Header Ads

গুপ্তধনের লোভে পাঁচ শিশুকে বলির চেষ্টা

 


নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটিঃ অসমে প্রায় দিনই কুসংস্কারের বিভিন্ন ধরনের পৈশাচিক ঘটনা ঘটেই থাকে। ডাইনি হত্যা, গণপিটুনি, নর বলি প্রভৃতি ঘটনা ঘটছে বরাবরই চলে আসছে। এবার ফের শিহরণ জাগানো ঘটনাটি ঘটল। নরবলির মতো এক ভয়াবহ ঘটনা সংঘটিত হওয়া থেকে কোনক্রমে রক্ষা পাওয়ার কথা প্রকাশ্যে এসেছে।

কালীপুজোর অন্ধকার রাতে নিজের সন্তানসহ ৫ শিশুকে নরবলির জন্যে তৈরি করেছিল দুই ভাই!

অন্ধবিশ্বাসের কবলে পরে দুই ভাই নিজের সন্তানের সঙ্গে ৪ শিশুকে নরবলি দেয়ার জন্যে প্রস্তুত করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে শিবসাগর জেলার ডিমৌমুখে।

জানা গেছে, শিবসাগর জেলার ডিমৌমুখ অঞ্চলে একটি আম গাছের নিচে থাকা গুপ্তধনের লোভে মরাণের একজন ওঝার পরামর্শ অনুযায়ী নিজের সন্তানকে বলি দেয়ার জন্যে তৈরি করে জমিরুল হোসেন এবং সরিফুল হোসেন নামে দুই ভাই।

দুভাইকে পৈশাচিক এই কাজে সাহায্য করে বড় বোন আয়শা বেগম। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে, গ্রামের লোকজনের সামনে দুভাই অন্য এক শিহরণকারী ভাষ্য দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

তারা নিজের পুত্র সন্তানের সঙ্গে গ্রামের আরও চার শিশুকে নর বলির জন্যে তৈরি করেছিল বলে গ্রামের লোকেদের সামনে স্বীকার করে। ঘটনায় শংকিত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা।

শনিবার দিনে ঘটনা জানতে পেরে গ্রামের বাসিন্দারা সন্ধ্যায় দুই ভাইকেই জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তাঁরা দুজন সব ঘটনা সত্য বলে স্বীকার করে নেয়।

পরে দুই অভিযুক্তকে স্থানীয় জনগণ শিবসাগর পুলিশের কাছে সমঝে দেয়। অবশ্য পুলিশ এই ঘটনা সম্পর্কে পৃথক মত প্রকাশ করে বলেছে, আটকাধীন দুভাই এখনো পুলিশের কাছে নিজের পুত্রসহ ৫ শিশুকে বলি দেয়ার জন্যে প্রস্তুত করেছিল, সেকথা এখনো স্বীকার করেনি।

অভিযুক্ত দুভাই ছেলের শারীরিক অসুস্থতার জন্যে মরাণের ওঝার কাছে গিয়েছিল বলে পুলিশের কাছে প্রকাশ করে। এখনো এই ঘটনা বিষয়ে পুলিশ কোন এজাহার পায়নি এবং দুঅভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি বলে প্রকাশ করেছে। তবে ঘটনার পূর্ণ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে পুলিশ এবং তদন্তে প্রকৃত ঘটনা সামনে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। পুলিশ অভিযুক্ত দুভাইয়ের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় আটক করে রেখেছে বলে জানায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.