বিমানযাত্রীদের জন্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নয়া কোভিড নীতি ঘোষণা
নয়া
ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটিঃ আগামি সপ্তাহ
থেকে অসমের পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্বের বিমান যাত্রীদের জন্যে নতুন কোভিড নীতি
শুরু করা হবে! ঘোষণা করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা।
অসমের
বাইরের এবং অসমের বিভিন্ন স্থান থেকে গুয়াহাটিতে আসা বিমান যাত্রীদের জন্যে
সরুসজাইস্থিত কোভিড টেস্টিং কেন্দ্রটি বন্ধ করা হবে।
বুধবার রাতে অসমের
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা টুইটারের মাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন।
বর্তমানের
সরুসজাইস্থিত করোনা টেস্টিং সেন্টারটি বন্ধ করে তার পরিবর্তে আগামি সপ্তাহ থেকে
বিমান যাত্রীদের বিমানবন্দরে নিজেই কোভিড টেস্ট করাতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ঘোষণা অনুযায়ী,
আগামি
সপ্তাহ থেকে উত্তর-পূর্ব এবং অসমের ভিতর যাত্রা করা বিমান যাত্রীদের কোভিড টেস্ট
করার আর প্রয়োজন নেই।
“আগামি সপ্তাহ
থেকে-
১।
গুয়াহাটিতে আসা বিমান যাত্রীরা সরুসজাই কোভিড টেস্ট কেন্দ্রের পরিবর্তে
বিমানবন্দরে নিজেই কোভিড টেস্ট করাতে হবে।
২।
উত্তর-পূর্ব এবং অসমের ভিতর ভ্রমণ করা বিমান যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করার প্রয়োজন
নেই”।
উল্লেখ্য, বুধবার পর্যন্ত
অসমে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,১০,৮৬৫ জনে বৃদ্ধি
পেয়েছে।
১৮
নভেম্বর,
২৩,৪৮৪টি করোনা
পরীক্ষা করা হয়েছে। এর ভিতর ১৬৯ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা
হয়েছে।
তদুপরি
সংক্রমণে নতুন করে আরো ৩ জন ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন।
এর
সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যে কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হওয়া রোগীর সংখ্যা ৯৬৯ জনে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমান ৩,২৮৫ জন করোনা
আক্রান্ত ব্যক্তি রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এদিকে, ভারতে বুধবার
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৬১৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট কোভিড আক্রান্তের
সংখ্যা ৮৯ লক্ষ ১২ হাজার ৯০৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
প্রাণঘাতী
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে গতকাল অবধি ভারতে প্রাণ হারিয়েছেন ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৯৩
জন।
আমেরিকা, ইউরোপের তুলনায়
ভারতে করোনা আক্রান্তের সুস্থ হওয়ার হার প্রথম থেকেই ভালো। ভারত যুদ্ধকালীন গতিতে
করোনা প্রতিরোধে কাজ করে চলেছে।
ভারতে
করোনা ভাইরাসকে পরাজিত করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৮৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ১০৯ জন(১৮
নভেম্বর পর্যন্ত)।
তবে
সাবধানতা পালনের ক্ষেত্রে শিথিলতা যেন না আসে, সে বিষয়ে
বারবারই সতর্ক করা হচ্ছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ঘেব্রিয়াসুস সতর্ক করেছেন, ভ্যাকসিন এলেও
মারণ করোনাকে পরাজিত করা সম্ভব হবে না।
এ
সময় হাতের কাছে থাকা সরঞ্জাম তথা মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব
বজায় রাখা প্রভৃতি মেনে চলতেই হবে।
কোন মন্তব্য নেই