Header Ads

চিড়িয়াখানায় বাঘ, সিংহ অভুক্ত, গরুর মাংস দেওয়া যাবে না, আন্দোলন, নারী মাংস বিক্রি বন্ধের আন্দোলন কোথায়?

 

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসমের বিভিন্ন বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে গরু পাচার বন্ধ করার ক্ষমতা কোনো সরকারের নেই। বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেসের আগে কংগ্রেস সরকারের আমলেও বাংলাদেশে গরু চোরা পাচার চলেছে। অসমের ধুবড়ি জেলার বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে সম্ভবত বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক কসাইখানা আছেভারত থেকে পাচার করা গরুগুলো সেখানে কেটে মাংসের টুকরো অত্যাধুনিক প্যাকেজিং ব্যবস্থার স্বাস্থ্য সম্মতভাবে আরব দেশ সহ ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে রপ্তানি করা হয় কোটি কোটি ডলার, পাউন্ড, ইউরো লাভ করে বাংলাদেশ সরকার, এই অভিযোগ বহু দিনের কোনো সরকার গরু পাচার বন্ধ করতে পারেনি। হিন্দুদের পূজ্যদেবতা গরু, তার মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ দেশের হিন্দুত্ববাদী দলগুলো গরু পাচার বন্ধ করতে পারছে না অথচ আজ গুয়াহাটি চিড়িয়াখানায় দেখা গেল, হিন্দুত্ববাদী দলের কিছু সমর্থক খাঁচা বন্দি বাঘ সিংহকে দিন ভোর উপসি রেখে তাদের খাদ্য গরুর মাংসের গাড়ি আটকে দেয়। আন্দোলনকারীদের দাবি, গরুর মাংস দেওয়া চলবে না। বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, সারা দেশের এমন কি সারা বিশ্বে চিড়িয়াখানায় বাঘ, সিংহকে গরুর মাংস খেতে দেওয়া হয়। এই খাবার দেওয়ার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে এই অভ্যাস হঠাৎ পাল্টানো সম্ভব নয়। চিড়িয়াখানায় বাঘ সিংহকে অভুক্ত রেখে মাংসের গাড়ি আটকানো হচ্ছে আর সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিষ্ঠুরভাবে গরু-ছাগল-শুকুর কাটা চলছে ছাগলগুলোকে কাটার আগে ইনজেকশন দিয়ে, নেপথলিন পেটে ভরে দিয়ে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। তখন তো কোনো সংগঠনের প্রতিবাদ লক্ষ্য করা যায় না। বাংলাদেশের কবি আবরার শাহরিয়ার জাতীয় মাংস শীর্ষক এক কবিতার শেষ কয়েকটি লাইন উল্লেখ করলাম, নারী মাংসের কোনো ধর্ম নেই, সবার প্রিয় জাতীয় মাংস, ধার্মিক, অধার্মিক, নাস্তিক সবার কাছেই। মিলেমিশে এমন কি জোর করে খেতেও আপত্তি নেই। সত্য বড়ই অপ্রিয়, মেয়েদের মাংস ভক্ষণে কোনো মতভেদ নেই। বাংলাদেশের মত আমাদের দেশেও নারী মাংস লোলুপের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছেগরুর মাংসের থেকেও বেশ সস্তা। national crime record bureau- প্রতিবেদন ভয়ঙ্কর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। ২০১৯ সালে প্রতিদিন ৮৮ জন মহিলা ধর্ষণের শিকার হয়েছেনঅথচ একশটি ধর্ষণের ঘটনায় মাত্র ২৭ জন শাস্তি পাচ্ছে। 

প্রতি ১৬ মিনিটে দেশের কোথাও একজন মহিলা ধর্ষিত হচ্ছেন। প্রতি চার মিনিটে কোনও বিবাহিত মহিলা শশুর বাড়ির লোকদের হাতে নিগৃহীত হচ্ছেন। ২০১৯ সালে সমস্ত দেশে ৩২০৩৩টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে ১১ শতাংশ দলিত সম্প্রদায়ের লোক। সর্বাধিক ধর্ষণের ঘটনা রাজস্থানে সেখানে ৫৯৯৭টি, দ্বিতীয় স্থান উত্তরপ্রদেশ, সেখানে ৩০৬৫টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সারা দেশ দেখলো একটি এক দলিত কন্যাকে পুলিশ জ্বালিয়ে দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পোস্ট মর্টেম করে চলেছে। সংবাদ মাধ্যম ও কাটাছেড়া করে রাজনৈতিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় সরকার হাতরসের ঘটনায় সি বি আই তদন্তের আদেশ দিয়েছে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া মাত্র পুলিশকে অভিযোগ দায়ের করার জন্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশ দেওয়ার পরও অরুণাচল প্রদেশ, বিহার, রাজস্থান থেকে ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে। নারী মাংস লোলুপতা, ঘৃণ্য মানসিকতা যতদিন থাকবে, দেশের গরুর মাংসের থেকেও নারী মাংস সস্তাতে বিক্রি হবে।

 

 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.