসবাস করছে সেই সব হিন্দু, খ্রিস্টান, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি সাম্প্রদায়ের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন এবং ২০০৯ সালের নাগরিকত্ব নিয়মের আধারে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, দেশের মানুষকে টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার পর বিজ্ঞপ্তি কার্যকরি করা হবে। গুজরাট, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং ছত্রিশগর। গুজরাটের রাজকোট, মরবি পাতান ও ভোদাদরা, ছত্রিশগরের দুর্গ, বলদাবাজার, রাজস্থানের ঝালোর, উদ L.ল.ল.! য়পুর, পালি, বারমের এবং শিরোধী। হরিয়ানার ফরিদাবাদ পঞ্জাবের ঝলন্ধর। গত ২৮ মে এস ও ২০৬৯ই অর্ডার নম্বরের বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ফরেনার ডিভিশন আবার নতুন বিতর্কের জন্ম দিল। এর মধ্যে তিনটি কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে। একটি আবার কা বিরোধী প্রস্তাব বিধানসভাতে পাশ করিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভাও পাশ করিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া রাজবংশী সমাজ এবার বিজেপিকে হাত খুলে ভোট দিয়েছে, অসমের বাঙালি হিন্দুরাও বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। কা কবে লাগু হবে আজও রুল তৈরি হয়নি। এর মধ্যেও বিজেপি করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিতর্কিত বিজ্ঞপ্তি জারি করলো। এই বিজ্ঞপ্তিকে কা লাগুর প্রাথমিক প্রক্রিয়া বলা যাবে কি? বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই ১৩টি জেলার সংখ্যলঘু হিন্দু সম্প্র। দায়ের মানুষকে জেলার ডেপুটি কমিশনারের মাধ্যমে এদেশের নাগরিকত্বের জন্যে আবেদন করতে হবে। এই বিজ্ঞপ্তির বিষয়বস্তু আর কার বিষয়বস্তু প্রায় একই। তবে কেন আলাদা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হল? পশ্চিমবঙ্গ ও অসমের বাঙালি হিন্দ উদ্বাস্তুদের প্রতি বৈষম্য করা হল না কি। কা লাগু হবে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে বিতারণ করা হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে হবে এই একটি মাত্র ভয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমের মুসলিম ভোটাররা উজাড় করে তৃণমূল এবং অসমে বিজেপি বিরোধীকে ভোট দিল। বিজেপি নেতারা মুসলিম ভোটারদের বোঝাতেই পারলো না। অসমের বিজেপি সরকার আবার ভুল করতে চলেছে। অসমের ১ কোটি ৭ লাখ মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পাল্টানো দরকার।
কোন মন্তব্য নেই