জাতীয় প্রেস দিবসে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটিঃ
১৬ নভেম্বর ভারতে জাতীয় সাংবাদিক দিবস! ১৯৬৬ সালের আজকের দিনটিতে দেশের সংবাদ
মাধ্যমের স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং সুরক্ষার লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছিল প্রেস কাউন্সিল অব
ইণ্ডিয়া।
প্রেস কাউন্সিল অব ইণ্ডিয়ার প্রতিষ্ঠার দিনটি প্রত্যেক বছর প্রেস
দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়।
দেশের সাংবাদিকরা নিজেদের কর্তব্য পালন করার সময় বিভিন্ন ধরনের
প্রত্যাহ্বানের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খবর সংগ্রহ করতে যান।
তদুপরি এদিনও মুখোমুখি হওয়া বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির বিষয়ে এ দিনটিতে
বিস্তৃতভাবে আলোচনা করা হয় যদিও করোনা পরিস্থিতির জন্যে এবার বিভিন্ন স্থানে কোভিড
বিধি মেনে স্বল্প পরিসরে রাষ্ট্রীয় প্রেস দিবস উদযাপনের খবর এসেছে।
সংবিধানের ১৯(১)(ক) অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা বাক স্বাধীনতাকে
সাংবাদিকরা যেন সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারে, সে
বিষয়ে আজকের এই দিনে বিশেষভাবে ফোকাস করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি
ভারতেও সাংবাদিকরা সুরক্ষিত নয়।
ত্রিপুরায় তো সাংবাদিকদের উপর হামলাও করা হচ্ছে। এমনকি
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ঘিরে সাংবাদিকরা দিনের পর দিন প্রতিবাদ করেছেন। তাঁদের
স্বাধীনতা দেয়া হচ্ছে না, সাংবাদিকরা স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ত্রিপুরায়! এমন বিভিন্ন
অভিযোগে তাঁরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে শাসকদল আশ্রিত
দুষ্কৃতিরা অনবরত সাংবাদিকদের সঙ্গে অসভ্য আচরণ করে যাচ্ছে। ত্রিপুরার একের পর এক
অভিযোগ রয়েছে সাংবাদিকদের এমনই।
অ্যাসেম্বলি অব জারনালিস্ট দাবী করেছে,
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবের হুমকি বক্তব্যের পর রাজ্যে সাংবাদিকদের উপর
আক্রমণ আরো বেড়েছে ।
অসমে সাংবাদিকদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে একই ছবি দেখা যায়।
জাতীয় সাংবাদিক দিবসে সেজন্যে প্রতি বছর সাংবাদিকদের সুরক্ষার
বিষয়টি অগ্রাধিকার লাভ করে।
এ দিবস উপলক্ষে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল টুইটারের
মাধ্যমে সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করার পাশাপাশি অতিমারির মধ্যেও সাংবাদিকরা
নিষ্ঠাসহকারে নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করে যাওয়ার জন্যে ধন্যবাদ জ্ঞাপন
করেছেন।
এদিকে, আজ অসমের জাগিরোড মহাবিদ্যালয়ের সভাকক্ষে দিনব্যাপী কার্যসূচির
মধ্য দিয়ে প্রেস দিবস পালন করা হয়।
সকালে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে কার্যসূচির শুভারম্ভ করেন
মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড০ ভবেন চন্দ্ৰ নেওগ।
সংবাদ মাধ্যমের প্রত্যাহ্বান এবং সাংবাদিকের কর্তব্য শীর্ষক একটি
আলোচনা চক্রও অনুষ্ঠিত হয় এদিন।
১৯৬৬ সালের ১৬ নভেম্বর প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া কাজ শুরু করে।
বিচারপতি চন্দ্রমৌলি কুমার প্রসাদ ভারতের প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হন।
কোন মন্তব্য নেই