Header Ads

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ, গ্রেপ্তার ১৪ রোহিঙ্গা

 


কলকাতাঃ বাংলাদেশে শরণার্থী রোহিঙ্গারা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে, জড়িয়ে পড়েছে সব ধরনের অপরাধমূলক কার্যে! খুন, চুরি-ডাকাতি-ইয়াবা কারবারসহ আরও অনেক! যে বাংলাদেশ মানবিকতার খাতিরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আদর করে কোলে তুলে নেয়, সেই রোহিঙ্গা এখন বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের কাছে! গলার কাঁটা এরা।

এদিকে, ভারতেও শরণার্থী শিবির থেকে পালিয়ে আসছে এই রোহিঙ্গারা। এমনই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা ১৪ জন বিদেশি নাগরিককে আগরতলা-নিউ দিল্লি স্পেশাল রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করা ১৪ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করল আরপিএফ এবং রেল পুলিশ। আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে মহিলা রয়েছেন আটজন, চারজন পুরুষ এবং দুই নাবালক-নাবালিকা। এরা প্রত্যেকে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে পালিয়ে এসেছে। এমনকি ট্রেনের টিকিটও বেআইনি ছিল তাদের। জানাচ্ছেন, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ।

শিবির থেকে পালিয়ে আসা এই রোহিঙ্গারা ভুয়া তথা অন্য যাত্রীদের নাম পরিচয় টিকিট বানিয়েছিল। এই ঘটনার পরই ট্রেনে আরও কড়া নজরদারি করা হচ্ছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার আগরতলা-নিউ দিল্লি স্পেশাল রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনে করে এই রোহিঙ্গারা গা ঢাকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। বদরপুর থেকে এই রোহিঙ্গারা নিজেদের পরিচয় গোপন করে অন্য যাত্রীদের নাম এবং পরিচয় দিয়ে নকল করে টিকিট কাটে। এরপর অসমের বদরপুর থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসে চাপে। মূলত এই রোহিঙ্গারা অন্য যাত্রীদের সঙ্গে ঝামেলা বাঁধানোর পরই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। অর্থাৎ আলিপুরদুয়ারে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে এরা ঝামেলা শুরু করে। এরপরই কামরার বাকি যাত্রীরা তাঁদের বিরুদ্ধে রেলের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে এমন দুর্ব্যবহারের কথা জানান। তবে ট্রেনটি আলিপুরদুয়ার স্টেশন পার করে গেলে সেখানের আধিকারিকরা কাটিহার ডিভিশনের আরপিএফ এবং রেল পুলিশের আধিকারিকদের সম্পূর্ণ বিষয়টি জানান। অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয়ে ওঠে রেল পুলিশ। রাজধানী এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে ঢোকার সঙ্গে এনজেপি স্টেশন শাখা এবং রেল পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে ধরা পড়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা ১৪ রোহিঙ্গা। নকল টিকিটসহ তাদের আটক করে শুরু হয় জেরা। এদের কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের কোন প্রমাণ নেই। এরপরই জানা যায়, ১৪ জন কক্সবাজার শরণার্থী শিবির থেকে পালিয়ে এসেছে। এবং ভারতে অনুপ্রবেশ করে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.