অক্সিজেন সরবরাহে বাধাদানকারীকে ফাঁসির সাজা, দিল্লি হাই কোর্টের হুঁশিয়ারি
অমল
গুপ্ত, গুয়াহাটি : করোনার রক্তাত্ব থাবার মধ্যে
অক্সিজেনের মহা সংকট তার
অভাবে মৃত্যু মিছিল রাজধানী
দিল্লি সহ দেশের কয়েকটি রাজ্যকে বেসামাল
করে দিয়েছে। দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ২০ জন মারা
গেছেন। অমৃত্সরে
৫ জন মারা
গেছেন অক্সিজেনের অভাবে। পাঞ্জাব সরকার সব আয়রণ ও স্টিল কারখানা বন্ধের আদেশ দিয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত অক্সিজেন হাসপাতালে
পাঠানো হবে। দেশের এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট যুগান্তকারী
রায় দিয়ে বলেছেন, করোনা
সংক্রমণে খুবই জরুরি অক্সিজেন সরবরাহে যারা বাধা সৃষ্টি করবে, তাদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি ফাঁসি দিতে হবে। দিল্লিতে
অক্সিজেনের অভাবে রুগী মারা যাচ্ছে আর অপরদিকে আজ দিল্লির দশরথ
নগরে এক বাড়ি থেকে ৪৮টি
অক্সিজেন সিলিন্ডার পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী
অরবিন্দ কেজরিওয়াল আজ প্রধানমন্ত্রীকে জরুরি চিঠি দিয়ে করোনায় আক্রান্ত রাজ্যগুলোকে অবিলম্বে অক্সিজেন
সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, দিল্লির প্রতিদিন ৪৮০ টন
অক্সিজেনের প্রয়োজন, ২০০ টনও
পাচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ দেশের অক্সিজেন উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি পর্যালোচনা করেন বলেন, মানুষ এই রোগের বিরুদ্ধে লড়ছে গ্রামে যেন না
ছড়াতে পারে তা সুনিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার জার্মান থেকে ২৩টি অক্সিজেন মোবাইল প্ল্যান্ট আনছে। দেশের বায়ু সেনাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সিঙ্গাপুর থেকে অক্সিজেন মোবাইল প্ল্যান্ট আজ পৌঁছাবে বলে একসূত্র থেকে জানা গেল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ জানান, গুজরাটে ১১টি
অক্সিজেন প্ল্যান্ট
বসানো হচ্ছে। দেশে নতুন করে আক্রান্তের হার তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
মৃত্যুর হার আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। অসমে
আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩৮৪ জন
মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। শুধু গুয়াহাটি
সহ কামরূপ জেলাতে ৮৮৩ জন
আক্রান্ত হয়েছে। অসমের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী হোমেন বড়গোহাই করোনা
সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে এক লাখের
বেশি আক্রান্ত হয়েছে। গত
চারদিন চার হাজার মারা গেছেন। কলকাতার ৯০ শতাংশ হাসপাতালে বেড নেই, কোভিড চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। করোনা পজিটিভ ছাড়া
কাউকে হাসপাতালে বেড দেওয়া হবে না। হাসপাতাল
ছাড়া রেমডিসিভি ইনজেকশন সরবরাহ করা হবে না। করোনা মৃতদের সৎকার সরকার করবে। আজ
নবান্নে এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে রাজ্যে ৪৯৭ টন
অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গিপুরে এক হাসপাতালে ডাক্তার সহ ৭ জন
করোনা আক্রান্ত, হাসপাতালের
রুগীরা নিজেদের সোয়াব নিজেরা টেস্ট করছে। অসমের অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালো। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, প্রতিদিন ৬০/৭০ হাজার
করে মানুষ ভ্যাকসিন নিচ্ছে। আরও ২ লাখ
ভ্যাকসিন আসছে। ২৭ এপ্রিলের
মধ্যে ৩ লাখ ভ্যাকসিন আসবে। তিনি জানান, সরুসাজাইয়ে ৪০০ বেডের
হাসপাতাল রেডি হয়েছে। জাগিরোড পেপার মিলকে কোভিড হাসপাতাল করা হবে। জানান, রুগীদের খাদ্য বাবদ সরকার প্রতিদিন ৩০০ টাকা
খরচা করবে। অসমে
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে প্রতিটি ভোগ্য সামগ্রীর দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ বেড়ে গেছে। ছাত্রসন্থা আসু আজ তীব্র প্রতিবাদ করে অবিলম্বে ব্যবস্থা
গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।









কোন মন্তব্য নেই