ফের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পুলিশি অভিযানে উদ্ধার ১০টি চোরাই গরু
নয়া
ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটিঃ গরু থেকে শুরু করে
জালনোট,
আবার
কখনও মোটর বাইক,
ওষুধ
থেকে শুরু করে কী নয়?
এমনকি
মোবাইলও ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে। সীমান্তে চলছে কড়া নজরদারি। তবুও আটকানো
যাচ্ছে না পাচার। সময়ের সাথে সাথে নানান উপায়ে পাচারকারীরাও তাদের পাচারের আদল বদল
করে সীমান্তে চালিয়ে যাচ্ছে পাচারের রমরমা কারবার!
এত
বৈঠক, এত
আলোচনা, কিন্তু
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কমছে না গরু সরবরাহ। অসমের ধুবড়ির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে
সোমবার,
৭
ডিসেম্বর রাতে ধুবড়ি পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে চোরাই গরু বাংলাদেশে সরবরাহের
সময় উদ্ধার করে।
জানা
গেছে, অভিযান চালিয়ে ধুবড়ি পুলিশের অভিযানকারী দলটি সোমবার রাতে ভারত-বাংলাদেশ
সীমান্তের নদী পথে একটি নৌকায় গরুগুলি উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
অভিযানকারী
পুলিশের দলটি গরুগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন যদিও চোরাই গরু সরবরাহের সঙ্গে
জড়িত কোন ব্যক্তিকে আটক করতেই সক্ষম হননি। গরু সরবরাহের সঙ্গে জড়িত সরবরাহকারী
দলটি পুলিশের অভিযানকারী দল আসার আগেই ওই স্থান ছেড়ে পালায়।
উল্লেখযোগ্য
যে,
অসমের
ধুবুড়ির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে প্রত্যেক বছর বৃহৎ সংখ্যক গরু অবৈধভাবে ওপার
বাংলায় চালান দেয়া হচ্ছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং পুলিশের অভিযানকারী দল
গরু সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে যদিও চোরাই গরু সরবরাহ বন্ধ
করতে পারেনি।
মোবাইল
নিয়েও এক কাণ্ড ধরা পড়েছে। কলকাতাসহ এর আশেপাশের বহু অঞ্চল থেকে চুরি যাওয়া সমস্ত
মোবাইল পাচার হচ্ছে বাংলাদেশে। তবে গোপন সূত্রে খরব পেয়েই রক্ষা পেয়েছে ১৩১টি
মোবাইল। অন্য হাতে যাওয়ার আগেই লালবাজার গোয়েন্দারা উদ্ধার করেন ১০০-র বেশি
মোবাইল!
এমন
ঘটনায় গ্রেফতারও করা হয়েছে বাংলাদেশের এক যুবককে। নাম ইরফানুর রহমান রুবেল। সে
বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাকুলিয়া থানার বাসিন্দা। তার সঙ্গে ধরা হয়েছে তার সাগরেদ
কড়েয়া থানা এলাকার পাম অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা শেখ সালিম আহমেদ।
এমন
ঘটনা নতুন নয়! অর্থাৎ নতুনভাবে হাত পাকায়নি এরা। পুলিশ সূত্রে খবর, লালবাজারের
গোয়েন্দা বিভাগের অফিসারদের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল। এরপরই তাঁরা পার্ক স্ট্রিট
থানা এলাকার মারকুইস স্ট্রিটের একটি হোটেলের ওপর কড়া নজরদারি শুরু করেন।
কোন মন্তব্য নেই