Header Ads

আগরতলায় বাঙালি মহিলা সমাজের প্রতিবাদী মোমবাতি মিছিল

অনুপম পাল, বালিপিপলা : উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে সংঘটিত হওয়া গণধর্ষণের প্রতিবাদে এক প্রতিবাদী মোমবাতি মিছিলে সামিল হয় আগরতলার বাঙালি মহিলা সমাজ। গত ১৪ ই সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরাস গ্ৰামে বছর ১৯ এর একটি দলিত যুবতীকে গণধর্ষণ করে এলাকার মানুষরূপী কিছু দানব। এবং গুরুতর আহত হয়ে দিল্লীর সফদরজং হাসপাতালে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মারা যায় ঐ যুবতী। কয়েক বছর আগে দিল্লীতে সংঘটিত হওয়া নির্ভয়া কাণ্ড যেন আবার স্মরণ করিয়ে দিলো আমাদের। এরই মধ্যে গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ত্রিপুরা রাজ্যের মেলাঘরের কুচিছড়া গ্ৰামে একই ভাবে এক নরপিশাচের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় এক জনজাতি যুবতী। ধর্ষকের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় মেলাঘর হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে সেই যুবতী। এছাড়া সম্প্রতি বিহারেও ধর্ষিতা হয়ে এক দলিত কিশোরী নিজের সম্মান রক্ষার্থে আত্মহত্যা করেছে বলেও জানা গেছে। এইভাবে দিনের পর দিন মহিলাদের উপর ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা যেন মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। প্রায় প্রতিটি মূহুর্তেই কোন না কোনভাবে নির্যাতিতা হচ্ছেন নারীরা। এইসব ঘটনা ত্রিপুরা তথা সমগ্র দেশের মানুষদের জাগিয়ে দিয়েছে। তাই সর্বত্র এ নিয়ে চলছে বিক্ষোভ, আন্দোলন, মিছিল সহ প্রতিবাদের ঝড়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরার বাঙালি মহিলা সমাজ এক প্রতিবাদী মোমবাতি মিছিলে সামিল হয়। তাদের দাবি- প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। নির্যাতিতাদের মধ্যে যারা বেঁচে আছেন তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। তাছাড়া, অতীতে ত্রিপুরা রাজ্যে যেসব মহিলা, যুবতীর  নির্যাতিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে, সেইসব দোষীদের চিহ্নিত করে উচিত শাস্তি প্রদান করা হোক। উক্ত প্রতিবাদী মিছিলে বাঙালি মহিলা সমাজের ত্রিপুরা রাজ্য সচিব সীমন্তী দেব সহ মহিলা সমাজের অন্যান্যরাও সামিল ছিলেন বলে বিশেষ  সূত্রে খবরটি জানা গেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.