দক্ষিণের অভিনেতা রজনীকান্তকে ৫১তম দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারের সম্মান ‘থালাইভা’
দক্ষিণের
'থালাইভা’ হিসাবে খ্যাত হয়েছেন তিনি অনেক আগেই। ঝুলিতে
রয়েছে অসংখ্য সম্মান, পুরস্কার। তবে এবার রজনীকান্তের মাথায় জুড়তে
চলেছে নতুন এক পালক। ৫১তম দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত করা হবে রজনীকান্তকে,
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর এই কথা ঘোষণা করেন।
টুইটারে জাভড়েকর ঘোষণা করে বলেন, 'আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে ২০২০ সালের
দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে দারুণ অভিনেতা
রজনীকান্ত জি। অভিনেতা, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার হিসাবে তাঁর অবদান
অসামান্য। আমি বিচারক আশা ভোঁসলে, সুভাষ ঘাই, মোহনলাল,
শঙ্কর মহাদেবন ও বিশ্বজিত চট্টোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
ভারতীয় চলচ্চিত্রে সর্বোচ্চ পুরস্কার হিসাবে মানা হয় দাদা সাহেব ফালকে
অ্যাওয়ার্ডকে। এটি বছরে একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র
উৎসবের ডিরেক্টরেটের হাত দিয়ে দেওয়া হয়। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আয়োজন করে
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। ভারতীয় চলচ্চিত্রের বিকাশ ও উন্নয়নে অসামান্য
অবদানের জন্য অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়। ভারতীয় সিনেমার
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা এই পুরস্কার প্রাপকদের বাছাই করেন। জাভড়েকরের টুইট থেকে জানা
গিয়েছে এ বছর বিচারকের আসনে ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী আশা ভোঁসলে, পরিচালক
সুভাষ ঘাই, অভিনেতা মোহনলাল, গায়ক ও
সঙ্গীতকার শঙ্কর মহাদেবন এবং বর্ষীয়ান অভিনেতা বিশ্বজিত চট্টোপাধ্যায়।
দক্ষিণ
ভারতের ১২তম অভিনেতা হিসাবে রজনীকান্ত এই দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন। এর
আগে ৬৬তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে এই সম্মান দেওয়া হয় বলিউডের অমিতাভ বচ্চনকে।
রজনীকান্ত কে বালাচন্দরের ছবি 'অপূর্ব রাগানগাল’ (১৯৭৫)–এর
মাধ্যমে তামিল ছবিতে পা রাখেন এরপর তিনি তামিল ও বলিউডে চার দশকের বেশি সময় ধরে
কাজ করে চলেছেন। মূলত দক্ষিণী ছবির সুপারস্টার তিনি৷ তবে বলিউডেও তিনি বেশ কয়েকটি
ছবিতে অভিনয় করেছেন৷ অভিনেতা, প্রযোজক রজনীকান্তের খ্যাতি অসীম এবং দক্ষিণ
সাম্রাজ্য ছাড়িয়ে তাঁর জনপ্রিয়তা দেশব্যাপি৷ রজনীকান্তের শেষ ছবি এআর
মুরুগ্গাডোসের দরবার এবং তাঁর পরবর্তী ছবি আন্নাথে মুক্তির অপেক্ষায়।
কোন মন্তব্য নেই