দেশে ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতি সুপ্রিমকোর্ট নীরব দর্শক হয়ে বসে থাকতে পারে না : সুপ্রিমকোর্ট
অমল
গুপ্ত, গুয়াহাটি : আগামী ২ মে পাঁচ
রাজ্যের বিধানসভার ফল
ঘোষণা করা হবে। আগামী ২ মে
নির্বাচনে ফল ঘোষণার পর কোনো শোভাযাত্রা বার করা যাবে না এবং জয়ী
প্রার্থী মাত্র দুজনকে
সঙ্গে নিয়ে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করবেন। কোভিড বিধি মেনে এই কঠোর
রায় না মানলে ২ মের
গণনা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নির্বাচন
কমিশন। গতকাল মাদ্রাসা হাইকোর্ট কোভিড বিধি অমান্য করা নির্বাচনি অফিসারদের
বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করার কড়া নির্দেশ দেওয়ার পর আজ
কমিশন নড়ে চড়ে বসেছেন। এদিকে,
সুপ্রিম কোর্ট আজ কোভিড বিধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলধনা
করে ছেড়েছে। বলেছেন, এই
মুহূর্তে দেশে জাতীয় বিপর্যয় চলছে। সাধারণ মানুষের জীবনের
নিরাপত্তা নেই। সুপ্রিম কোর্ট হাত গুটিয়ে নীরব
দর্শক হয়ে বসে থাকতে পারে না। জীবন বাঁচানো সুপ্রিম
কোর্টের প্রথম অগ্রাধিকার, আদালত যখন মনে করবে হস্তক্ষেপ করবে। কেন্দ্রীয়
সরকারকে হলফ নামা তলব করে আরও বলেছেন করোনা
মোকাবিলায় ভ্যাকসিন কি এক মাত্র প্রতিষেধক? এর কোনো
বিকল্প নিয়ে কেন্দ্রের কোনো
পরিকল্পনা আছে। দেশের
এই সংকটকালে আমাদের সবার
উচিত সরকারের দিকে সাহায্যের হাত
বাড়িয়ে দেওয়া। সাধারণ মানুষের উচিত কোভিড বিধি মেনে চলা। প্রশ্ন তুলেছে এক
ভ্যাকসিনের দাম তিন রকম কেন। দাম
কমাতে কেন্দ্র কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কলকাতা হাই
কোর্ট নির্বাচন কমিশনের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, নির্বাচনি
অফিসাররা কোভিড বিধি মেনে চলছে কিনা, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য
আজ সর্বচ্চো আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে এই
প্রথম ভোটাররা অভিযোগ করেননি তাদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। এক
গণতান্ত্রিক দেশের মুখ্যমন্ত্রী লাগাতার ভেবে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করে গেলেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ
করলেন। দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বহিরাগত বলে অপমান করলেন। বাইরের বিজেপি
নেতারা রাজ্যে এসে করোনা ছড়িয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করলেন। তৃণমূলের সুপ্রিম
কোর্টের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দেব সুপ্রিম
কোর্টের রায়কে কেন্দ্রের ওপর
নজিরবিহীন হস্তক্ষেপ করে বলে মন্তব্য
করে বলেন, দেশে
এখন জাতীয় বিপর্যয় চলছে। কেন্দ্র মোকাবিলা করতে
ব্যর্থ হয়েছে।









কোন মন্তব্য নেই