Header Ads

সরকার কৃষকদের এমএসপি-র দাবি বিবেচনা করবে : কৃষিমন্ত্রী

 


নতুন দিল্লিঃ বৃহস্পতিবারের বৈঠক শেষে শনিবার ফের তৃতীয় দফায় বৈঠকে সরকারের সঙ্গে বসতে চলেছেন কৃষক প্রতিনিধিরা।

এদিনের বৈঠকের পর কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, সরকার কৃষকদের এমএসপি-র দাবি বিবেচনা করবে।

বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় রাউন্ডের বৈঠকে প্রতিবাদরত কৃষকদের একটি প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল ও নরেন্দ্র সিং তোমরের সঙ্গে মিলিত হয়। প্রায় ৭ ঘণ্টা চলা বৈঠকে দিল্লিতে উপস্থিত ছিলেন ৪০ জন কৃষকের প্রতিনিধি দল।

কৃষক নেতারা কেন্দ্রকে জানায়, সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। নাহলে তাদের আন্দোলন চলবে।

কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর কৃষক প্রতিনিধিদের বলেন, তাদের উদ্বেগ খুবই স্বাভাবিক। কেন্দ্র সরকার চায় এপিএমসি-কে আরও শক্তিশালী করতে। তিনি আশ্বাস দেন এমএসপি-তে কোনও পরিবর্তন হবে না। তিনি আরও বলেন, নয়া আইনে এসডিএম আদালতের ধারাটি রাখা হয়েছে কৃষকদের সাহায্যর্থে।

কৃষক নেতারা কৃষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে প্রতিনিধিদের হাতে ১০ পাতার অ্যাজেন্ডা তুলে দিয়েছিলেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য। এই ১০ পাতার অ্যাজেন্ডায় ৫টি মূল পয়েন্ট ছিল। এপিএমসি নিয়ে সরকারের সঙ্গে মতানৈক্যের ১৭টি পয়েন্ট ছিল।

একইভাবে, সূত্রের খবর, কৃষকদের সমস্যা ছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আইনে যে বদল আনা হয়েছে তাতে ৮টি পয়েন্ট নিয়ে। চুক্তি চাষ নিয়ে আরও ১২টি পয়েন্টে কৃষক নেতাদের সঙ্গে সরকারের আলোচনা হয়েছে।

সূত্রের খবর, বেসরকারি মাণ্ডি ও এপিএমসি-র পার্থক্য ব্যাখ্যা করেছে সরকার। এছাড়াও সরকারের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল এমএসপি-র কেন গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছে না।

কৃষক নেতারা ভারতীয় ও বিদেশী মিডিয়ার রিপোর্ট তুলে ধরেন তাদের বক্তব্যের সমর্থনে।

কৃষি সচিব সঞ্জয় আগরওয়ালও বৈঠকে কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন নয়া কৃষি আইন নিয়ে।

ইতিমধ্যে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং বৃহস্পতিবার আলাদা একটি বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে মিলিত হন। তিনি পাঞ্জাবে অর্থনীতি থমকে যাওয়ায় ও জাতীয় নিরাপত্তার কারণে কেন্দ্রকে আর্জি জানান, কৃষকদের সঙ্কটের দ্রুত সমাধান করার।

হাজারে হাজারে কৃষকরা দিল্লির সীমান্তে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছেন। পাঞ্জাবের কৃষকদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের কৃষকরা। প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন গুজরাতের কৃষকরাও।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.