Header Ads

মহামারি ‘পপুলিস্ট’ রাজনীতিকে বিপাকে ফেলেছে !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়

বিশ্বব্যাপী গত কয়েক বছরে উগ্র ডানপন্থী জাতীয়তাবাদ ও বর্ণবাদের ওপর ভিত্তি করে পপুলিস্ট রাজনীতির ব্যাপক উত্থান ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও ব্রাজিলের মতো বড় অর্থনীতির দেশগুলোয় ক্ষমতায় আরোহণের পাশাপাশি গোটা বিশ্বে ক্রমেই প্রভাবশালী হয়ে উঠছিলেন পপুলিস্ট রাজনীতিবিদরা। বিশেষ করে ইউরোপের ‘অগ্রসর’ দেশগুলোয় তাদের উত্থান হয়ে উঠছিল অনেকেরই দুশ্চিন্তার কারণ। তাদের কেউ কেউ একটু একটু করে ক্ষমতার সিঁড়িতে আরোহণের পথে এগিয়েও যাচ্ছিলেন। যদিও বর্তমানে তাদের উচ্চাভিলাষ বাস্তবায়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবে মধ্য ও বামপন্থী দলগুলোর প্রতি জনসমর্থন বৃদ্ধি। জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির দুর্বল ও অদক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পপুলিস্ট প্রশাসনগুলো এরই মধ্যে নিজ নিজ দেশে একটু একটু করে প্রভাব হারাচ্ছে। অন্যদিকে যেসব দেশে পপুলিস্ট রাজনীতিবিদরা এখনো ক্ষমতায় আরোহণ করতে পারেননি, রাজনীতির ময়দানে তাদের পায়ের নিচ থেকেও মাটি কেড়ে নিচ্ছে মহামারীর প্রাদুর্ভাব।

বিশ্বব্যাপী পপুলিস্ট রাজনীতির উত্থানের ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে ধরা হয় যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভারতে নরেন্দ্র মোদি ও ব্রাজিলে জাইর বোলসোনারোর রাষ্ট্রক্ষমতায় আরোহণকে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে এ তিনটি দেশই শীর্ষস্থানে। অন্যদিকে দেশ তিনটির অর্থনীতিও এখন মারাত্মক দুর্দশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এজন্য দেশগুলোর পপুলিস্ট রাষ্ট্রপ্রধানদের মহামারী ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকেই দায়ী করা হচ্ছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্র, ভারত বা ব্রাজিল নয়; বিশ্বের সর্বত্রই পপুলিস্ট রাজনীতির ধারক-বাহকদের জনপ্রিয়তায় ধস নামিয়ে দিয়েছে মহামারী, যার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যুক্তরাজ্যে বরিস জনসনের ক্রমহ্রাসমান জনপ্রিয়তা ও ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নির্বাচনে।
গত সপ্তাহেও অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে উগ্র ডানপন্থী পপুলিস্ট রাজনৈতিক দল ফ্রিডম পার্টি অব অস্ট্রিয়ার ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে। সর্বশেষ রোববারের নির্বাচনে দলটির প্রাপ্ত ভোটের হার নেমে এসেছে মোটে ৯ শতাংশে।
অথচ কিছুদিন আগেও ফ্রিডম পার্টি অস্ট্রিয়া রাজনৈতিকভাবে বেশ প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিল। ভিয়েনায়ই আগের পৌর নির্বাচনে দলটি ভোট পেয়েছিল ৩১ শতাংশ। শুধু অস্ট্রিয়া নয়, গোটা ইউরোপেই পপুলিস্ট রাজনীতির ধারক অতিডানপন্থী দলগুলো এখন রীতিমতো ধুঁকছে। যদিও মহামারী শুরুর আগেও অনেকটাই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল এসব দলের অগ্রযাত্রা।
ইতালির অভিবাসনবিরোধী দল লেগা নর্ডের নেতা ও দেশটির প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী মাত্তিও স্যালভিনরি কিছুদিন আগেও দেশটির রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু মহামারী পরিস্থিতির মধ্যে দেশটির জাতীয় রাজনীতিতে খুব একটা হালে পানি পাচ্ছেন না তিনি। অন্যদিকে স্থানীয় অতিডানদের মধ্যেও তার জনপ্রিয়তায় ভাগ বসিয়েছেন ব্রাদার্স অব ইতালির নেতা জর্জিয়া মেলোনি।
অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের রাজনৈতিক দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন অব জার্মানির (সিডিইউ) নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া অঞ্চলের প্রধান আরমিন ল্যাশে সম্প্রতি এ বিষয়ে বিদেশী একটি গণমাধ্যমকে বলেন, মানুষ যখন ভালো থাকে, তখনই পপুলিস্ট রাজনীতিবিদদের ভোট দেয়। কিন্তু যখন পরিস্থিতি সঙিন হয়ে ওঠে, তখন তারা সেসব দলকেই বেছে নেয়, যেগুলোর ওপর তাদের আস্থা আছে।
তবে ইউরোপে পপুলিস্ট রাজনীতির দিন শেষ হয়ে আসছে, এ কথা মনে করার কোনো কারণ নেই বলে অভিমত দিয়েছেন জার্মানিভিত্তিক মেইনজ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর আর্জহাইমার। সম্প্রতি তিনি এফটিকে বলেন, ভোটারদের মধ্য থেকে অতিডান পপুলিস্ট দলগুলোর প্রতি সমর্থন এখনো পুরোপুরি ফুরিয়ে যায়নি। বরং যেটুকু আছে, তা কয়েকটি দলের মধ্যে ভাগ হয়ে গিয়েছে। এ কারণেই পপুলিস্ট রাজনীতির দিন ফুরিয়ে এসেছে, এ কথা বলার সময় এখনো আসেনি।
তবে পপুলিস্ট রাজনীতিবিদদের মধ্যে ক্ষমতার বাইরে থাকাদের তুলনায় ক্ষমতাসীনরাই বিপদে আছেন বেশি। বর্তমানে যেসব দেশে পপুলিস্টরা ক্ষমতায় আছেন, সেসব দেশেই মহামারী আঘাত হেনেছে সবচেয়ে বেশি। এসব দেশে পপুলিস্ট নেতাদের দুর্বলতাগুলো সামনে তুলে নিয়ে এসেছে কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব। পপুলিস্ট প্রশাসনের অব্যবস্থাপনায় শুধু জনস্বাস্থ্য নয়, এসব দেশের অর্থনীতিরও পতন হয়েছে মারাত্মক দুর্যোগে। প্রচুর মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ার পাশাপাশি অর্থনীতির সংকোচন ঘটেছে মারাত্মক আকারে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ বৈশ্বিক নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তালিকার শীর্ষ তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ব্রাজিল।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে সাড়ে ৭৮ লাখেরও বেশি মানুষের। মৃতের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ১৬ হাজার। ভারতে সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা এখন সাড়ে ৭২ লাখের কাছাকাছি। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের। ব্রাজিলে ৫১ লাখেরও বেশি মানুষ কভিড-১৯ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা অনেক আগেই দেড় লাখ ছাড়িয়েছে।
‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগান সামনে রেখে ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আরোহণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ক্ষমতায় আরোহণের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক শ্লথতা বড় ভূমিকা রেখেছে বলে অভিমত বিশ্লেষকদের। বিষয়টি সামনে এনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভিবাসী বিতাড়নমূলক নানা পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলার উদ্যোগ নেন তিনি। অন্যদিকে ট্রাম্পের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় হোয়াইট সুপ্রিমেসি বা ‘শ্বেতাঙ্গের শ্রেষ্ঠত্ববাদ’ তথা বর্ণবাদেরও উত্থান ঘটে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে যে বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক শ্লথতাকে পুঁজি করে ক্ষমতায় এসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, সে পরিস্থিতিতেও উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মজুরি প্রবৃদ্ধির হারকে মূল্যস্ফীতির ওপরে তোলার উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালে রেকর্ড হারে করছাড় ঘোষণা করে ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও এ কর্মসূচিতে বিন্দুমাত্র সফলতা আসেনি। উপরন্তু এর ফলে দেশটিতে ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় রেকর্ড সর্বোচ্চে। আবার মার্কিন শিল্প খাতকে সুবিধা দেয়ার অজুহাতে চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে রীতিমতো বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু এর ফল হলো মার্কিন ভোক্তা ও কৃষকদের ব্যয় বেড়েছে। অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাজারের প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিস্থিতি। উপরন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত দেশগুলোও এ ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কারণে ওয়াশিংটন থেকে আরো দূরে সরে গিয়েছে।
মহামারীর প্রাদুর্ভাবের পর মার্কিন অর্থনীতি ও জনস্বাস্থ্য খাতে ট্রাম্প প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা আরো প্রকট হয়ে ওঠে। বিশাল অংকের প্রণোদনা ঘোষণা করেও বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে গতি ফিরিয়ে আনতে পারেননি ট্রাম্প। উল্টো তা সংকুচিত হয়েছে ব্যাপকমাত্রায়। চলতি বছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে যথাক্রমে ৫ ও ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ হারে। অন্যদিকে কর্মসংস্থানেও খুব একটা গতি ফেরাতে পারছে না ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। মহামারীকালে স্বাস্থ্য খাতে মহাবিপর্যয়কে উপেক্ষা করেই আবারো ওবামা প্রশাসনের সম্প্রসারিত সুলভ জনস্বাস্থ্যসেবা সুবিধা ‘ওবামাকেয়ার’ বাতিলের পদক্ষেপ নিয়েছেন ট্রাম্প। এসব কারণে দেশের ভোটারদের ব্যাপক বিরক্তির কারণ হয়ে উঠেছেন তিনি। সব মিলিয়ে আগামী ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ী হওয়ার খুব একটা সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে না মার্কিন গণমাধ্যম। তবে মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে সবচেয়ে গোঁড়া, রক্ষণশীল ও বর্ণবাদী অংশটিই ট্রাম্পের কট্টর সমর্থক হিসেবে বিবেচিত। যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে যাবে বলে ধারণা দেশটির গণমাধ্যমের। এ অবস্থায় দেশটির জটিল নির্বাচন ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে তার এখনো লড়াইয়ে ফেরার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ভারতকে অভিহিত করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে। গত কয়েক বছরে দেশটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িকতা, সংখ্যালঘু নির্যাতন ও উগ্র হিন্দুত্ব জাতীয়তাবাদী কার্যক্রম বারবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। এসবের সঙ্গে সঙ্গে দেশটির অর্থনীতির দুরবস্থাও এখন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর বহুল চর্চিত বিষয়।
নরেন্দ্র মোদি সরকারের অধীনেই কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল ভারতীয় অর্থনীতি। কমে আসছিল বিনিয়োগের মাত্রাও। কয়েক বছরের মারাত্মক শ্লথতা পার করার পর চলতি বছর মহামারীর কারণে সংকোচনের শিকার হতে যাচ্ছে দেশটির অর্থনীতি। প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে কভিড-১৯ চলাকালে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে ভারত। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে দেশটিতে সংকোচনের হার ছিল ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ। গত বছরের শেষেই দেশটিতে কর্মহীনতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪৫ বছরের সর্বোচ্চে। বর্তমানে এ পরিস্থিতিকে আরো সঙিন করে তুলেছে মহামারীর প্রাদুর্ভাব। মহামারীর শুরুর দিকে লকডাউন ঘোষণার পর দেশটির বিভিন্ন শিল্পাঞ্চল থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের হেঁটে বাড়ি ফেরার দৃশ্য আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সেসব শ্রমিকের অনেকেই এখন কর্মস্থলে ফিরে এলেও কাজ ফিরে পাননি। দেশটির শিল্পাঞ্চলগুলোয় কাজের সন্ধানে অপেক্ষারত শ্রমিকদের ভিড় এখন নিত্যনৈমিত্তিক চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মহামারী ব্যবস্থাপনা নিয়ে ট্রাম্প ও মোদির চেয়েও বেশি সমালোচিত হয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো। শুরু থেকেই কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবকে হালকাভাবে নিয়েছেন তিনি। দেশটির জনস্বাস্থ্যে যে বিপর্যয় নেমে এসেছে, তার জন্য তাকেই দায়ী করা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। মহামারীকে মোকাবেলা করতে গিয়ে জনস্বাস্থ্যের তুলনায় অর্থনীতিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন এ পপুলিস্ট রাজনীতিবিদ। সবকিছু চালু রাখার পরও ব্যাংক অব আমেরিকা বলছে, চলতি বছর দেশটির অর্থনীতি সংকুচিত হতে পারে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হারে। অন্যদিকে আইএমএফের পর্যবেক্ষণ বলছে, এ হার হতে পারে ৯ দশমিক ১ শতাংশ। এছাড়া ক্রমবর্ধমান বেকারত্বও বোলসোনারোর জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠবে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। মে মাসের শুরুতে দেশটিতে বেকারের সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ১ লাখ। আগস্টের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ২৯ লাখে। চার মাসের মধ্যেই দেশটিতে বেকারত্বের হার ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে বলে ব্রাজিলিয়ান ইনস্টিটিউট অব জিওগ্রাফি অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকসের (আইবিজিই) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এদিকে ভারতের অঙ্গরাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিকে করোনা মহামারিতে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে দাঁড় করিয়েছে পপুলিস্ট রাজনীতি। এই পপুলিস্ট রাজনীতির চড়া মাশুল গুণতে হবে রাজ্যবাসীকে এবং পরিস্থিতি যে কতটা সঙিন হতে চলেছে তা প্রকট হতে চলেছে অনতিবিলম্বেই !

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.