Header Ads

ডিজিট্যাল যুগে যুব প্ৰজন্মকে চাপ মুক্ত থাকতে দিশা দেখাল অ্যাডভান্স হেল্থ কেয়ার ফাউন্ডেশন

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, নয়াদিল্লিঃ বর্তমানে তথ্য ও প্ৰযুক্তির যুগে মুঠোফোন আমাদের ছোটবেলা থেকেই জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে গড়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে কিশোর কিশোরীরা নিজেদের কিভাবে ইতিবাচক রেখে মানসিক চাপ মুক্ত জীবন যাপন করতে সক্ষম হবে। এই প্ৰশ্নই এখন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে কলকাতার বেসরকারি সংগঠন অ্যাডভান্স হেল্থ কেয়ার ফাউন্ডেশন শনিবার বেলা ১১ টায় ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ফাউন্ডেশনের নেটওয়ার্কের অধীনে এদিনের ইভেন্টে প্ৰায় পাঁচ হাজার ছাত্ৰছাত্ৰী ভার্চুয়ালি অংশগ্ৰহণ করেছেন।  


   ইভেন্টটি পরিচালনা করেছেন ক্লাব পলিমথ-এর সদস্যা তথা অ্যডোলেসেন্স-এর কোঅর্ডিনেটর মেঘা চট্টোপাধ্যায়। তাকে অনুষ্ঠানটি এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছেন ফাউন্ডেশনের ডাইরেক্টর ড০ শ্ৰেয়া চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন - কিশোর বয়সে একটি ছেলে অথবা একটি মেয়ে গুরুজনদের কাছ থেকে সঠিক আদর্শ গাইড পেলে অনেক কিছু করতে পারে। অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের আরেকজন ডাইরেক্টর ড০ সৌরভ কোলে অ্যাডভান্স হেল্থ কেয়ার ফাউন্ডেশন এখন পর্যন্ত কি কি কাজ করেছে তার কিছু তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান- ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে অর্গান ডোনেশন, টেলি মেডিসিন ব্যবস্থা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা,মায়ানমার, বাংলাদেশ, নেপাল ইত্যাদি জায়গায় গিয়ে কাজ করেছে। ২০১৩ সালে প্ৰতিষ্ঠিত এই সংগঠনের মাধ্যমে দেশের একটা বৃহৎ সংখ্যক মানুষ উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ পেয়েছে। রোটারি ক্লাব ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সংগঠনের সঙ্গে মিলে ফাউন্ডেশন জনকল্যাণের স্বার্থে কাজ করে চলেছে।  এদিনের অনুষ্ঠানে দেরাদুনের মেয়র সুনীল উনিয়েল গামা নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন। নেশা থেকে বর্তমান যুব প্ৰজন্মকে বাঁচাতে হবে। তাঁর কথায় বর্তমানে যুব সমাজ  দেশের জন্য খুব একটা চিন্তা করে না। যুব সম্প্ৰদায়ের মধ্যে নেশা থেকে দূরে থাকতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। অতিমারি করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তবেই অতিমারি থেকে আমরা সবাই মুক্তি পাবো। আমাদের সকলেরই দায়িত্ব যুব সমাজকে নেশা থেকে বাঁচিয়ে তাদের সঠিক দিশা দেখানো, যাতে তারা ভবিষ্যতে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে। 

এদিনের অনুষ্ঠানে অ্যাডভান্স হেলথ কেয়ার ফাউন্ডেশনের সম্মানিত জাতীয় উপদেষ্টা তথা আন্তর্জাতিক সাংবাদিক রত্নজ্যোতি দত্ত নিজের বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন-বর্তমানে ডিজিট্যাল যুগে আমাদের বয়ঃসন্ধিকালের মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি নিয়ে আরও সচেতন হতে হবে। অতিমারি কোভিড-১৯ সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ছাত্ৰছাত্ৰী এবং কিশোর কিশোরীদের মধ্যে মানসিক চাপ আরও বেড়ে গেছে। তথ্য প্ৰযুক্তির যুগে ইতিবাচক থাকাটাই আজকের দিনে বড় একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর কথায় সুস্থ মন এবং একটি সুস্থ শরীর নিয়ে আত্মবিশ্বাসের বিকাশই জাতীয়তার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। ছোটবেলা থেকেই এই অভ্যাস আমাদের রপ্ত করতে হবে। স্বামী বিবেকানন্দের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন- জীবনে ইতিবাচক থাকতে যুবকদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন তিনি( স্বামী বিবেকানন্দ)। এই অনুষ্ঠানে সমৃদ্ধ আলোচনার ফলে অংশগ্রহণকারী কিশোর-কিশোরী শিক্ষার্থীরা নিজেদের আরও ভালভাবে বুঝতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী। উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে অংশগ্ৰহণ করা সমস্ত শিক্ষার্থীকে  তথা সকলকেই তিনি বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এছাড়াও ফাউন্ডেশনের কিশোর বয়সী দলকেও ইভেন্টটি সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।  

এদিনের অনুষ্ঠানে সাইকোলজিস্ট ড০ আরতি আনন্দ, গঙ্গারাম হাসপাতালের ড০ সতনাম সিং ছাবড়া, দেরাদুন থেকে ড০ শোবিত গর্গ, কলকাতার মনোবিদ উদয় চৌধুরি, নয়া দিল্লির ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ আইপিএস ইশ সিংঘল অংশগ্ৰহণ করে বিষয়টি নিয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। এছাড়াও জন শিক্ষণ সংস্থান (জেএসএস), লায়ন্স ক্লাব, বিবেকানন্দ কেন্দ্ৰ স্কুল, বিদ্যা ভারতী স্কুলের ছাত্ৰছাত্ৰীরা এদিনের অনুষ্ঠানে অংশগ্ৰহণ করেছেন। কিশোর কিশোরীরা দুটো নাচের অনুষ্ঠানও করেছেন। স্বেচ্ছাসেবী অনুপ্ৰিয়া ভার্মা, খুশি ভার্মা, অক্ষিতা গোয়েল, সোমসি পাঠানিয়া, খুশি পোদ্দার, মানসি আনন্দ, শতক্ষি, আকাংশা সকলে মিলে কবিতা আবৃত্তি করেছেন। এদিনের অনুষ্ঠান যুব প্ৰজন্মকে কিছুটা হলেও নিজেদের সুবিধা অসুবিধার কথা কাছের মানুষকে শেয়ার করে মানসিক চাপমুক্ত হতে পারার রাস্তা দেখাতে পেরেছে বলে মনে করা হচ্ছে।  


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.