জটিল করোনা পরিস্থিতি, একদিনে ৩,৮৬,৪৫২ আক্রান্ত, প্রধানমন্ত্রীর জরুরি বৈঠক
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : দেশে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫২ জন ছুঁয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, দিল্লী, পশ্চিমবঙ্গ প্রভৃতি রাজ্যে অক্সিজেন, হাসপাতালের বেড, আই সি ইউ ভেন্টিলেটর, জরুরি ঔষধ রেমডিসিভি প্রভৃতির অভাবে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আমেরিকা, ব্রিটেন কানাডা সৌদি আরব। এমন কি চীন, বাংলাদেশ, পাকিস্থান সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও দেশে পারস্পরিক সহযোগিতার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দিল্লিকে কম অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশকে বেশি এই ধরণের অভিযোগ করছে আদালত। সুপ্রিম কোর্টকে বলতে হচ্ছে দেশে জরুরি অবস্থা বা জাতীয় বিপর্যয় চলছে কেন্দ্রীয় সরকার হাতে ৪/৫ মাস সময় পেলেও ব্যবস্থা নেয়নি। দেশের অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর ব্যবস্থা করেনি। এখন প্রধানমন্ত্রী তার পি এম কেয়ারের টাকা খরচ করে দেশের প্রতিটি
জেলাতে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর কথা বলছেন। আর কবে হবে? শুধুই ঘোষণা
যুদ্ধকালীন গতিতে তা হচ্ছে কি? আম জনতা আর বিশ্বাস রাখতে পারছে না। আগামী ১ মে থেকে দেশের ১৮ থেকে ৪৫ বছর
বয়সিদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জাতীয় পরিকল্পনা হাতে
নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তা কতদিনে বাস্তব রূপ পাবে, সেরামের পর বায়োটেক তাদের ভ্যাকসিনের দাম ১০০ টাকা কমিয়েছে। তা
যথেষ্ট নয়। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রী পরিষদের জরুরি বৈঠক করেছেন। সারা দেশের জটিল পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
করেছেন। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও ঔষুধ প্রস্তুতকারীদের সঙ্গে পুনরায় আজ বৈঠক করবেন। অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার নানা আশ্বাসের মধ্যেও "জল'' আছে বলে নানা অভিযোগ আসছে।
সোনারপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন কোভিড হাসপাতালের অব্যবস্থার অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। গুয়াহাটি মেডিক্যাল
হাসপাতালে ডাক্তারের অভাব। কোভিড রুগী দেখার উপযুক্ত সংখ্যক ডাক্তার নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমন কথাও বলছেন অক্সিজেন অঢেল আছে শেষ পর্যন্ত বাতাসে উড়িয়ে দিতে
হবে। বিজেপি সরকারের "সবকা সাথ, সবকা বিশ্বাস, সবকা আস্থা" আজ শুধুই স্লোগান, মানুষ দেখছে করোনা পরিস্থিতিতে বিজেপি সরকারের ভূমিকা কি। সব ক্ষেত্রে আদালতকে নির্দেশ দিতে হচ্ছে কেন। গণতন্ত্রের
পক্ষে ভালো লক্ষণ নয়।










কোন মন্তব্য নেই