অসমে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দলের সাত সদস্যের উপদেষ্টা মণ্ডলী গঠন, আছেন অধ্যাপক তপোধীরবাবু
নয়া
ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটিঃ বরাক উপত্যকা বঞ্চিত হচ্ছে সব দিক
থেকে! আর্থ-সামাজিক
উন্নয়ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে বরাক উপত্যকার প্রতি দিশপুরের বৈষম্য আর
বঞ্চনা চোখে পড়ার মতো। এর
প্রতিবাদস্বরূপ সম্প্রতি গঠন করা হয়েছে নয়া রাজনৈতিক দল ‘বরাক
ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’। মোট সাত জন
আহ্বায়ক এবং ষোলো জন সদস্য নিয়ে কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদুপরি পাঁচজনকে
নিয়ে একটি মিডিয়া সেলও গঠন করা হয়েছে। পাঁচ জনের মিডিয়া সেলে রয়েছেন হৃষীকেশ দে, সাদিক মেহাম্মদ
লস্কর,
কলপ্রর্ণব
গুপ্ত,
জয়দীপ
ভট্টাচার্য ও স্বপন ভট্টাচার্য। পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী
আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদনে রাজনৈতিক দল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সাত সদস্যের
উপদেষ্টা মণ্ডলী গঠিত হল। উপদেষ্টা মণ্ডলীতে
আছেন বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বরা।
মণ্ডলীতে
সভাপতি হিসেবে আছেন অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ তপোধীর ভট্টাচার্য।
যিনি অসমের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি! অন্যান্য
সদস্যদের মধ্যে আছেন,
যথাক্রমে
-অধ্যাপক মানিক তালুকদার,
বীরেন্দ্র
বর্মণ,
এল.আর.লস্কর(রিটায়ার্ড
আই.এ.এস),
বিদ্যুৎজ্যোতি
পুরকায়স্থ (এক্স ডেপুটি ইন্সপেক্টর অব স্কুল), শ্রীমতী আভা
শ্রীবাস্তব এবং শ্রীমতী মহুয়া রায়চৌধুরী। দল ‘বরাক
ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের’
মুখ্য
আহ্বায়ক আকসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তথা গুয়াহাটি হাইকোর্টের আইনজীবী শ্রী প্রদীপ
দত্ত রায় এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি
জানান,
ভবিষ্যতে
বরাক উপত্যকার তিন জেলা থেকে আরও প্রতিনিধি এখানে যুক্ত করা হবে এবং গঠন করা হবে
একটি পূর্ণাঙ্গ উপদেষ্টা কমিটি। মূলত সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছেন প্রদীপ দত্ত রায়! বিজেপির
বিরুদ্ধে রীতিমতো ফুঁসে উঠেছেন প্রদীপ দত্ত রায়! তাঁর
অভিযোগ,
অসমে
বাঙালিদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আর তাদের ঠকিয়েই যাচ্ছে সরকার! এভাবে আর কতদিন। বিজেপি বাঙালি
বিরোধী দল। সেটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে ।এবং আসাম সরকার বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে
বিভিন্ন চক্রান্ত করে যাচ্ছে। বরাক উপত্যকায় ১৯৬১ সালে ভাষা আন্দোলনে যে ১১ জন
শহীদ হয়েছিলেন তাঁদের স্মৃতিতে ভাষাশহীদ স্টেশন নামাকরণ এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার
ছাড়পত্র দেওয়ার পরও অসম সরকার কিন্তু সেটি আটকে দিয়েছে। তদুপরি কোন বাঙালির
সরকারি চাকরি হচ্ছে না। এই বিজেপি সরকারের আমলে বাঙালিদের সঙ্গে বঞ্চনার ইতিহাস
সৃষ্টি হয়ে গেছে। বাঙালি বঞ্চিত!









কোন মন্তব্য নেই