সংকটমুক্ত নয় এখনও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, ডায়ালাইসিস চলছে এখনও
আশু আরোগ্য কামনা রাজ্যবাসীর, স্বাস্থ্যের
খবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদি ও রাজনাথ সিং
নয়া
ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটিঃ রাজনীতির দুরন্ত তথা স্বচ্ছ
ভাবমূর্তির অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ এখন শয্যাগত! করোনা অতিমারি জয়
করেছেন,
কিন্তু
শরীর সুস্থ নয়,
বরং
আরও অবনতির পথে অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ।
আছে শ্বাসকষ্টের সমস্যা।
শরীরের একাধিক অঙ্গ
বিকল হয়ে তিনি আপাতত গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর শ্বাসকষ্টের প্রবল সমস্যা! প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্য সম্পর্কে খবর নিশ্চিত করেছেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
গতকাল
তিনি জানিয়েছিলেন,
মুখ্যমন্ত্রী
মানুষ চিনতে পারছেন না। গতকাল বিকেল থেকেই প্রতি মুহূর্তে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটা
তরুণ গগৈ এখন মেকানিকেল ভেন্টিলেশনে চিকিৎসাধীন। গগৈর শরীরে পটাসিয়াম বৃদ্ধি
পেয়েছে। সে কারণে বিকেল প্রায় ৩.৩০ থেকে তাঁর দেহ থেকে পটাসিয়াম বের করার জন্যে
দেয়া হচ্ছে ডায়ালেসিস।
ইতিমধ্যে
জিএমসিএইচ হাসপাতালে বাবার কাছে উপস্থিত হয়েছেন ছেলে গৌরব গগৈ, কন্যা
চন্দ্রিমা গগৈ এবং এলিজাবেথ কলবার্ণ উপস্থিত হয়েছেন।
এদিকে, জিএমসিএইচ-এ প্রাক্তন
মুখ্যমন্ত্রীর আশু আরোগ্য কামনা করে সকলেই প্রার্থনা করার পাশাপাশি রাজ্যের
চারদিকে প্রদীপ জ্বালিয়ে তরুণ গগৈর জন্যে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন।
রবিবার
সকালে অল্প সময়ের জন্যে চোখ মেলেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এখনো পরবর্তী ২৪
ঘন্টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ সংকটমুক্ত এমনটা বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জিএমসিএইচ-এর
সুপারিটেণ্ডেন্ট অভিজিৎ শর্মা।
উল্লেখযোগ্য
যে,
গতকাল
থেকে non
invensive ভেন্টিলেশনে
স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার জন্যে মেকানিকেল ভেন্টিলেশনে চিকিৎসা চালানো হচ্ছে।
টিউবের সাহায্যে কৃত্রিমভাবে ভেন্টিলেশনে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সাহায্য করা হচ্ছে
তাঁকে।
কাল
বিকেল থেকে গগৈর স্বাস্থ্য শোচনীয় দিকে যায়। তাঁর কিডনি, হৃদপিণ্ড, লিভারের সাধারণ
অবস্থা বা ক্রিয়া প্রক্রিয়া যথেষ্ট প্রমাণে কমে যায়। কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস
নেয়ার পরও কিডনি,
হার্টের
ক্রিয়া স্বাভাবিক হওয়ার জন্যে ওষুধ দেয়া হচ্ছে।
গত
আগস্টে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বছর ছিয়াশির তরুণ গগৈ। বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা
থাকার জন্যে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি হতে হয়। প্রায়
দু’মাস সেখানে চিকিৎসাধীন
ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়িও ফেরেন অক্টোবরের
শেষদিকে। কিন্তু এরপর আবার নভেম্বরের প্রথম দিকে করোনা পরবর্তী একাধিক উপসর্গ নিয়ে
গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। মাল্টি-অর্গ্যান ফেলিওরের পাশাপাশি
শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ে।
এদিকে, তরুণ
গগৈর স্বাস্থ্যের নিয়মিতভাবে হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। খবর
লেখা অবধি জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাজনাথ সিং স্বাস্থ্যের খবর
নিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই