Header Ads

কোভিড বিধি মেনেই মাতুন আলোর উৎসবে, বার্তা কোভিড জয়ী রবীন্দ্র শিল্পী পাপড়ির

বিপ্লব বৈদ্য, আগরতলা, ১৪ নভেম্বরঃ কোভিড  বিধি  মেনেই দীপাবলির আনন্দ উপভোগ করুন,দীপাবলির দিনে  এই বার্তা দিলেন কোভিড জয়ী কলকাতার উঠতি রবীন্দ্র  শিল্পী  পাপড়ি বসু। দীপাবলি আলোর উৎসব, আমাদের ভবিষ্যৎ দিনগুলি ভরে উঠুক আলোয় আলোয়, এই প্রত্যাশা এই প্রজন্মের রবীন্দ্র শিল্পী পাপড়ির। এই অতিমারির সময়ে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে,মুখে মাস্ক পড়ে, ঘন ঘন হাত ধোঁয়ার কথা  খেয়াল রেখেই  উপভোগ  করুন দীপাবলির আনন্দ। একই সঙ্গে  পাপড়ির আব্দার,পোড়াবেন না শব্দবাজি। বাজি পুড়লে পরিবেশের  দূষণ যেমন  বাড়ে,তেমনি  বাজির  বিকট শব্দে ভয় পায় ছোটরা, অসুবিধা হয় বয়স্কদেরও। শারদ উৎসবের পঞ্চমী তিথিতেই সপরিবারে  করোনায় আক্রান্ত  হয়েছিলেন  মিস্টি মেয়ে পাপড়ি। করোনাকে হারিয়ে জয়ী হতে পারলেও  দক্ষিণ  চব্বিশ  পরগনার বেনীপুর বসুবাড়ির দুর্গাদালান  থেকে  এবারে কাউকে বিজয়ার শুভেচ্ছা  জানাতে না পারার আক্ষেপ বয়ে বেড়াচ্ছেন পাপড়ি। এই নিয়ে  ২৮৮ বার দুর্গাপূজা  হয়েছে পাপড়ির  শ্বশুরবাড়ি বেনীপুরের  সুপ্রাচীন বসুবাড়িতে । পূজো ঘিরে প্রতিবছরের মত এবারও  পারিবারিক মিলনোৎসব  হলেও যেতে পারেননি দুই ছেলে আর স্বামী সমেত পাপড়ি। উৎসবের দিনগুলি কেটেছে নিভৃতবাসে। রবীন্দ্রনাথে নিবেদিত  প্রান পাপড়ির শৈশব কেটেছে জয়নগরে। বীমা কর্মচারী  রনেন্দ্রনাথ দেব আর গৃহকর্ত্রী মমতা দেবের একমাত্র  মেয়ে পাপড়ির  ছোটবেলা থেকেই শাস্ত্রীয় সংগীতে  তালিম শুরু গুরু রথীন চৌধুরীর কাছে। মাধ্যমিক পাস করে কলকাতায় এসে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনার সঙ্গে  সঙ্গে চালিয়েছেন  সংগীত চর্চাও। ২৫ বছর  ধরে গান শিখেছেন সুমিত্রা সেনের কাছে। গান শিখতেন রুনু দত্ত ও জয়তী চক্রবর্তীর কাছেও। ২০০৬ সালে স্কুল শিক্ষিকা হিসাবে চাকুরী পাওয়ার পর মাঝখানে  কিছুদিন ছেদ পড়ে সংগীত চর্চায়। স্কুল,কলেজ বেলায়  সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার স্বামী কৃষেন্দু বসুর সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করা পাপড়ি এখন কুল ডোরে বাধা পড়েছেন রবীন্দ্রসংগীতে।  ভালোবাসার টানেই করেন সংগীতচর্চা। নিয়মিত রেওয়াজ করেন।গানের তালিম নিচ্ছেন সংগীত গুরু প্রবুদ্ধ রাহার কাছে। রবীন্দ্র বানী ও গানের কথা হৃদয়ে গেঁথে নিজেকে উজাড় করে দরাজ গলায় রবীন্দ্র  গানে  মুক্তমঞ্চের সব আলো চুষে নেওয়া পাপড়িকে ছোটবেলা  থেকেই পরিচিতজনরা  বলতেন রবীন্দ্রগান দারুণ  মানায় তাঁর গলায়। তখন  থেকেই জোর রবীন্দ্র গানের চর্চায়। লকডাউনের সময়ে কলকাতা ও দেশ বিদেশের বহু সংগঠনের ফেসবুকের পাতায় গানলাইভে এসে দরাজ প্রশংসা পেয়েছেন শ্রোতাদের । একসময়ে গাইতেন গনসংগীতও। করোনা জয়ী পাপড়ির পরামর্শ, করোনায় আক্রান্ত হলে ভয় পেলে চলবে না। সর্তক ও সচেতন থাকতে হবে। ঘন ঘন অক্সিজেন লেভেল পরীক্ষা করে দেখতে হবে। রাখতে হবে মনের জোর।  মনের জোর থাকলে সব রোগকেই মোকাবিলা  করা  যায়। সর্তক ও  সচেতন  থেকে কোভিড উপযোগী জীবনযাপন করেই এই মারন ভাইরাসকে মোকাবিলা  করতে সকলের কাছে আবেদন সুন্দরী  তরুনী, রবীন্দ্র শিল্পী  পাপড়ি বসুর

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.