Header Ads

রাজ্যে মুঘলদের আক্রমণ অব্যাহত আছে : মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল

 


অসমে ৬৫ শতাংশ এক জোট হতে না পারলে, ৩৫ শতাংশ দিসপুরের মসনদে বসবে : হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : ঐতিহাসিক শরাইঘাট যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পরও কি মুঘলরাজ অসমের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলেছে? ১৭৬৪ সালে বক্সারের যুদ্ধে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম ইংরেজদের হাতে পরাজিত হন। ১৮৫৭ দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ মহাবিদ্রোহের সময় ইংরেজ কর্তৃক নির্বাসিত হন। সে এক ইতিহাস  আজ এতগুলি বছর পর অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, মুঘলদের আক্রমণ অব্যাহত আছে?  ভুমিপুত্রের জাতি-মাটি-ভেটি আজও সুরক্ষিত নয়?  মুঘলদের আক্রমণ প্রতিহত করতে হবে? অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কিন্তু স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রী কাদের উদ্দেশ্যে তীব্র বাক্যবান ছুড়লেন। হিমন্ত সরাসরি মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতিভূ, এআইইউডিএফের প্রধান বদরুদ্দিন আজমলকে আক্রমণ করার পাশাপাশি রাজ্যের জনবিন্যাস যে তারা শক্ত থাবা বসাতে চলেছে, ৩৫ শতাংশ একজোট, ৬৫ শতাংশ হাজার ভাগে বিভক্ত, বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীতে, এই ৬৫ শতাংশ এক জোট হতে না পারলে আগামী ১০ বছর পর বদরুদ্দিন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তা আটকানো যাবেনা। গোয়ালপাড়াতে এক নির্বাচনী জনসভায় বদরুদ্দিন আজমল আরবি ভাষাতে ব্যানার লিখেছেন তার সমালোচনা করে হিমন্ত বলেন, রাজ্যে বিদেশি ভাষা আরবি ব্যবহার করা হল, অথচ রাজ্যের টিভিতে বসে টক শোতে বিতর্কের ঝড় তোলা বুদ্ধিজীবীরা মৌন ব্রত অবলম্বন করেছেন, আর্ত্মসমর্পণ করেছে। তিনি বলেন, বরাকে বাংলা, বরোলান্ডে বড়ো এবং অসমীয়া ভাষাভাষী ৬৫ শতাংশ নিজেদের মান অভিমান ভুলে এক জোট হতে না পারলে অসমের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে ৬৫ শতাংশের অধিকারী মরান, মোটক,  আদিবাসী, বাঙালি, মারোয়ারী প্রভৃতি জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঝগড়া লাগিয়ে বিভাজন তৈরি করে দিসপুর স্থায়ীভাবে দখল করবে। বি টি এ ডি-র প্রায় শতাংশ বড়ো নেতা-কর্মী আজ বিজেপি দলে যোগ দেন। বি পি এফ প্রধান হগ্রামা মহিলারির ঘনিষ্ট বহু নেতা বিজেপি দলে যোগ দেন। অপরদিকে, বরাকে কংগ্রেস দলের প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশ গোয়ালার পুত্র বিধায়ক রাজদীপ গোয়ালা, প্রাক্তন বিধায়ক রুমি নাথ বিজেপি দলে যোগ দেবেন, কংগ্রেস দল তাকে এক্সপেল করেছে। অপরদিকে, অগপ দলে বিজেপি নেত্রী কল্পনা পাটোয়ারী যোগ দেন। আজ মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী ৩৫ শতাংশকে আক্রমণ করে বিজেপি বিধায়ক গণেশ লিম্বুর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বরসলার ৩৫ শতাংশ মানুষের উৎসাহ উচ্ছ্বাসের মূলে বরফ জল ঢেলে দিলেন। সেখানে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর শতাধিক বিজেপি দলে যোগ দিয়ে বলেন, দাড়ি-টুপি-লুঙ্গি বলতে কংগ্রেস দলের সমর্থক বোঝানো হতএবার তারা সবাই মনে প্রাণে বিজেপি। তাদেরকে কি আজ মুঘল রাজ বলে আক্রমণ করা হল? না অন্য কোনো তাত্পর্য্য বহন করছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.