Header Ads

পঞ্চভূতে বিলীন তরুণ গগৈয়ের নশ্বর দেহ, বৈদিক নিয়ম মেনে মুখাগ্নি দিলেন পুত্র গৌরব

 


নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটিঃ সুদীর্ঘ ১৫ বছরের জন্য শাসনের হাল নিজের দখলে রাখতে সক্ষম হওয়া অসম রাজনীতির দূরন্ত তরুণ প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত তরুণ গগৈ আজ পঞ্চভূতে বিলীন হলেন। 

২৬ নভেম্বর বিকেল ৩.২৪ মিনিটে পুত্র গৌরব গগৈ গুয়াহাটি নবগ্রহ শ্মশানে তরুণ গগৈর নশ্বর দেহে মুখাগ্নি করেন। পঞ্চভূতে বিলীন হওয়ার আগে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল, বিজেপির সভাপতি রঞ্জিত দাস, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরা, বিরোধী দলপতি দেবব্রত গগৈ, তরুণ গগৈর স্ত্রী ডলি গগৈসহ আরও বহু ব্যক্তিত্ব। সহস্রাধিক গুণমুগ্ধের উপস্থিতিতে নবগ্রহ শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। যারা ভিতরে প্রবেশ করেননি, তাঁদের জন্যে বাইরে স্ক্রিনে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার দৃশ্য দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আহোম পরম্পরা এবং হিন্দু পরম্পরা দুই অনুসারে গগৈর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। উল্লেখযোগ্য যে, গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যা ৫.৩৪ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তরুণ গগৈ।

এরপর তাঁর নশ্বর দেহ ২৪ নভেম্বর সরকারি আবাসগৃহ, জনতা ভবন, রাজীব ভবনে নিয়ে সেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্ব সমাপ্ত হওয়ার পর গুয়াহাটি শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্রে আজ সকাল পর্যন্ত রাখা ছিল।

২৬ নভেম্বর সকাল ৭.৪০ মিনিটে কলাক্ষেত্র থেকে ফের সরকারি আবাসগৃহে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ষীয়ান কং নেতার নশ্বর দেহ।  সরকারি বাসগৃহে পরিবার তাঁদের ধর্মীয় প্রথা আহোম পরম্পরা অনুসারে সম্পন্ন করে। সকাল ৯ টায় সরকারি বাসভবন থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অন্তিম যাত্রা শুরু হয়।

প্রথম ছয়মাইলের একটি গীর্জায় নেয়া হয়। সেখান থেকে জু রোডের কোন একটি নামঘরে নিয়ে যাওয়া হয় মরদেহ, এরপর আমবাড়ির বুঢ়া মসজিদ, উগ্রতারা মন্দিরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নশ্বর দেহ নিয়ে যাওয়া হয়! 

মন্দির-মসজিদ-গীর্জা হয়ে তাঁর দেহ পৌঁছায় শ্মশানে! তাঁকে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন অগণন গুণমুগ্ধ। 

সবাইকে চোখের জলে ভাসিয়ে রাজনীতির তরুণকে অবশেষে রাজ্য সরকারের নির্দেশ মর্মে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মান জানানো হয়। এবং চিরদিনের মতো বিলীন হয়ে গেলেন পঞ্চভূতে।

প্রয়াত তরুণ গগৈর পদ চিহ্ন বা ছাপ সংগ্রহ করেছে পূৰ্ণ শিল্পম শিল্পালয়।

সরকারি বাসভবনে গগৈর নশ্বর দেহ রাখা অবস্থায় পরিবারের অনুমতি নিয়ে সংগ্রহ করে পায়ের ছাপ। সেটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে পূর্ণ শিল্পম। আগে শিল্পী ভূপেন হাজারিকার পদযুগল নির্মাণ করে সংরক্ষণ করে রেখেছিল এই শিল্পালয়ই।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.