Header Ads

লাইভে গান গেয়ে শ্ৰোতাদের মন জয় করলেন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী মধুমিতা ব্যানার্জি ঘোষাল


নয়া ঠাহরের প্রতিবেদন, আগরতলা, ১১ অক্টোবর : মারণ ভাইরাসের দাপটে লণ্ডভণ্ড গোটা পৃথিবী। বদলে গেছে জীবনযাত্রা। বদলে গেছে মানুষের কাজের ধরনও। শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা মানুষের ভরসা এখন ভার্চুয়াল মাধ্যম। ওর্য়াক টু হোম শব্দবন্ধটিকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইছে মানুষ। একঘেয়েমি, ক্লান্তির হাত থেকে বাঁচতে বিনোদন, সংস্কৃতি চর্চার জন্যে মানুষের এখন ভরসার জায়গাও মুক্ত মঞ্চের বদলে ভার্চুয়াল মঞ্চ। অতিমারির এই সময়ে মুখবইয়ের পাতায় মঞ্চ বেঁধেছে সংস্কৃতিমনা মানুষদের বহু সংগঠন। এই ঘোর দুর্দিনে মানুষকে গানে গানে ভালো রাখতে চাওয়া সংগঠনগুলির হাত ধরে বহু গুণী শিল্পীর গান শুনে মুগ্ধ হয়েছেন শ্রোতারা। সামাজিক মাধ্যমের দৌলতে গোটা বিশ্বের বাঙালি জাতির কাছ থেকে নিজের ক্যারিশ্মায় সমীহ আদায় করে নিলেন এই প্রজন্মের রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী মধুমিতা ব্যানার্জি ঘোষাল। উত্তর আমেরিকার বিনোদন চ্যানেল-ঝংকার টিভি, কানাডার প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলা টিভি চ্যানেল- দেশ-বিদেশে টিভি, মধ্য অসমের লামডিং শহরের মহিলা সংগঠন নন্দিনী, কলকাতার রবিঠাকুরের ঘর, রবিস্পন্দন, মাভৈ:, অন্বেষণ, গীতিকা সংগীত ও নৃত্য মহাবিদ্যালয় সমেত আরও কিছু সংগঠনের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছেন কলকাতার এই বাঙালি মেয়ে। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা মধুমিতা নিজের ফেসবুক থেকেই প্রথম লাইভে আসেন লকডাউন শুরুর প্রথম দিকে। অজানা শংকা বুকে বেঁধে ফেসবুক লাইভে এসেই বাজিমাত করে ফেলেন। প্রচুর দর্শক শ্রোতা সরাসরি তারিফ করেন তাঁর গানের। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অসমের নন্দিনীর পেইজে গান শুনিয়ে অসম, ত্রিপুরা, কলকাতা ও বাংলাদেশের বাঙালি শ্রোতাদের এক জায়গায় নিয়ে এসেছেন বলে মধুমিতার বেশ তারিফ করেন নন্দিনীর কর্নধার জয়শ্রী আচার্য। সেদিনের শ্রাবণ সন্ধ্যায় মধুমিতার লাইভে গান শুনে গুয়াহাটির প্রখ্যাত প্রবীন সাংবাদিক অমল গুপ্ত মন্তব্যে লিখেন, বর্ষা ঋতুর গানের সময় গুয়াহাটিতেও বৃষ্টি হচ্ছিল। কলকাতা, গুয়াহাটি মিলে মিশে একাকার হয়ে গেল। মধুমিতার প্রতিটি লাইভে দর্শক শ্রোতা হাজারেরও বেশী। তাঁর সুরেলা কন্ঠ, পছন্দের গান শোনার আবদার জানিয়ে লাইভ চলাকালীন সরাসরি মন্তব্য করেছেন অগনিত দর্শক, শ্রোতা। রবীন্দ্র সংগীত ছাড়াও লোক আঙ্গিকেরও নানা ধরনের গানের চর্চা করেন মধুমিতা। গান লাইভে লোক আঙ্গিকের গান শোনাবেন বলেও শ্রোতাদের কথা দিয়েছেন মধুমিতা। গান-লাইভে বেশ সুনাম কুড়ানো মধুমিতার গান শেখা চার বছর বয়স থেকেই। মায়ের কোলে বসে হারমোনিয়াম বাজিয়ে মায়ের কাছ থেকেই প্রথম গান শেখা শুরু তাঁর। সংগীত গুরু শৈলেন দাসের কাছে গান শিখতে গিয়েই রবীন্দ্র গানে বিমোহিত হয়ে পড়েন। রবীন্দ্রনাথের গানের গুরুত্বের কথা গুরু মুখে শুনে। গানকে নিজের সন্তান স্নেহে প্রতিপ্রালন করেন মনে প্রাণে বছর উনিশের মধুমিতা। সংগীত গুরু মায়া সেন ও এনাক্ষী চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও গানের তালিম নিয়েছেন মধুমিতা।

প্রতিদিন রেওয়াজ করতে না পারলে মাথা ঠিক থাকে না তাঁর। ভালো গান গাইতে হলে রেওয়াজ করতে হবেই বলে অভিমত মধুমিতার। একজন প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী হওয়ার লক্ষ্যে অবিচল মধুমিতা গান লাইভে এসে দর্শক শ্রোতাদের দরাজ প্রশংসা পেয়ে আপ্লুত। করোনা অতিমারী আমাদের অনেক কিছু কেড়ে নিলেও বাঙালি দর্শক-শ্রোতারা খোঁজ পেল মধুমিতার মত রবীন্দ্রশিল্পীর। পৃথিবীর সব বাঙালি চিনুক এই প্রতিভাময়ী শিল্পীকে এটাই চান মধুমিতার পরিজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.