Header Ads

সূর্য উপাসনার অনুপম লৌকিক উৎসব ছট

দেবযানী পাটিকর, গুয়াহাটিঃ

 কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যেও মহানগরে ধূমধামের সঙ্গে পালিত হল ছট পুজো। শনিবার ছিল ছট পুজোর দ্বিতীয় অর্থাৎ শেষ দিন। এদিন ভোররাতে মহানগরে মহাবাহু ব্ৰহ্মপুত্ৰের বিভিন্ন ঘাটে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্য প্রদান করে লক্ষ লক্ষ ভক্ত। তবে একাংশ সচেতন মহল কোভিড সংক্ৰমণ এড়াতে নিজের বাড়িতেই পুজোর সমস্ত নীতি নিয়ম মেনে পুজো সেরেছেন। 

  ছট পুজো মূলত সূর্য আরাধনা উৎসব। এই পুজোতে সূর্যের সাথে সূর্যের দুই শক্তি প্রত্যুষা ও ঊষা-র আরাধনা করা হয়। সন্ধ্যেবেলা সূর্যের শেষ কিরণ প্রত্যুষা ও প্রাতঃকালে সূর্যের প্রথম কিরণ ঊষা কে অর্ঘ্য প্রদান করা হয়। লোকমতে বিশ্বাস, পারিবারিক সমৃদ্ধি, মনোবাসনা পূর্ণ, পুত্র প্রাপ্তির জন্য ছট পুজোর ব্রত পালন করা হয়ে থাকে। প্রতিবছর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে শুরু হয় এই পুজো। দিপাবলীর পর হিন্দুদের অন্যতম উৎসব এই ছট পুজো।এবার  বাংলা মতে অগ্রহায়ণ মাসে পড়েছে এই পুজো।

 উত্তর ভারতে বিশেষ করে বিহার, উত্তরপ্রদেশ ঝাড়খণ্ডে এই পুজো পালন করা হয়ে থাকে। ধীরে ধীরে এই পার্বণ প্রবাসী ভারতীয়দের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে প্রচলিত হয়েছে। এই পুজোতে কোনও মূর্তি পুজো হয় না। একমাত্ৰ সূর্যই এই পুজোর প্রধান আরাধ্য দেবতা।
কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপাবলি পালনের পর চার দিনের ব্রত শুরু হয়। ব্ৰত শুরু হয় কার্তিক শুক্লা চতুর্থীতে, চলে সপ্তমী অবধি।
এই ব্রতের তৃতীয় দিনে অস্তগামী সূর্যকে অর্ঘ্য প্রদান করা হয় ও ব্রতের শেষ দিনে উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্য প্রদানের পর এই পুজো শেষ হয়।
ছট পুজো উপলক্ষে নগরের বিভিন্ন ঘাট যেমন বৈশিষ্ঠ্য, বেলতলা, সুনসালি, কছুমারী, শুক্লেশ্বর ঘাটে সূর্য উপাসনার জন্য ভক্তরা ভীড় করেন। পুজোর কারণে মহানগরের প্ৰতিটি ঘাটকে সুন্দর করে পরিস্কার করে সাজিয়ে গুছিয়ে তোলা হয়েছিল। অস্থায়ী শৌচাগারের ব্যবস্থা ও সুরক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেয়া হয়। স্বেচ্ছাসেবকরা ছাড়াও এসডিআরএফ জল পুলিশ ছিল সতর্ক। এছাড়াও বিভিন্ন ছট সমিতির উদ্যোগে ঘাটে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.