Header Ads

বকুলবন হাউসিং কলোনিতে দুই যুবতীকে হত্যার চেষ্টা, অপরাধী ধরা পড়েনি

 

নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটি : গুয়াহাটি মহানগরের হাতিগাঁও পুলিশ থানার অতি কাছেই সরকারি আবাস বকুলবন হাউসিং সেখানে প্রায় হাজার বাসিন্দার বাস, অফিসার, ডাক্তার, সাংবাদিক প্রমুখদের সুরক্ষিত হাউসিঙে রবিবার ভোর রাতে এক লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে গেলআজও অপরাধী ধরা পড়লো না। এল এল বির চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রী জেসমিন আহমেদ, এম এ পাঠরতা নিলফা ইয়াসমিনকে দুজন দুষ্কৃতী পিছনের প্রাচীর টপকে এসে বড় কাঠের টুকরো দিয়ে দুজনের মাথা ফাটিয়ে চৌচির করে দেয়তাদের ভাই কৃতি ছাত্র আহমেদ ফরিদ আলবাসীকেও আক্রমণ করে। ২০ থেকে ২৫ বছরের দুই যুবতী ডাউন টাউন হাসপাতালের আই সি ইউ-তে ভর্তিআজও জ্ঞান ফেরেনিমৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। পশ্চিম বিলাসিপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক আলী আকবর মিয়াঁর ভাইয়ের মেয়ে জেসমিন আর পত্নী ফরিদা ইয়াসমিন মিঞার বোনের মেয়ে নিলফা প্রতি দিনের মত একই ঘরে রাতে শুয়ে ছিলেন। ভোর তিনটে নাগাদ দুজন দুষ্কৃতী কিভাবে ঘরে প্রবেশ করলো, না আগে থেকে প্রাক্তন এম এলের ১২ নম্বর আবাসনে লুকিয়ে ছিল তা কেউ বলতে পারছেন না। ধুবড়ি জেলা পরিষদের মেম্বার পত্নী ফরিদা ইয়াসমিন মিঞা এই প্রতিবেদককে জানান, তার স্বামী দেখেছেন দুই দুষ্কৃতী রান্নাঘর দিয়ে পালিয়ে যায়। উড়িশাতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের কৃতি ছাত্র আলবাসী বর্তমানে অনলাইনে ক্লাস করছে দুই দুষ্কৃতী প্রথমে মেয়েদের আক্রমণ করার পর তাদের ছেলেকে আক্রমণ করলে ছেলে চিৎকার শুরু করলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। তাদের সকলকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বলে ফরিদার সন্দেহ কিন্তু কেন? কি তাদের অপরাধ? হাতিগাঁও থানার পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করেছে স্নিপার ডগ আনা হয়েছিলছোট নদীটির কাদা মাটিতে পায়ের ছাপ, সীমান্ত প্রাচীরের হাতের ছাপ, দরজার হাতের স্পর্শ প্রভৃতি পরীক্ষা করা হয়েছে কিকে ভোর রাতে দরজা খুলে রেখে ছিল, কে দায়ী তা তদন্ত করা হয়েছে কি? এত বড় হাউসিং কলোনিতে সি সি ক্যামেরা নেই কেন? এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই যুবতীর জ্ঞান ফেরেনি। মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। কলোনীর এই মর্মান্তিক ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে অগ্রগামী মহিলা সমিতি এবং বকুল বন কল্যাণ সমিতি সরব হয়েছে।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.